alt

সম্পাদকীয়

গণপরিবহন শ্রমিকদের মনোজগতে কী ঘটছে

: শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২

দেশে গণপরিবহনের নৈরাজ্য নতুন নয়। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাদের নৈরাজ্যের নিষ্ঠুর প্রদর্শনীই যেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলিস্তানে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসচালকের সহকারীর বিরুদ্ধে। একই দিনে মগবাজার মোড়ে দুই বাসের প্রতিযোগিতার সময় এর মাঝে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে এক কিশোর। পরের দিন শুক্রবার মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় মারা গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী। একদিনের ব্যবধানে তিনটি ঘটনাই ঘটেছে রাজধানীতে।

অতীতে গণপরিবহনের ড্রাইভার-হেলপারদের নিষ্ঠুরতার বলি হয়েছেন অনেক যাত্রী বা সাধারণ মানুষ। গণপরিবহনে নারী ধর্ষণের অনেক ঘটনাই ঘটেছে। নানান ইস্যুতে যাত্রীদের লাঞ্ছিত করা নৈমিত্তিক ঘটনা। প্রতিবন্ধী বা ভিক্ষুকরাও তাদের নির্মম আচরণের শিকার হয় বলে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়।

বাস ড্রাইভার-হেলপাররা যাত্রীসেবা দেয়ার মানসিকতাই লালন করে না বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে-পরিবহন শ্রমিকরা মানবিক আচরণ করতে পারছে না কেন। তাদের মনোজগৎ কীভাবে গড়ে উঠেছে সেটা জানা জরুরি।

জানা যায়, পরিবহন শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্ত। নানান অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথাও গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়। পরিবহন মালিকদের নানামুখী চাপের কারণেও তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। আবার গুরুতর অপরাধ করে তাদের বড় ধরনের শাস্তিও পেতে হয় না। বিষয়টি সমাজ গবেষকদের গভীর মনোযোগ দাবি করে।

মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো না গেলে আন্দোলন বা আইন কোনকিছুতেই ড্রাইভার-হেলপারদের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার ইতি টানা সম্ভব হবে না। কিন্তু উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা কারো মধ্যে দেখা যায় না। নীতি-নির্ধারকদের এদিকে মনোযোগ কম। পরিবহন মালিকরাও এ বিষয়ে উদাসীন; যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে।

সড়ক নিরাপত্তায় যে আইন আছে তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়ে গেছে। আইন প্রয়োগে আরো কঠোর হতে হবে। রাজধানীতে উল্লেখিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ড্রাইভার-হেলপারদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

গণপরিবহন শ্রমিকদের মনোজগতে কী ঘটছে

শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২

দেশে গণপরিবহনের নৈরাজ্য নতুন নয়। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাদের নৈরাজ্যের নিষ্ঠুর প্রদর্শনীই যেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলিস্তানে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসচালকের সহকারীর বিরুদ্ধে। একই দিনে মগবাজার মোড়ে দুই বাসের প্রতিযোগিতার সময় এর মাঝে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে এক কিশোর। পরের দিন শুক্রবার মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় মারা গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী। একদিনের ব্যবধানে তিনটি ঘটনাই ঘটেছে রাজধানীতে।

অতীতে গণপরিবহনের ড্রাইভার-হেলপারদের নিষ্ঠুরতার বলি হয়েছেন অনেক যাত্রী বা সাধারণ মানুষ। গণপরিবহনে নারী ধর্ষণের অনেক ঘটনাই ঘটেছে। নানান ইস্যুতে যাত্রীদের লাঞ্ছিত করা নৈমিত্তিক ঘটনা। প্রতিবন্ধী বা ভিক্ষুকরাও তাদের নির্মম আচরণের শিকার হয় বলে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়।

বাস ড্রাইভার-হেলপাররা যাত্রীসেবা দেয়ার মানসিকতাই লালন করে না বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে-পরিবহন শ্রমিকরা মানবিক আচরণ করতে পারছে না কেন। তাদের মনোজগৎ কীভাবে গড়ে উঠেছে সেটা জানা জরুরি।

জানা যায়, পরিবহন শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্ত। নানান অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথাও গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়। পরিবহন মালিকদের নানামুখী চাপের কারণেও তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। আবার গুরুতর অপরাধ করে তাদের বড় ধরনের শাস্তিও পেতে হয় না। বিষয়টি সমাজ গবেষকদের গভীর মনোযোগ দাবি করে।

মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো না গেলে আন্দোলন বা আইন কোনকিছুতেই ড্রাইভার-হেলপারদের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার ইতি টানা সম্ভব হবে না। কিন্তু উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা কারো মধ্যে দেখা যায় না। নীতি-নির্ধারকদের এদিকে মনোযোগ কম। পরিবহন মালিকরাও এ বিষয়ে উদাসীন; যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে।

সড়ক নিরাপত্তায় যে আইন আছে তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়ে গেছে। আইন প্রয়োগে আরো কঠোর হতে হবে। রাজধানীতে উল্লেখিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ড্রাইভার-হেলপারদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top