গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাঁচা-পাকা সড়কগুলো বোরোধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনসহ পথচারীদের চলাচল। প্রতিদিনই ঘটনছে নানান অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সড়কে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রাণহানিও ঘটেছে একজনের। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সড়ক হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য। এর বাইরে অন্য কোন কাজে এর ব্যবহার সঙ্গত নয়। কিন্তু দেশের সড়কগুলো নানাভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যস্ততম সড়কে বসছে বাজার, সড়ক দখল করে রাখা হচ্ছে নির্মাণ সামগ্রী। এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়কগুলো ব্যবহার হচ্ছে- ধান মাড়াই, পাট শুকানো ও খড় শুকানোর মতো নানান কাজে।
ফলে সড়কে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। প্রায়ই নানান দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রাণহাণির খবর পাওয়া যাচ্ছে। সড়কে খড় শুকাতে দেওয়ার কারণে কোথায় গর্ত, উঁচু-নিচু বা স্পিডব্রেকার রয়েছে তা বোঝার উপায় থাকে না। মোটরসাইকেলের আরোহী ছাড়াও ছোট-বড় সব যানবাহন সেই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। খড় পিচ্ছিল হওয়াতে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বেগ পেতে হয়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস থেকেই বৃষ্টিপাতের শুরু হয়। রাস্তায় ফেলে রাখা খড় বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেলে বিপদ আরো বাড়ে। মানুষ যেমন জেনে বা না জেনে সড়কের অপব্যবহার করছে, তেমনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এ অপব্যবহার রোধে উদাসীনতা রয়েছে।
কৃষকরা অপরিকল্পিতভাবে বসতবাড়ি নির্মাণ করছে। বাড়িতে উঠান না রাখায় সড়ক দখল করে ধান মাড়াই, ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে। কৃষকের উঠান নেই বলেই সড়ক ব্যবহার করে। প্রশ্ন হচ্ছে- সড়ক যদি উঠানের মতো ব্যবহারের সুযোগ থাকে তাহলে কৃষক উঠান রাখবে কীসের জন্য।
সড়কে যেন নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে সব ধরনের দখলের অবসান ঘটাতে হবে। যাদের উঠান নেই তারা কোথায় ধান মাড়াই করবে সেটা একটা সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেই উপায় খুঁজতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাঁচা-পাকা সড়কগুলো বোরোধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনসহ পথচারীদের চলাচল। প্রতিদিনই ঘটনছে নানান অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সড়কে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রাণহানিও ঘটেছে একজনের। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সড়ক হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য। এর বাইরে অন্য কোন কাজে এর ব্যবহার সঙ্গত নয়। কিন্তু দেশের সড়কগুলো নানাভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যস্ততম সড়কে বসছে বাজার, সড়ক দখল করে রাখা হচ্ছে নির্মাণ সামগ্রী। এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়কগুলো ব্যবহার হচ্ছে- ধান মাড়াই, পাট শুকানো ও খড় শুকানোর মতো নানান কাজে।
ফলে সড়কে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। প্রায়ই নানান দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রাণহাণির খবর পাওয়া যাচ্ছে। সড়কে খড় শুকাতে দেওয়ার কারণে কোথায় গর্ত, উঁচু-নিচু বা স্পিডব্রেকার রয়েছে তা বোঝার উপায় থাকে না। মোটরসাইকেলের আরোহী ছাড়াও ছোট-বড় সব যানবাহন সেই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। খড় পিচ্ছিল হওয়াতে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বেগ পেতে হয়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস থেকেই বৃষ্টিপাতের শুরু হয়। রাস্তায় ফেলে রাখা খড় বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেলে বিপদ আরো বাড়ে। মানুষ যেমন জেনে বা না জেনে সড়কের অপব্যবহার করছে, তেমনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এ অপব্যবহার রোধে উদাসীনতা রয়েছে।
কৃষকরা অপরিকল্পিতভাবে বসতবাড়ি নির্মাণ করছে। বাড়িতে উঠান না রাখায় সড়ক দখল করে ধান মাড়াই, ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে। কৃষকের উঠান নেই বলেই সড়ক ব্যবহার করে। প্রশ্ন হচ্ছে- সড়ক যদি উঠানের মতো ব্যবহারের সুযোগ থাকে তাহলে কৃষক উঠান রাখবে কীসের জন্য।
সড়কে যেন নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে সব ধরনের দখলের অবসান ঘটাতে হবে। যাদের উঠান নেই তারা কোথায় ধান মাড়াই করবে সেটা একটা সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেই উপায় খুঁজতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে।