পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ছোট বিড়ালঝুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছে ১০৯টি ভূমিহীন পরিবার। এসব পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই ছিল নিরক্ষর। তারা নিজেদের নাম পর্যন্ত লিখতে পারতেন না। কিন্তু এখন তাদের অনেকেই নাম লিখতে পারেন। অনেকে বর্ণমালা শেখার পর চেষ্টা করছেন বানান করে পড়তে। কেউ কেউ সফলও হয়েছেন, তারা এখন পড়তে পারেন। সেখানে একটি নৈশবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এমন চমৎকারিত্ব ঘটিয়েছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। নৈশবিদ্যালয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত আসছেন, পাঠ নিচ্ছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নৈশবিদ্যালয়টির শুরুতে ৬০ থেকে ৭০ জন উপস্থিত থাকতেন। গত কয়েক মাসে অনেকেই নিজের নাম লেখা শিখে গেছেন, সাক্ষরজ্ঞান হয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন পড়াশোনা করতে আসছেন। পাঠদানের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনাও করা হয়। শুরু থেকেই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একজন মাঠকর্মী সেখানে অবৈতনিক পাঠদান করে আসছেন।
ইউইএনও জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। তখন তিনি দেখলেন, অনেকে স্বাক্ষর দিতে জানেন না। এরপর নৈশবিদ্যালয় করার পরিকল্পনাটি তার মাথায় আসে। আশ্রয়ন প্রকল্পে ঠাঁই হওয়ার পর পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় খুশি সেখানাকার বাসিন্দারা।
নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা। বাস্তবতা হলো, অনেকেই এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লিখিত আশ্রয়ণ প্রকল্পেরর কয়েকশ বাসিন্দাও এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। কাউখালীর ইউএনওর উদ্যোগে তারা শিক্ষার আলো পেয়েছে। এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। নৈশবিদ্যালয়ের অবৈতনিক শিক্ষককে জানাই অভিবাদন। তাদের কার্যক্রমও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য ও অনুকরণীয়। আমরা চাই, দেশের অন্যান্য আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে এমন কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ুক।
শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ছোট বিড়ালঝুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছে ১০৯টি ভূমিহীন পরিবার। এসব পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই ছিল নিরক্ষর। তারা নিজেদের নাম পর্যন্ত লিখতে পারতেন না। কিন্তু এখন তাদের অনেকেই নাম লিখতে পারেন। অনেকে বর্ণমালা শেখার পর চেষ্টা করছেন বানান করে পড়তে। কেউ কেউ সফলও হয়েছেন, তারা এখন পড়তে পারেন। সেখানে একটি নৈশবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এমন চমৎকারিত্ব ঘটিয়েছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। নৈশবিদ্যালয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত আসছেন, পাঠ নিচ্ছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নৈশবিদ্যালয়টির শুরুতে ৬০ থেকে ৭০ জন উপস্থিত থাকতেন। গত কয়েক মাসে অনেকেই নিজের নাম লেখা শিখে গেছেন, সাক্ষরজ্ঞান হয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন পড়াশোনা করতে আসছেন। পাঠদানের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনাও করা হয়। শুরু থেকেই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একজন মাঠকর্মী সেখানে অবৈতনিক পাঠদান করে আসছেন।
ইউইএনও জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। তখন তিনি দেখলেন, অনেকে স্বাক্ষর দিতে জানেন না। এরপর নৈশবিদ্যালয় করার পরিকল্পনাটি তার মাথায় আসে। আশ্রয়ন প্রকল্পে ঠাঁই হওয়ার পর পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় খুশি সেখানাকার বাসিন্দারা।
নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা। বাস্তবতা হলো, অনেকেই এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লিখিত আশ্রয়ণ প্রকল্পেরর কয়েকশ বাসিন্দাও এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। কাউখালীর ইউএনওর উদ্যোগে তারা শিক্ষার আলো পেয়েছে। এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। নৈশবিদ্যালয়ের অবৈতনিক শিক্ষককে জানাই অভিবাদন। তাদের কার্যক্রমও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য ও অনুকরণীয়। আমরা চাই, দেশের অন্যান্য আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে এমন কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ুক।