alt

সম্পাদকীয়

ফুটপাতকেন্দ্রিক চাঁদাবাজির অবসান চাই

: শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

রাজধানীর ফুটপাতে বসা দোকানগুলো থেকে নিয়মিতই চাঁদা তোলা হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির আকার ৫০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে বলে জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর ফুটপাতগুলো দখল হয়ে গেছে। ফুটপাতে বসেছে দোকান। এসব দোকান নিয়ে নানা বাণিজ্য হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে ‘দ্য স্টেইট অব সিটিজ ২০১৬ : ট্রাফিক কনজেশন ইন ঢাকা, সিটি-গভর্ন্যান্স পারসপেক্টিভ’ শিরোনামে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, গবেষণা চলাকালীন সময় প্রতি হকারের কাছ থেকে গড়ে প্রতিদিন ১৯২ টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। ঢাকায় তখন আড়াই লাখের বেশি হকার ব্যবসা করত। সেই হিসাবে দুই সিটি করপোরেশনের ফুটপাথের হকারদের কাছ থেকে বছরে এক হাজার ৮২৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়। এই টাকা সেই সময়ের দুই সিটি করপোরেশনের মোট বাজেটের প্রায় সমান ছিল। গত ছয় বছরে বেড়েছে হকারের সংখ্যা। সেই সঙ্গে চাঁদার পরিমাণও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফুটপাতকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদার টাকা কাকে দেয়া হয় বা এর ভাগ কারা পান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি চাঁদাবাজির খবর রাখে? ফুটপাতে প্রতিদিন চাঁদাবাজি হচ্ছে কিন্তু সে সম্পর্কে প্রশাসনের কেউ জানে না সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রশ্ন তোলা যেতে পারে যে, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়।

কোন কোন গবেষক বলছেন, ফুটপাতকেন্দ্রিক চাঁদাবাজির একটি রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে। রাজনৈতিক লোকজন, পুলিশ ও লাইনম্যানরা চাঁদা নেয়। এসব লাইনম্যানকে পুলিশই নিয়োগ দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে সংশ্লিষ্টদের এমন প্রস্তাবও দেয়া হয়েছিল যে, সিটি করপোরেশন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বৈধভাবে ট্যাক্স নিতে পারে। এতে যেমন চাঁদাবাজি বন্ধ হতো তেমন সরকারের রাজস্বও বাড়ত। প্রস্তাবটি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখতে পারে বলে আমরা মনে করি।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

ফুটপাতকেন্দ্রিক চাঁদাবাজির অবসান চাই

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

রাজধানীর ফুটপাতে বসা দোকানগুলো থেকে নিয়মিতই চাঁদা তোলা হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির আকার ৫০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে বলে জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর ফুটপাতগুলো দখল হয়ে গেছে। ফুটপাতে বসেছে দোকান। এসব দোকান নিয়ে নানা বাণিজ্য হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে ‘দ্য স্টেইট অব সিটিজ ২০১৬ : ট্রাফিক কনজেশন ইন ঢাকা, সিটি-গভর্ন্যান্স পারসপেক্টিভ’ শিরোনামে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, গবেষণা চলাকালীন সময় প্রতি হকারের কাছ থেকে গড়ে প্রতিদিন ১৯২ টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। ঢাকায় তখন আড়াই লাখের বেশি হকার ব্যবসা করত। সেই হিসাবে দুই সিটি করপোরেশনের ফুটপাথের হকারদের কাছ থেকে বছরে এক হাজার ৮২৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়। এই টাকা সেই সময়ের দুই সিটি করপোরেশনের মোট বাজেটের প্রায় সমান ছিল। গত ছয় বছরে বেড়েছে হকারের সংখ্যা। সেই সঙ্গে চাঁদার পরিমাণও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফুটপাতকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদার টাকা কাকে দেয়া হয় বা এর ভাগ কারা পান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি চাঁদাবাজির খবর রাখে? ফুটপাতে প্রতিদিন চাঁদাবাজি হচ্ছে কিন্তু সে সম্পর্কে প্রশাসনের কেউ জানে না সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রশ্ন তোলা যেতে পারে যে, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়।

কোন কোন গবেষক বলছেন, ফুটপাতকেন্দ্রিক চাঁদাবাজির একটি রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে। রাজনৈতিক লোকজন, পুলিশ ও লাইনম্যানরা চাঁদা নেয়। এসব লাইনম্যানকে পুলিশই নিয়োগ দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে সংশ্লিষ্টদের এমন প্রস্তাবও দেয়া হয়েছিল যে, সিটি করপোরেশন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বৈধভাবে ট্যাক্স নিতে পারে। এতে যেমন চাঁদাবাজি বন্ধ হতো তেমন সরকারের রাজস্বও বাড়ত। প্রস্তাবটি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখতে পারে বলে আমরা মনে করি।

back to top