alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কিশোর গ্যাং : দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকেই

: বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত রোববার কিশোর গ্যাংয়ের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পথচারীরা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অভিযান চালিয়ে র‌্যাব দুই গ্রুপের ছয় কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কিশোর গ্যাং কেবল রাজধানীর সমস্যা নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের উপস্থিতির কথা জানা যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। গ্যাং কালচারে কারা উদ্বুদ্ধ হয়, আর কারাইবা তাদের মদত দেয় সেটা জানা জরুরি। স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন গোষ্ঠী কিশোর গ্যাংকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে এই অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাও কিশোর গ্যাংয়ের অন্যায় ফায়দা লোটেন।

অপরাধ জগতে পা বাড়ানো কিশোরদের অনেকেই কোন না কোনভাবে মাদকসেবী বলে জানা যায়। মাদকের সহজলভ্যতা অনেক কিশোরকে করেছে বিপথগামী। পরিবারে যথেষ্ট মনোযোগ না পাওয়া শিশু-কিশোরদের গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি।

গ্যাং কালচার থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে হবে। কিশোর গ্যাং দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে গ্যাংয়ের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেউ যেন শিশু-কিশোরদের বিপথগামী করতে না পারে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার থাকতে হবে।

গ্যাং কালচার থেকে মুক্ত হতে হলেও সমাজকেও ইতিবাচকভাবে বদলাতে হবে। মাদকমুক্ত এমন এক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে শিশু-কিশোররা মাদকাসক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে না। সমাজে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে।

অপরাধপ্রবণতা থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে পরিবারগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে। সন্তান যেন একাকীত্বে না ভোগে, বিচ্ছিন্নতাবোধ যেন তাকে পেয়ে না বসে সেটা অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কিশোর গ্যাং : দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকেই

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত রোববার কিশোর গ্যাংয়ের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পথচারীরা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অভিযান চালিয়ে র‌্যাব দুই গ্রুপের ছয় কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কিশোর গ্যাং কেবল রাজধানীর সমস্যা নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের উপস্থিতির কথা জানা যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। গ্যাং কালচারে কারা উদ্বুদ্ধ হয়, আর কারাইবা তাদের মদত দেয় সেটা জানা জরুরি। স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন গোষ্ঠী কিশোর গ্যাংকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে এই অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাও কিশোর গ্যাংয়ের অন্যায় ফায়দা লোটেন।

অপরাধ জগতে পা বাড়ানো কিশোরদের অনেকেই কোন না কোনভাবে মাদকসেবী বলে জানা যায়। মাদকের সহজলভ্যতা অনেক কিশোরকে করেছে বিপথগামী। পরিবারে যথেষ্ট মনোযোগ না পাওয়া শিশু-কিশোরদের গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি।

গ্যাং কালচার থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে হবে। কিশোর গ্যাং দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে গ্যাংয়ের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেউ যেন শিশু-কিশোরদের বিপথগামী করতে না পারে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার থাকতে হবে।

গ্যাং কালচার থেকে মুক্ত হতে হলেও সমাজকেও ইতিবাচকভাবে বদলাতে হবে। মাদকমুক্ত এমন এক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে শিশু-কিশোররা মাদকাসক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে না। সমাজে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে।

অপরাধপ্রবণতা থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে পরিবারগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে। সন্তান যেন একাকীত্বে না ভোগে, বিচ্ছিন্নতাবোধ যেন তাকে পেয়ে না বসে সেটা অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

back to top