রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করা ও মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আইন অনুযায়ী যৌতুক নিষিদ্ধ। ১৯৮০ সালে আইন করে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়। ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ নামে নতুন আইন পাস করা হয়েছে। কিন্তু দেশে যৌতুক প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি।
গণমাধ্যমে প্রায়ই যৌতুকের জন্য নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয়। তবে যৌতুক নেয়ার যত ঘটনা ঘটে তার বেশির ভাগই গণমাধ্যমের নজর এড়িয়ে যায়। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, যৌতুক দেয়া-নেয়ার ধরন বদলেছে। এখন বিয়ের সময় নগদ টাকা কমই দেয়া হয়। নগদ টাকার পরিবর্তে মোটরবাইকের মতো বাহন, সোনার অলংকার প্রভৃতি নেয়া হয়। একে যৌতুক না বলে উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
দেশে নারীকে যৌতুকের জন্য আজও নির্যাতিত হতে হচ্ছে। অনেক নারী হত্যারও শিকার হচ্ছেন। পারিবারিক সহিংসতার বড় একটি কারণ যৌতুক।
যৌতুক নেয়ার জন্য আইনে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, বেশির ভাগ যৌতুক নেয়ার ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণে ভুক্তভোগী নারী আইনের আশ্রয় নিতে আগ্রহী হন না।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের কোন কোন ঘটনায় মামলা হলেও তার বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা আর পদে পদে ভোগান্তির কারণেও মানুষের মধ্যে আইনের আশ্রয় নিতে অনীহা দেখা দেয়।
যৌতুক প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। রংপুরে যৌতুকের দাবিতে নির্যানতনের ঘটনার দ্রুত বিচার করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই।
যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। দেশে যৌতুকের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। উপহারের ছদ্মাবরণে যৌতুক দেয়া-নেয়ার অপসংস্কৃতিকে যে কোন মূল্যে রুখে দিতে হবে।
বুধবার, ১১ মে ২০২২
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করা ও মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আইন অনুযায়ী যৌতুক নিষিদ্ধ। ১৯৮০ সালে আইন করে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়। ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ নামে নতুন আইন পাস করা হয়েছে। কিন্তু দেশে যৌতুক প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি।
গণমাধ্যমে প্রায়ই যৌতুকের জন্য নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয়। তবে যৌতুক নেয়ার যত ঘটনা ঘটে তার বেশির ভাগই গণমাধ্যমের নজর এড়িয়ে যায়। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, যৌতুক দেয়া-নেয়ার ধরন বদলেছে। এখন বিয়ের সময় নগদ টাকা কমই দেয়া হয়। নগদ টাকার পরিবর্তে মোটরবাইকের মতো বাহন, সোনার অলংকার প্রভৃতি নেয়া হয়। একে যৌতুক না বলে উপহার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
দেশে নারীকে যৌতুকের জন্য আজও নির্যাতিত হতে হচ্ছে। অনেক নারী হত্যারও শিকার হচ্ছেন। পারিবারিক সহিংসতার বড় একটি কারণ যৌতুক।
যৌতুক নেয়ার জন্য আইনে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, বেশির ভাগ যৌতুক নেয়ার ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণে ভুক্তভোগী নারী আইনের আশ্রয় নিতে আগ্রহী হন না।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের কোন কোন ঘটনায় মামলা হলেও তার বিচার পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা আর পদে পদে ভোগান্তির কারণেও মানুষের মধ্যে আইনের আশ্রয় নিতে অনীহা দেখা দেয়।
যৌতুক প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। রংপুরে যৌতুকের দাবিতে নির্যানতনের ঘটনার দ্রুত বিচার করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই।
যৌতুকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। দেশে যৌতুকের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। উপহারের ছদ্মাবরণে যৌতুক দেয়া-নেয়ার অপসংস্কৃতিকে যে কোন মূল্যে রুখে দিতে হবে।