দেশে গণপরিবহনের নৈরাজ্য নতুন নয়। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাদের নৈরাজ্যের নিষ্ঠুর প্রদর্শনীই যেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলিস্তানে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসচালকের সহকারীর বিরুদ্ধে। একই দিনে মগবাজার মোড়ে দুই বাসের প্রতিযোগিতার সময় এর মাঝে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে এক কিশোর। পরের দিন শুক্রবার মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় মারা গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী। একদিনের ব্যবধানে তিনটি ঘটনাই ঘটেছে রাজধানীতে।
অতীতে গণপরিবহনের ড্রাইভার-হেলপারদের নিষ্ঠুরতার বলি হয়েছেন অনেক যাত্রী বা সাধারণ মানুষ। গণপরিবহনে নারী ধর্ষণের অনেক ঘটনাই ঘটেছে। নানান ইস্যুতে যাত্রীদের লাঞ্ছিত করা নৈমিত্তিক ঘটনা। প্রতিবন্ধী বা ভিক্ষুকরাও তাদের নির্মম আচরণের শিকার হয় বলে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাস ড্রাইভার-হেলপাররা যাত্রীসেবা দেয়ার মানসিকতাই লালন করে না বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে-পরিবহন শ্রমিকরা মানবিক আচরণ করতে পারছে না কেন। তাদের মনোজগৎ কীভাবে গড়ে উঠেছে সেটা জানা জরুরি।
জানা যায়, পরিবহন শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্ত। নানান অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথাও গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়। পরিবহন মালিকদের নানামুখী চাপের কারণেও তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। আবার গুরুতর অপরাধ করে তাদের বড় ধরনের শাস্তিও পেতে হয় না। বিষয়টি সমাজ গবেষকদের গভীর মনোযোগ দাবি করে।
মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো না গেলে আন্দোলন বা আইন কোনকিছুতেই ড্রাইভার-হেলপারদের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার ইতি টানা সম্ভব হবে না। কিন্তু উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা কারো মধ্যে দেখা যায় না। নীতি-নির্ধারকদের এদিকে মনোযোগ কম। পরিবহন মালিকরাও এ বিষয়ে উদাসীন; যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে।
সড়ক নিরাপত্তায় যে আইন আছে তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়ে গেছে। আইন প্রয়োগে আরো কঠোর হতে হবে। রাজধানীতে উল্লেখিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ড্রাইভার-হেলপারদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
দেশে গণপরিবহনের নৈরাজ্য নতুন নয়। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাদের নৈরাজ্যের নিষ্ঠুর প্রদর্শনীই যেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুলিস্তানে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসচালকের সহকারীর বিরুদ্ধে। একই দিনে মগবাজার মোড়ে দুই বাসের প্রতিযোগিতার সময় এর মাঝে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে এক কিশোর। পরের দিন শুক্রবার মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় মারা গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী। একদিনের ব্যবধানে তিনটি ঘটনাই ঘটেছে রাজধানীতে।
অতীতে গণপরিবহনের ড্রাইভার-হেলপারদের নিষ্ঠুরতার বলি হয়েছেন অনেক যাত্রী বা সাধারণ মানুষ। গণপরিবহনে নারী ধর্ষণের অনেক ঘটনাই ঘটেছে। নানান ইস্যুতে যাত্রীদের লাঞ্ছিত করা নৈমিত্তিক ঘটনা। প্রতিবন্ধী বা ভিক্ষুকরাও তাদের নির্মম আচরণের শিকার হয় বলে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাস ড্রাইভার-হেলপাররা যাত্রীসেবা দেয়ার মানসিকতাই লালন করে না বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে-পরিবহন শ্রমিকরা মানবিক আচরণ করতে পারছে না কেন। তাদের মনোজগৎ কীভাবে গড়ে উঠেছে সেটা জানা জরুরি।
জানা যায়, পরিবহন শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্ত। নানান অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথাও গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়। পরিবহন মালিকদের নানামুখী চাপের কারণেও তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে। আবার গুরুতর অপরাধ করে তাদের বড় ধরনের শাস্তিও পেতে হয় না। বিষয়টি সমাজ গবেষকদের গভীর মনোযোগ দাবি করে।
মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো না গেলে আন্দোলন বা আইন কোনকিছুতেই ড্রাইভার-হেলপারদের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার ইতি টানা সম্ভব হবে না। কিন্তু উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা কারো মধ্যে দেখা যায় না। নীতি-নির্ধারকদের এদিকে মনোযোগ কম। পরিবহন মালিকরাও এ বিষয়ে উদাসীন; যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে যাত্রী ও সাধারণ মানুষকে।
সড়ক নিরাপত্তায় যে আইন আছে তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়ে গেছে। আইন প্রয়োগে আরো কঠোর হতে হবে। রাজধানীতে উল্লেখিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ড্রাইভার-হেলপারদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।