alt

সম্পাদকীয়

নিরাপদ মাতৃত্ব

: শনিবার, ২৮ মে ২০২২

আজ দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, ‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হবে যেতে’।

এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৬৪ জন। এক সময় এই হার ছিল প্রতি লাখে ৫০০ জন। অতীতের তুলনায় মাতৃমৃত্যুর হার কমলেও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে এখনও বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। এসডিজির লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনতে হবে।

দেশে মাতৃমৃত্যুর বড় একটি কারণ হচ্ছে বাড়িতে সন্তান জন্ম দেয়া। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফের যৌথ প্রতিবেদন মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে এখনো বাড়িতে প্রসবের হার ৪৬ শতাংশ।

প্রান্তিক এলাকায় ও শহরের নিম্নবিত্ত পরিবারে সন্তান প্রসবের জন্য নারীদের প্রায়ই চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়া হয় না। প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাবে অনেক মা ও শিশুর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। সংকটাপন্ন অবস্থায় এক পর্যায়ে মাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানোর কাজটি চিকিৎসকদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। এজন্য মাতৃমৃত্যু কমাতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে প্রসবকালীন বা প্রসবপরবর্তী জটিলতা কম হয় বা হলেও তা সহজে সমাধান করা যায়। মা ও শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।

দেশের সর্বত্র প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির ব্যবস্থা করা দরকার। সরকার বাড়িতে প্রসব করানোর হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে হাসপাতালে প্রসবসেবা ৭০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। তবে এক্ষেত্রে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়া একটি চ্যালেঞ্জ। উক্ত লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও অনেক পরিবার বাড়িতে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত কেন নেয় সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত দারিদ্র্যের কারণে এসব পরিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায় না। যদিও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে মায়েদের জন্য সেবা দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে অনেক পরিবার অসচেতন।

মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে মায়েদের পাশাপাশি পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সচেতন করতে হবে।

নিরাপদ মাতৃত্ব শুধু নিরাপদ প্রসবের মধ্যেই সীমাব্ধ নয়। প্রসবকালীন সেবার পাশাপাশি গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে নারীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও জরুরি। গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হলে অনেক মা ও শিশুর প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে। কাজেই মাতৃত্বের প্রতিটি স্তরেই স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

নিরাপদ মাতৃত্ব

শনিবার, ২৮ মে ২০২২

আজ দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, ‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হবে যেতে’।

এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৬৪ জন। এক সময় এই হার ছিল প্রতি লাখে ৫০০ জন। অতীতের তুলনায় মাতৃমৃত্যুর হার কমলেও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে এখনও বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। এসডিজির লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এর নিচে নামিয়ে আনতে হবে।

দেশে মাতৃমৃত্যুর বড় একটি কারণ হচ্ছে বাড়িতে সন্তান জন্ম দেয়া। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফের যৌথ প্রতিবেদন মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে এখনো বাড়িতে প্রসবের হার ৪৬ শতাংশ।

প্রান্তিক এলাকায় ও শহরের নিম্নবিত্ত পরিবারে সন্তান প্রসবের জন্য নারীদের প্রায়ই চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়া হয় না। প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাবে অনেক মা ও শিশুর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। সংকটাপন্ন অবস্থায় এক পর্যায়ে মাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানোর কাজটি চিকিৎসকদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। এজন্য মাতৃমৃত্যু কমাতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে প্রসবকালীন বা প্রসবপরবর্তী জটিলতা কম হয় বা হলেও তা সহজে সমাধান করা যায়। মা ও শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।

দেশের সর্বত্র প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির ব্যবস্থা করা দরকার। সরকার বাড়িতে প্রসব করানোর হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে হাসপাতালে প্রসবসেবা ৭০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। তবে এক্ষেত্রে সব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়া একটি চ্যালেঞ্জ। উক্ত লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও অনেক পরিবার বাড়িতে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত কেন নেয় সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত দারিদ্র্যের কারণে এসব পরিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায় না। যদিও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে মায়েদের জন্য সেবা দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে অনেক পরিবার অসচেতন।

মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে মায়েদের পাশাপাশি পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সচেতন করতে হবে।

নিরাপদ মাতৃত্ব শুধু নিরাপদ প্রসবের মধ্যেই সীমাব্ধ নয়। প্রসবকালীন সেবার পাশাপাশি গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে নারীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও জরুরি। গর্ভকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সময়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হলে অনেক মা ও শিশুর প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে। কাজেই মাতৃত্বের প্রতিটি স্তরেই স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে।

back to top