দেশে নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির খুব কম। বেশিরভাগ প্রকল্পই দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না। ফলে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
রেল চালাচলের সৃষ্ট কম্পনের ফলে যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি পৃথক ডাবল লেনের ডুয়েল মিটারগেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জানা যাচ্ছে, সেতুটির মাত্র ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর তিন দফায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে পুনঃনির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সঙ্গত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে ব্যয় বাড়ে; যা প্রকল্পের রেট অব রিটার্ন কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়, ব্যয়ও বাড়ে। তবে এ বিলম্ব ও ব্যয় বৃদ্ধির হার বাংলাদেশে অস্বাভাবিক রকমের বেশি। এমনিতেই আমাদের দেশে প্রকল্প ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অনিয়িম ও দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই।
নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংসদে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কয়েকজন সরকারদলীয় এমপি। এরপরও অনেক প্রকল্পই চলছে ঢিমেতালে। সরকারের বারবার নির্দেশনার পরেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাদের কোন বোধদয় হয়েছে বলে মনে হয় না।
দেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনা ও তদারক করার জন্য দক্ষ কর্মকর্তার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন প্রকল্প বিশেষজ্ঞরা। এসব প্রকল্পে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পক্ষ থাকে, নানামুখী কাজ হয়। কিন্তু এসব কাজ সমন্বয় করার জন্য কোনো পক্ষ নেই। ফলে যথা সময়ে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় না।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প’ পুনঃনির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করতে হলে বিভিন্ন পক্ষের কাজের সমন্বয় করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনাগুলো প্রকল্প পরিচালকদের হৃদয়ঙ্গম করতে হবে, জনকল্যাণের কথা ভাবতে হবে। শুধু এতটুকুই যদি তারা কষ্ট করে করেন, তাহলে হয়তো নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে অনেক প্রকল্পই শেষ করা যাবে।
মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
দেশে নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির খুব কম। বেশিরভাগ প্রকল্পই দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না। ফলে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
রেল চালাচলের সৃষ্ট কম্পনের ফলে যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি পৃথক ডাবল লেনের ডুয়েল মিটারগেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জানা যাচ্ছে, সেতুটির মাত্র ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর তিন দফায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে পুনঃনির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সঙ্গত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে ব্যয় বাড়ে; যা প্রকল্পের রেট অব রিটার্ন কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়, ব্যয়ও বাড়ে। তবে এ বিলম্ব ও ব্যয় বৃদ্ধির হার বাংলাদেশে অস্বাভাবিক রকমের বেশি। এমনিতেই আমাদের দেশে প্রকল্প ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অনিয়িম ও দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই।
নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংসদে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কয়েকজন সরকারদলীয় এমপি। এরপরও অনেক প্রকল্পই চলছে ঢিমেতালে। সরকারের বারবার নির্দেশনার পরেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাদের কোন বোধদয় হয়েছে বলে মনে হয় না।
দেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনা ও তদারক করার জন্য দক্ষ কর্মকর্তার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন প্রকল্প বিশেষজ্ঞরা। এসব প্রকল্পে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পক্ষ থাকে, নানামুখী কাজ হয়। কিন্তু এসব কাজ সমন্বয় করার জন্য কোনো পক্ষ নেই। ফলে যথা সময়ে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় না।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প’ পুনঃনির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করতে হলে বিভিন্ন পক্ষের কাজের সমন্বয় করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনাগুলো প্রকল্প পরিচালকদের হৃদয়ঙ্গম করতে হবে, জনকল্যাণের কথা ভাবতে হবে। শুধু এতটুকুই যদি তারা কষ্ট করে করেন, তাহলে হয়তো নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে অনেক প্রকল্পই শেষ করা যাবে।