alt

সম্পাদকীয়

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু : যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করুন

: মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

দেশে নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির খুব কম। বেশিরভাগ প্রকল্পই দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না। ফলে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

রেল চালাচলের সৃষ্ট কম্পনের ফলে যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি পৃথক ডাবল লেনের ডুয়েল মিটারগেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

জানা যাচ্ছে, সেতুটির মাত্র ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর তিন দফায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে পুনঃনির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সঙ্গত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে ব্যয় বাড়ে; যা প্রকল্পের রেট অব রিটার্ন কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়, ব্যয়ও বাড়ে। তবে এ বিলম্ব ও ব্যয় বৃদ্ধির হার বাংলাদেশে অস্বাভাবিক রকমের বেশি। এমনিতেই আমাদের দেশে প্রকল্প ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অনিয়িম ও দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই।

নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংসদে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কয়েকজন সরকারদলীয় এমপি। এরপরও অনেক প্রকল্পই চলছে ঢিমেতালে। সরকারের বারবার নির্দেশনার পরেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাদের কোন বোধদয় হয়েছে বলে মনে হয় না।

দেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনা ও তদারক করার জন্য দক্ষ কর্মকর্তার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন প্রকল্প বিশেষজ্ঞরা। এসব প্রকল্পে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পক্ষ থাকে, নানামুখী কাজ হয়। কিন্তু এসব কাজ সমন্বয় করার জন্য কোনো পক্ষ নেই। ফলে যথা সময়ে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় না।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প’ পুনঃনির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করতে হলে বিভিন্ন পক্ষের কাজের সমন্বয় করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনাগুলো প্রকল্প পরিচালকদের হৃদয়ঙ্গম করতে হবে, জনকল্যাণের কথা ভাবতে হবে। শুধু এতটুকুই যদি তারা কষ্ট করে করেন, তাহলে হয়তো নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে অনেক প্রকল্পই শেষ করা যাবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু : যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করুন

মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

দেশে নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির খুব কম। বেশিরভাগ প্রকল্পই দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না। ফলে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

রেল চালাচলের সৃষ্ট কম্পনের ফলে যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে একটি পৃথক ডাবল লেনের ডুয়েল মিটারগেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ২০১৬ সালে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

জানা যাচ্ছে, সেতুটির মাত্র ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর তিন দফায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে পুনঃনির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সঙ্গত কারণেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে ব্যয় বাড়ে; যা প্রকল্পের রেট অব রিটার্ন কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়, ব্যয়ও বাড়ে। তবে এ বিলম্ব ও ব্যয় বৃদ্ধির হার বাংলাদেশে অস্বাভাবিক রকমের বেশি। এমনিতেই আমাদের দেশে প্রকল্প ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অনিয়িম ও দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই।

নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংসদে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কয়েকজন সরকারদলীয় এমপি। এরপরও অনেক প্রকল্পই চলছে ঢিমেতালে। সরকারের বারবার নির্দেশনার পরেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাদের কোন বোধদয় হয়েছে বলে মনে হয় না।

দেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনা ও তদারক করার জন্য দক্ষ কর্মকর্তার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন প্রকল্প বিশেষজ্ঞরা। এসব প্রকল্পে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পক্ষ থাকে, নানামুখী কাজ হয়। কিন্তু এসব কাজ সমন্বয় করার জন্য কোনো পক্ষ নেই। ফলে যথা সময়ে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় না।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প’ পুনঃনির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করতে হলে বিভিন্ন পক্ষের কাজের সমন্বয় করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনাগুলো প্রকল্প পরিচালকদের হৃদয়ঙ্গম করতে হবে, জনকল্যাণের কথা ভাবতে হবে। শুধু এতটুকুই যদি তারা কষ্ট করে করেন, তাহলে হয়তো নির্ধারিত সময়ে ও ব্যয়ে অনেক প্রকল্পই শেষ করা যাবে।

back to top