alt

সম্পাদকীয়

ভোজ্যতেলের সংকট কেন কাটছে না

: শনিবার, ১৪ মে ২০২২

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কাটছে না। এখনো খুচরা পর্যায়ে তেল মিলছে না। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তারা তেল পাচ্ছেন না। কিন্তু দেশে তেলের কোন ঘাটতি আছে বলে জানা যায় না। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও তেলের মজুতের সন্ধান মিলছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব তেল কোন স্তরের ব্যবসায়ীরা মজুত করেছেন।

দেশে ভোজ্যতেলের সংকট নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এর আগে তেল মজুতের জন্য খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাদের বিশ্বাস করার জন্য মন্ত্রী আক্ষেপও করেছেন। তিনি মজুতদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেও।

তবে ব্যবসায়ীরা এতে আপত্তি জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, ভোক্তা অধিকার দপ্তরের অভিযানে ব্যবাসায়ীদের ‘চোর’ বানানো হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। তারা অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছেন। কোন কোন ব্যবসায়ী বলছেন, ব্যবসা করতে হলে পণ্য মজুত করতে হবে। এ বিষয়ে গাইডলাইন করা যেতে পারে।

সয়াবিনের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ভোজ্যতেলের বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শুধু জটিলই হচ্ছে। বাজার আপনগতিতে চললে পরিস্থিতি আপনাতেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর গুরুতর অভিযোগ দেশে রয়েছে।

এদিকে প্রতিযোগিতা কমিশন উৎপাদন ও সরবরাহের পাশাপাশি সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে ভোজ্যতেল আমদানিকারক আট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

ভোজ্যতেলের সংকট নিয়ে একেক পক্ষের একেক ধরনের বক্তব্যের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তেল নিয়ে তেলেসমাতির আসল কারণ কী সেটা স্পষ্ট হচ্ছে না।

বাড়তি দাম দেয়া সত্ত্বেও ভোক্তার হাতে চাহিদামাফিক তেল না পৌঁছানোর জন্য খুচরা, পাইকারি বা আমদানিকারক পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কার কী ভূমিকা রয়েছে সেটা জানা জরুরি। আসলেই কি ভোজ্যতেলের মজুত কমেছে, কমলে লাখ লাখ লিটার তেল উদ্ধার হচ্ছে কীভাবে? উদ্ধার হওয়া তেল কি স্বাভাবিক মজুত করা তেল নাকি বাড়তি মুনাফা আসায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ মজুত করা হয়েছে? ভোজ্যতেল নিয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে সেখান থেকে মুক্তি পেতে হলে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

ভোজ্যতেলের সংকট কেন কাটছে না

শনিবার, ১৪ মে ২০২২

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কাটছে না। এখনো খুচরা পর্যায়ে তেল মিলছে না। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তারা তেল পাচ্ছেন না। কিন্তু দেশে তেলের কোন ঘাটতি আছে বলে জানা যায় না। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও তেলের মজুতের সন্ধান মিলছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব তেল কোন স্তরের ব্যবসায়ীরা মজুত করেছেন।

দেশে ভোজ্যতেলের সংকট নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এর আগে তেল মজুতের জন্য খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাদের বিশ্বাস করার জন্য মন্ত্রী আক্ষেপও করেছেন। তিনি মজুতদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেও।

তবে ব্যবসায়ীরা এতে আপত্তি জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, ভোক্তা অধিকার দপ্তরের অভিযানে ব্যবাসায়ীদের ‘চোর’ বানানো হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। তারা অভিযান বন্ধের দাবি তুলেছেন। কোন কোন ব্যবসায়ী বলছেন, ব্যবসা করতে হলে পণ্য মজুত করতে হবে। এ বিষয়ে গাইডলাইন করা যেতে পারে।

সয়াবিনের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ভোজ্যতেলের বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শুধু জটিলই হচ্ছে। বাজার আপনগতিতে চললে পরিস্থিতি আপনাতেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়ানোর গুরুতর অভিযোগ দেশে রয়েছে।

এদিকে প্রতিযোগিতা কমিশন উৎপাদন ও সরবরাহের পাশাপাশি সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে ভোজ্যতেল আমদানিকারক আট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

ভোজ্যতেলের সংকট নিয়ে একেক পক্ষের একেক ধরনের বক্তব্যের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তেল নিয়ে তেলেসমাতির আসল কারণ কী সেটা স্পষ্ট হচ্ছে না।

বাড়তি দাম দেয়া সত্ত্বেও ভোক্তার হাতে চাহিদামাফিক তেল না পৌঁছানোর জন্য খুচরা, পাইকারি বা আমদানিকারক পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কার কী ভূমিকা রয়েছে সেটা জানা জরুরি। আসলেই কি ভোজ্যতেলের মজুত কমেছে, কমলে লাখ লাখ লিটার তেল উদ্ধার হচ্ছে কীভাবে? উদ্ধার হওয়া তেল কি স্বাভাবিক মজুত করা তেল নাকি বাড়তি মুনাফা আসায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ মজুত করা হয়েছে? ভোজ্যতেল নিয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে সেখান থেকে মুক্তি পেতে হলে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে।

back to top