alt

সম্পাদকীয়

যৌতুক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

: বুধবার, ১১ মে ২০২২

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করা ও মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আইন অনুযায়ী যৌতুক নিষিদ্ধ। ১৯৮০ সালে আইন করে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়। ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ নামে নতুন আইন পাস করা হয়েছে। কিন্তু দেশে যৌতুক প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি।

গণমাধ্যমে প্রায়ই যৌতুকের জন্য নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয়। তবে যৌতুক নেয়ার যত ঘটনা ঘটে তার বেশির ভাগই গণমাধ্যমের নজর এড়িয়ে যায়। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, যৌতুক দেয়া-নেয়ার ধরন বদলেছে। এখন বিয়ের সময় নগদ টাকা কমই দেয়া হয়। নগদ টাকার পরিবর্তে মোটরবাইকের মতো বাহন, সোনার অলংকার প্রভৃতি নেয়া হয়। একে যৌতুক না বলে উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

দেশে নারীকে যৌতুকের জন্য আজও নির্যাতিত হতে হচ্ছে। অনেক নারী হত্যারও শিকার হচ্ছেন। পারিবারিক সহিংসতার বড় একটি কারণ যৌতুক।

যৌতুক নেয়ার জন্য আইনে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, বেশির ভাগ যৌতুক নেয়ার ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণে ভুক্তভোগী নারী আইনের আশ্রয় নিতে আগ্রহী হন না।

যৌতুকের কারণে নির্যাতনের কোন কোন ঘটনায় মামলা হলেও তার বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা আর পদে পদে ভোগান্তির কারণেও মানুষের মধ্যে আইনের আশ্রয় নিতে অনীহা দেখা দেয়।

যৌতুক প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। রংপুরে যৌতুকের দাবিতে নির্যানতনের ঘটনার দ্রুত বিচার করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই।

যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। দেশে যৌতুকের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। উপহারের ছদ্মাবরণে যৌতুক দেয়া-নেয়ার অপসংস্কৃতিকে যে কোন মূল্যে রুখে দিতে হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

যৌতুক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

বুধবার, ১১ মে ২০২২

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করা ও মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আইন অনুযায়ী যৌতুক নিষিদ্ধ। ১৯৮০ সালে আইন করে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়। ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ নামে নতুন আইন পাস করা হয়েছে। কিন্তু দেশে যৌতুক প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি।

গণমাধ্যমে প্রায়ই যৌতুকের জন্য নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয়। তবে যৌতুক নেয়ার যত ঘটনা ঘটে তার বেশির ভাগই গণমাধ্যমের নজর এড়িয়ে যায়। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, যৌতুক দেয়া-নেয়ার ধরন বদলেছে। এখন বিয়ের সময় নগদ টাকা কমই দেয়া হয়। নগদ টাকার পরিবর্তে মোটরবাইকের মতো বাহন, সোনার অলংকার প্রভৃতি নেয়া হয়। একে যৌতুক না বলে উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

দেশে নারীকে যৌতুকের জন্য আজও নির্যাতিত হতে হচ্ছে। অনেক নারী হত্যারও শিকার হচ্ছেন। পারিবারিক সহিংসতার বড় একটি কারণ যৌতুক।

যৌতুক নেয়ার জন্য আইনে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, বেশির ভাগ যৌতুক নেয়ার ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণে ভুক্তভোগী নারী আইনের আশ্রয় নিতে আগ্রহী হন না।

যৌতুকের কারণে নির্যাতনের কোন কোন ঘটনায় মামলা হলেও তার বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা আর পদে পদে ভোগান্তির কারণেও মানুষের মধ্যে আইনের আশ্রয় নিতে অনীহা দেখা দেয়।

যৌতুক প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। রংপুরে যৌতুকের দাবিতে নির্যানতনের ঘটনার দ্রুত বিচার করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই।

যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। দেশে যৌতুকের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। উপহারের ছদ্মাবরণে যৌতুক দেয়া-নেয়ার অপসংস্কৃতিকে যে কোন মূল্যে রুখে দিতে হবে।

back to top