দেশের পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। মূলত ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরই এ দাম বাড়তে দেখা যায়। সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল বিক্রি না করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে মণপ্রতি ১-২ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও দাম বাড়বে; আবার দাম কমলে দেশের বাজারেও কমবে-এটাই স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে ভোজ্যতেলের দাম যেমন বাড়িয়ে দেয়া হয়, তেমনি দাম বাড়ার পূর্বাভাস পেলেও বাড়িয়ে দেয়া হয়। যদিও দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি মূল্যে তেল আমদানি করা হয় না। বাড়তি মূল্যে তেল আমদানি করতে অন্তত দুই মাস সময় লেগে যায়।
অথচ আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে তার সুফল সহজে মেলে না। এমনকি সরকার পদক্ষেপ নিলেও ক্রেতারা তার সুফল পান দেরিতে। ভোজ্যতেলের উৎপাদন, আমদানি ও ভোক্তা-এ তিন পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়। এরপরেও বেশ কিছুদিন ভোক্তাদের বেশি দামে তেল কিনতে হয়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়া এবং কমার ক্ষেত্রে এই বৈপরীত্য থাকার কারণ কী-সেটা জানা জরুরি। এই বৈপরীত্যের কারণে অভিযোগ ওঠে যে, ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে একটি চক্র ফায়দা লুটছে। এই চক্রের সঙ্গে ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দামের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে বাজার মনিটরিং টিম ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান চালায়। অতিরিক্ত মুনাফা ও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রির দায়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
দিন কয়েক আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে পামতেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ফলে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার রেকর্ড হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার বাজার খোলার দিন ইন্দোনেশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানি বন্ধের তালিকা থেকে অপরিশোধিত পামতেল বাদ যাবে বলে জানায়। বাংলাদেশের আমদানিকারকরা পরিশোধিত ও অপরিশোধিত আকারে পামতেল ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করে। একসময় সিংহভাগ অপরিশোধিত আকারে আমদানি করলেও এখন তা কম। দেশে পরিশোধনের কারখানা থাকায় অপরিশোধিত পামতেলের আমদানি বাড়ালে কোন সংকট হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও কেউ যেন ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে আবার অপতৎপরতা শুরু না করে- সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
দেশের পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। মূলত ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরই এ দাম বাড়তে দেখা যায়। সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল বিক্রি না করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে মণপ্রতি ১-২ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে দেশের বাজারেও দাম বাড়বে; আবার দাম কমলে দেশের বাজারেও কমবে-এটাই স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে ভোজ্যতেলের দাম যেমন বাড়িয়ে দেয়া হয়, তেমনি দাম বাড়ার পূর্বাভাস পেলেও বাড়িয়ে দেয়া হয়। যদিও দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি মূল্যে তেল আমদানি করা হয় না। বাড়তি মূল্যে তেল আমদানি করতে অন্তত দুই মাস সময় লেগে যায়।
অথচ আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারে তার সুফল সহজে মেলে না। এমনকি সরকার পদক্ষেপ নিলেও ক্রেতারা তার সুফল পান দেরিতে। ভোজ্যতেলের উৎপাদন, আমদানি ও ভোক্তা-এ তিন পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়। এরপরেও বেশ কিছুদিন ভোক্তাদের বেশি দামে তেল কিনতে হয়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়া এবং কমার ক্ষেত্রে এই বৈপরীত্য থাকার কারণ কী-সেটা জানা জরুরি। এই বৈপরীত্যের কারণে অভিযোগ ওঠে যে, ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে একটি চক্র ফায়দা লুটছে। এই চক্রের সঙ্গে ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দামের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে বাজার মনিটরিং টিম ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান চালায়। অতিরিক্ত মুনাফা ও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রির দায়ে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
দিন কয়েক আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে পামতেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। ফলে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার রেকর্ড হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার বাজার খোলার দিন ইন্দোনেশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানি বন্ধের তালিকা থেকে অপরিশোধিত পামতেল বাদ যাবে বলে জানায়। বাংলাদেশের আমদানিকারকরা পরিশোধিত ও অপরিশোধিত আকারে পামতেল ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করে। একসময় সিংহভাগ অপরিশোধিত আকারে আমদানি করলেও এখন তা কম। দেশে পরিশোধনের কারখানা থাকায় অপরিশোধিত পামতেলের আমদানি বাড়ালে কোন সংকট হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও কেউ যেন ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে আবার অপতৎপরতা শুরু না করে- সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।