alt

সম্পাদকীয়

বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করুন

: রোববার, ০৮ মে ২০২২

রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী সদর দপ্তরের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ আজ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের তিন আত্মীয়কে জরিমানা করার ঘটনার জের ধরে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

কেউ বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াই টিটিইর কাজ। রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয় টিকিট ছাড়াই এসি কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। তাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করে টিটিই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। উক্ত তিন যাত্রীর পরিচয় জানবার পরও যে তিনি তার দায়িত্ব ভুলে জাননি সেজন্য তাকে সাধুবাদ দেয়া যেতে পারে।

কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিচয়ে দায়িত্বরত টিটিইকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করার পূর্বে ঘটনা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন অনুভব করেনি।

বলা হয়ে থাকে, আইন সবার জন্য সমান। দেশে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ ঘটে না বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিনা টিকিটে মন্ত্রীর তিন আত্মীয়ের ভ্রমণের ঘটনায় এই অভিযোগ আরও জোরালো হলো। প্রভাবশালীরা শুধু আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েই ক্ষান্ত হন না। আইনের ঊর্ধ্বে থেকে চলার জন্য সব অন্যায় প্রচেষ্টাও তারা চালান। যে কারণে দায়িত্ব পালন করা টিটিইকে বরখাস্ত হতে হয়।

টিটিইর বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্ত হতে পারে। তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্ত্রীর হুকুমে কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ দেশের আইনে নেই। বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা উক্ত যাত্রীদের একজনের স্বজন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রেলমন্ত্রীর স্ত্রী রেলওয়ের একজন কর্মকর্তাকে ফোন করে টিটিইকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন।’

আমরা জানতে চাইব যে, রেলওয়েতে দায়িত্বরত কোন ব্যক্তিকে বরখাস্ত করতে বলার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর স্ত্রীর রয়েছে কিনা। না থাকলে এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরাই বা কেন মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় ওঠবস করলেন সেটারও তদন্ত হওয়া দরকার। পুরো ঘটনায় রেলমন্ত্রী কতটা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন সেই প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লিখিত ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, প্রভাবশালী কেউ তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করবে না।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

tab

সম্পাদকীয়

বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করুন

রোববার, ০৮ মে ২০২২

রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী সদর দপ্তরের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ আজ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের তিন আত্মীয়কে জরিমানা করার ঘটনার জের ধরে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

কেউ বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াই টিটিইর কাজ। রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয় টিকিট ছাড়াই এসি কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। তাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করে টিটিই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। উক্ত তিন যাত্রীর পরিচয় জানবার পরও যে তিনি তার দায়িত্ব ভুলে জাননি সেজন্য তাকে সাধুবাদ দেয়া যেতে পারে।

কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিচয়ে দায়িত্বরত টিটিইকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করার পূর্বে ঘটনা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন অনুভব করেনি।

বলা হয়ে থাকে, আইন সবার জন্য সমান। দেশে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ ঘটে না বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিনা টিকিটে মন্ত্রীর তিন আত্মীয়ের ভ্রমণের ঘটনায় এই অভিযোগ আরও জোরালো হলো। প্রভাবশালীরা শুধু আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েই ক্ষান্ত হন না। আইনের ঊর্ধ্বে থেকে চলার জন্য সব অন্যায় প্রচেষ্টাও তারা চালান। যে কারণে দায়িত্ব পালন করা টিটিইকে বরখাস্ত হতে হয়।

টিটিইর বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্ত হতে পারে। তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্ত্রীর হুকুমে কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ দেশের আইনে নেই। বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা উক্ত যাত্রীদের একজনের স্বজন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রেলমন্ত্রীর স্ত্রী রেলওয়ের একজন কর্মকর্তাকে ফোন করে টিটিইকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন।’

আমরা জানতে চাইব যে, রেলওয়েতে দায়িত্বরত কোন ব্যক্তিকে বরখাস্ত করতে বলার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর স্ত্রীর রয়েছে কিনা। না থাকলে এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরাই বা কেন মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় ওঠবস করলেন সেটারও তদন্ত হওয়া দরকার। পুরো ঘটনায় রেলমন্ত্রী কতটা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন সেই প্রশ্ন উঠেছে।

উল্লিখিত ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, প্রভাবশালী কেউ তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করবে না।

back to top