রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত রোববার কিশোর গ্যাংয়ের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পথচারীরা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অভিযান চালিয়ে র্যাব দুই গ্রুপের ছয় কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কিশোর গ্যাং কেবল রাজধানীর সমস্যা নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের উপস্থিতির কথা জানা যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। গ্যাং কালচারে কারা উদ্বুদ্ধ হয়, আর কারাইবা তাদের মদত দেয় সেটা জানা জরুরি। স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন গোষ্ঠী কিশোর গ্যাংকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে এই অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাও কিশোর গ্যাংয়ের অন্যায় ফায়দা লোটেন।
অপরাধ জগতে পা বাড়ানো কিশোরদের অনেকেই কোন না কোনভাবে মাদকসেবী বলে জানা যায়। মাদকের সহজলভ্যতা অনেক কিশোরকে করেছে বিপথগামী। পরিবারে যথেষ্ট মনোযোগ না পাওয়া শিশু-কিশোরদের গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি।
গ্যাং কালচার থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে হবে। কিশোর গ্যাং দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে গ্যাংয়ের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেউ যেন শিশু-কিশোরদের বিপথগামী করতে না পারে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার থাকতে হবে।
গ্যাং কালচার থেকে মুক্ত হতে হলেও সমাজকেও ইতিবাচকভাবে বদলাতে হবে। মাদকমুক্ত এমন এক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে শিশু-কিশোররা মাদকাসক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে না। সমাজে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে।
অপরাধপ্রবণতা থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে পরিবারগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে। সন্তান যেন একাকীত্বে না ভোগে, বিচ্ছিন্নতাবোধ যেন তাকে পেয়ে না বসে সেটা অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত রোববার কিশোর গ্যাংয়ের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পথচারীরা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অভিযান চালিয়ে র্যাব দুই গ্রুপের ছয় কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কিশোর গ্যাং কেবল রাজধানীর সমস্যা নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের উপস্থিতির কথা জানা যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। গ্যাং কালচারে কারা উদ্বুদ্ধ হয়, আর কারাইবা তাদের মদত দেয় সেটা জানা জরুরি। স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন গোষ্ঠী কিশোর গ্যাংকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অতীতে এই অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাও কিশোর গ্যাংয়ের অন্যায় ফায়দা লোটেন।
অপরাধ জগতে পা বাড়ানো কিশোরদের অনেকেই কোন না কোনভাবে মাদকসেবী বলে জানা যায়। মাদকের সহজলভ্যতা অনেক কিশোরকে করেছে বিপথগামী। পরিবারে যথেষ্ট মনোযোগ না পাওয়া শিশু-কিশোরদের গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি।
গ্যাং কালচার থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে হবে। কিশোর গ্যাং দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে গ্যাংয়ের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেউ যেন শিশু-কিশোরদের বিপথগামী করতে না পারে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার থাকতে হবে।
গ্যাং কালচার থেকে মুক্ত হতে হলেও সমাজকেও ইতিবাচকভাবে বদলাতে হবে। মাদকমুক্ত এমন এক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে শিশু-কিশোররা মাদকাসক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে না। সমাজে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে।
অপরাধপ্রবণতা থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করতে পরিবারগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে। সন্তান যেন একাকীত্বে না ভোগে, বিচ্ছিন্নতাবোধ যেন তাকে পেয়ে না বসে সেটা অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে।