alt

সম্পাদকীয়

ভালো নির্বাচনের উদাহরণ

: সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

দেশে অনেক দিন পর ভালো একটি নির্বাচন হলো। সংঘাত-সহিংসতার পথ এড়িয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যে সম্ভব তার উজ্জ্বল উদাহরণ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। তবে ভালো নির্বাচনের কোন কৃতিত্ব যদি নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিতে চায় তবে সেটা ভুল হবে।

কারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করার দরকার তা ইসি নারায়ণগঞ্জে করতে পেরেছে বলে জানা যায় না। ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানাতে দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে ইসি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা তখন বলেছেন, ‘এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে একেবারে তাকে নোটিস করে বা শাস্তি দেয়া বা আইনের আওতায় নিতে হবে এমন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি।’ সিইসির এই কথার অর্থ কী আমরা তা বুঝতে পারিনি।

ইসি তার কাক্সিক্ষত ভূমিকা পালন না করা সত্ত্বেও নাসিক নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কারণ, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীই চেয়েছেন নির্বাচন ভালো হোক। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রার্থী ভোটারদের ভয় দেখিয়ে, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পেশীশক্তি প্রয়োগ করে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভোটের ফল নিজেদের পক্ষে আনবার চেষ্টা করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু নাসিক নির্বাচনে আইভি রহমানকে এর কোনটাই করতে দেখা যায়নি। যদিও তিনি মেয়র পদে থেকেই নির্বাচন করেছেন, তার দল রয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতায়। কিন্তু তাকে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে বা দলের আনুকূল্য নিতে দেখা যায়নি। আর এ কারণেই সেখানে সংঘাত-সংঘর্ষহীন সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হতে পেরেছে। নাসিক নির্বাচন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইসি যদি ঠুঁটো জগন্নাথও হয় কিন্তু ক্ষমতাসীনরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে।

আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে সেটা জনগণ সানন্দে গ্রহণ করে। তখন কারো কোন ওজর-আপত্তি হালে পানি পায় না। নাসিক নির্বাচনে হেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ইভিএম কারসাজিতে তাকে হারানো হয়েছে। কিন্তু তার অভিযোগ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে মনে হয় না।

নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হতে পারে সেই শিক্ষা ইসি চাইলে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিতে পারে। কোন নির্বাচন বিতর্কিত হওয়ার পেছনে কী ভুল থাকে সেগুলো চিহ্নিত করে ইসিকে আত্মমূল্যায়ন করতে হবে। আগামীতে এসব ভুলের পুনরাবৃত্তি সম্পর্কে থাকতে হবে সতর্ক। ঠুঁটো জগন্নাথ সেজে বসে না থেকে নির্বাচনে ইসি যেন ভূমিকা রাখতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে ভূমিকা রাখবার মতো যথেষ্ট স্বাধীনতা ইসিকে আইন দিয়েছে।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

ভালো নির্বাচনের উদাহরণ

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

দেশে অনেক দিন পর ভালো একটি নির্বাচন হলো। সংঘাত-সহিংসতার পথ এড়িয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যে সম্ভব তার উজ্জ্বল উদাহরণ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। তবে ভালো নির্বাচনের কোন কৃতিত্ব যদি নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিতে চায় তবে সেটা ভুল হবে।

কারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করার দরকার তা ইসি নারায়ণগঞ্জে করতে পেরেছে বলে জানা যায় না। ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানাতে দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে ইসি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা তখন বলেছেন, ‘এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন আচরণবিধি লঙ্ঘন। তবে একেবারে তাকে নোটিস করে বা শাস্তি দেয়া বা আইনের আওতায় নিতে হবে এমন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি।’ সিইসির এই কথার অর্থ কী আমরা তা বুঝতে পারিনি।

ইসি তার কাক্সিক্ষত ভূমিকা পালন না করা সত্ত্বেও নাসিক নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কারণ, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীই চেয়েছেন নির্বাচন ভালো হোক। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রার্থী ভোটারদের ভয় দেখিয়ে, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পেশীশক্তি প্রয়োগ করে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভোটের ফল নিজেদের পক্ষে আনবার চেষ্টা করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু নাসিক নির্বাচনে আইভি রহমানকে এর কোনটাই করতে দেখা যায়নি। যদিও তিনি মেয়র পদে থেকেই নির্বাচন করেছেন, তার দল রয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতায়। কিন্তু তাকে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে বা দলের আনুকূল্য নিতে দেখা যায়নি। আর এ কারণেই সেখানে সংঘাত-সংঘর্ষহীন সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হতে পেরেছে। নাসিক নির্বাচন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইসি যদি ঠুঁটো জগন্নাথও হয় কিন্তু ক্ষমতাসীনরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে।

আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে সেটা জনগণ সানন্দে গ্রহণ করে। তখন কারো কোন ওজর-আপত্তি হালে পানি পায় না। নাসিক নির্বাচনে হেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ইভিএম কারসাজিতে তাকে হারানো হয়েছে। কিন্তু তার অভিযোগ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে মনে হয় না।

নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হতে পারে সেই শিক্ষা ইসি চাইলে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিতে পারে। কোন নির্বাচন বিতর্কিত হওয়ার পেছনে কী ভুল থাকে সেগুলো চিহ্নিত করে ইসিকে আত্মমূল্যায়ন করতে হবে। আগামীতে এসব ভুলের পুনরাবৃত্তি সম্পর্কে থাকতে হবে সতর্ক। ঠুঁটো জগন্নাথ সেজে বসে না থেকে নির্বাচনে ইসি যেন ভূমিকা রাখতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে ভূমিকা রাখবার মতো যথেষ্ট স্বাধীনতা ইসিকে আইন দিয়েছে।

back to top