alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষা খাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি

: সোমবার, ২৩ মে ২০২২

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে ১০টি বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে চারটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও অগ্রগতি মাত্র ৯ থেকে ২৫ শতাংশ। অন্য একটি পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের ১২ বছরে অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ। বাকি পাঁচটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও ‘নাজুক’। এ অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও তা নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও অতীতের অভিজ্ঞতা অন্তত তাই বলে।

মাউশি ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের অধীনে চলমান রয়েছে ৭৪টি প্রকল্প। যেগুলোর বেশির ভাগই নির্ধারিত মেয়াদে বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) ৭৮টি প্রকল্পে আট হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। বাকি সময়ে পুরো অর্থ যে ব্যয় হচ্ছে না সেটা এক রকম নিশ্চিত। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশঙ্কা অন্তত ১৫ শতাংশ বা প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা ফেরত চলে যাবে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন পড়ে মনে হয় শিক্ষা খাতের প্রকল্পগুলোর লেজে-গোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রকল্প নিয়ে টানা-হেঁচড়া, কাটা-ছেঁড়া চলছে। অন্যদিকে চলছে একে অপরের উপর দায় চাপানোর খেলা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির জন্য মন্ত্রণালয়, মাউশির কর্মকর্তারা ও প্রকল্পের পরিচালকরা পরস্পরকে দায়ী করছেন।

শিক্ষা খাতে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি সাধনের জন্য এখনও অনেক করণীয় বাকি। কিন্তু প্রকল্পগুলোর হতশ্রী দশা দেখে আশাবাদী হওয়া যায় না। বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন; যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এই অপ্রতুল বরাদ্দ শিক্ষাখাতের উন্নয়নে যখাযথভাবে ব্যায় করা হলেও দৈন্যদশা অনেকটা দূর হতো। যতটুক বরাদ্দ আছে তাও যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা না হয়, প্রকল্প যদি বছরের পর বছর ঝুলে থাকে-তাহলে শিক্ষাখাতে অগ্রগতি হবে কীভাবে।

শিক্ষা খাতের প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপালে চলবে না। তাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করেতে হবে।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষা খাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি

সোমবার, ২৩ মে ২০২২

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে ১০টি বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে চারটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও অগ্রগতি মাত্র ৯ থেকে ২৫ শতাংশ। অন্য একটি পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের ১২ বছরে অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ। বাকি পাঁচটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও ‘নাজুক’। এ অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও তা নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও অতীতের অভিজ্ঞতা অন্তত তাই বলে।

মাউশি ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের অধীনে চলমান রয়েছে ৭৪টি প্রকল্প। যেগুলোর বেশির ভাগই নির্ধারিত মেয়াদে বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) ৭৮টি প্রকল্পে আট হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। বাকি সময়ে পুরো অর্থ যে ব্যয় হচ্ছে না সেটা এক রকম নিশ্চিত। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশঙ্কা অন্তত ১৫ শতাংশ বা প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা ফেরত চলে যাবে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন পড়ে মনে হয় শিক্ষা খাতের প্রকল্পগুলোর লেজে-গোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রকল্প নিয়ে টানা-হেঁচড়া, কাটা-ছেঁড়া চলছে। অন্যদিকে চলছে একে অপরের উপর দায় চাপানোর খেলা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির জন্য মন্ত্রণালয়, মাউশির কর্মকর্তারা ও প্রকল্পের পরিচালকরা পরস্পরকে দায়ী করছেন।

শিক্ষা খাতে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি সাধনের জন্য এখনও অনেক করণীয় বাকি। কিন্তু প্রকল্পগুলোর হতশ্রী দশা দেখে আশাবাদী হওয়া যায় না। বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন; যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এই অপ্রতুল বরাদ্দ শিক্ষাখাতের উন্নয়নে যখাযথভাবে ব্যায় করা হলেও দৈন্যদশা অনেকটা দূর হতো। যতটুক বরাদ্দ আছে তাও যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা না হয়, প্রকল্প যদি বছরের পর বছর ঝুলে থাকে-তাহলে শিক্ষাখাতে অগ্রগতি হবে কীভাবে।

শিক্ষা খাতের প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপালে চলবে না। তাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করেতে হবে।

back to top