alt

সম্পাদকীয়

ফগলাইট কেনায় দুর্নীতি

: সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

জনগণের কল্যাণে সরকার অনেক পরিকল্পনাই করে কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে বরাবরই শঙ্কা থাকে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া যায়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌপথ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগে এটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শীতের মৌসুম শুরু হলে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই এ নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ হাজার হাজার যানবাহন আটক পড়ে। দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন এসব যানবাহনের যাত্রী, চালকসহ সংশ্লিষ্টরা। নানা ক্ষেত্রে এর বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের কথা চিন্তা করে এই রুটে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে উন্নত প্রযুক্তির ফগ অ্যান্ড সার্চলাইনের স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১৫ সালে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রায় ছয় কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি ফেরিতে ফগ অ্যান্ড সার্চলাইট লাগানো হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনকে (বিআইডব্লিউটিসি) এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তির ফগ অ্যান্ড সার্চলাইনের পরিবর্তে বসানো হয় সাধারণ মানের সার্চলাইট। যার দরুণ এসব লাইট ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচলের ক্ষেত্রে কোন কাজেই আসেনি। বরং পূর্বের লাইটগুলো থেকে আরও কম কার্যকর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাস্তবে পরিকল্পনা করা হয় একটা, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা করেন আরেকটা। প্রকল্পের টাকা-পয়সা হরি লুট হয় নানা কৌশলে। মানুষের ভোগান্তি থেকেই যায়। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সরকার জনগণের কল্যাণের উদ্দেশে পরিকল্পনা করে এবং সেই অনুযায়ী অর্থও বরাদ্দ দেয়। কিন্তু যাদের উপর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব, তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।

সম্প্রতি ফগ অ্যান্ড সার্চলাইট স্থাপনে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিআইডব্লিউটিসির তিন কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ও দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায়। দুদকের এমন কাজকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি, ফগলাইট ক্রয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হবে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পাশাপশি এসব দুর্নীতি ও লুটপাটের মূলোৎপাটন করতে হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

ফগলাইট কেনায় দুর্নীতি

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

জনগণের কল্যাণে সরকার অনেক পরিকল্পনাই করে কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে বরাবরই শঙ্কা থাকে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া যায়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌপথ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগে এটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু শীতের মৌসুম শুরু হলে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই এ নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ হাজার হাজার যানবাহন আটক পড়ে। দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন এসব যানবাহনের যাত্রী, চালকসহ সংশ্লিষ্টরা। নানা ক্ষেত্রে এর বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের কথা চিন্তা করে এই রুটে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে উন্নত প্রযুক্তির ফগ অ্যান্ড সার্চলাইনের স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১৫ সালে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রায় ছয় কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি ফেরিতে ফগ অ্যান্ড সার্চলাইট লাগানো হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনকে (বিআইডব্লিউটিসি) এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তির ফগ অ্যান্ড সার্চলাইনের পরিবর্তে বসানো হয় সাধারণ মানের সার্চলাইট। যার দরুণ এসব লাইট ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচলের ক্ষেত্রে কোন কাজেই আসেনি। বরং পূর্বের লাইটগুলো থেকে আরও কম কার্যকর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাস্তবে পরিকল্পনা করা হয় একটা, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা করেন আরেকটা। প্রকল্পের টাকা-পয়সা হরি লুট হয় নানা কৌশলে। মানুষের ভোগান্তি থেকেই যায়। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সরকার জনগণের কল্যাণের উদ্দেশে পরিকল্পনা করে এবং সেই অনুযায়ী অর্থও বরাদ্দ দেয়। কিন্তু যাদের উপর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব, তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।

সম্প্রতি ফগ অ্যান্ড সার্চলাইট স্থাপনে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিআইডব্লিউটিসির তিন কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ও দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যায়। দুদকের এমন কাজকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি, ফগলাইট ক্রয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হবে। তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পাশাপশি এসব দুর্নীতি ও লুটপাটের মূলোৎপাটন করতে হবে।

back to top