অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর এক সপ্তাহ পার হয়নি, আবার পুনর্দখল হয়ে গেছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে। পুনর্দখল করে মুছাপুর ক্লোজারের সামনে ৬০০ একর খাসজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে বেহাত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সরকারের শত কোটি টাকার সম্পত্তি। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এমন দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের খেলা চলছে দেশজুড়েই। এটা একটা দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। দেশের বড় বড় শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চলছে এমন দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের খেলা। রাস্তা-ঘাট-ফুটপাত থেকে শুরু করে নদী-নালা-খাল-বিল-বন-বাদার কোন কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। সবকিছুই চলে যাচ্ছে দখলদারদের পেটে।
দখলদারের তালিকায় আছে স্থানীয় প্রভাবশালী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি। যেমনটা ঘটেছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে। সেখানে দখলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য। তার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির। আগে মনে করা হতো, এটা রাজধানীসহ বড় বড় শহরের সমস্যা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দেশের সব জায়গায় এ সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রশ্ন হলো, দখলদারা এত বিস্তৃতভাবে সারা দেশে কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কেন। এর কারণ হলো তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এর উদাহরণ হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর। সেখানে যারা খাস জায়গা দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের উপস্থিতিতে ভূমি কার্যালয়ের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে দখলকারীরা। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি, নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। পুনর্দখল করে ঘর নির্মাণের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অবৈধ স্থাপনা শুধু উচ্ছেদ করলেই হবে না। বরং যারা দখল করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না করে। উচ্ছেদের পর যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। সেখানে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই এ ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর এক সপ্তাহ পার হয়নি, আবার পুনর্দখল হয়ে গেছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে। পুনর্দখল করে মুছাপুর ক্লোজারের সামনে ৬০০ একর খাসজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে বেহাত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সরকারের শত কোটি টাকার সম্পত্তি। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এমন দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের খেলা চলছে দেশজুড়েই। এটা একটা দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। দেশের বড় বড় শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চলছে এমন দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের খেলা। রাস্তা-ঘাট-ফুটপাত থেকে শুরু করে নদী-নালা-খাল-বিল-বন-বাদার কোন কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। সবকিছুই চলে যাচ্ছে দখলদারদের পেটে।
দখলদারের তালিকায় আছে স্থানীয় প্রভাবশালী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি। যেমনটা ঘটেছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে। সেখানে দখলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য। তার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির। আগে মনে করা হতো, এটা রাজধানীসহ বড় বড় শহরের সমস্যা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দেশের সব জায়গায় এ সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রশ্ন হলো, দখলদারা এত বিস্তৃতভাবে সারা দেশে কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কেন। এর কারণ হলো তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এর উদাহরণ হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর। সেখানে যারা খাস জায়গা দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের উপস্থিতিতে ভূমি কার্যালয়ের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে দখলকারীরা। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি, নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। পুনর্দখল করে ঘর নির্মাণের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
অবৈধ স্থাপনা শুধু উচ্ছেদ করলেই হবে না। বরং যারা দখল করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না করে। উচ্ছেদের পর যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। সেখানে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই এ ব্যবস্থা করতে হবে।