alt

সম্পাদকীয়

অনুকরণীয় উদাহরণ

: শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ছোট বিড়ালঝুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছে ১০৯টি ভূমিহীন পরিবার। এসব পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই ছিল নিরক্ষর। তারা নিজেদের নাম পর্যন্ত লিখতে পারতেন না। কিন্তু এখন তাদের অনেকেই নাম লিখতে পারেন। অনেকে বর্ণমালা শেখার পর চেষ্টা করছেন বানান করে পড়তে। কেউ কেউ সফলও হয়েছেন, তারা এখন পড়তে পারেন। সেখানে একটি নৈশবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এমন চমৎকারিত্ব ঘটিয়েছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। নৈশবিদ্যালয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত আসছেন, পাঠ নিচ্ছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নৈশবিদ্যালয়টির শুরুতে ৬০ থেকে ৭০ জন উপস্থিত থাকতেন। গত কয়েক মাসে অনেকেই নিজের নাম লেখা শিখে গেছেন, সাক্ষরজ্ঞান হয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন পড়াশোনা করতে আসছেন। পাঠদানের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনাও করা হয়। শুরু থেকেই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একজন মাঠকর্মী সেখানে অবৈতনিক পাঠদান করে আসছেন।

ইউইএনও জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। তখন তিনি দেখলেন, অনেকে স্বাক্ষর দিতে জানেন না। এরপর নৈশবিদ্যালয় করার পরিকল্পনাটি তার মাথায় আসে। আশ্রয়ন প্রকল্পে ঠাঁই হওয়ার পর পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় খুশি সেখানাকার বাসিন্দারা।

নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা। বাস্তবতা হলো, অনেকেই এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লিখিত আশ্রয়ণ প্রকল্পেরর কয়েকশ বাসিন্দাও এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। কাউখালীর ইউএনওর উদ্যোগে তারা শিক্ষার আলো পেয়েছে। এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। নৈশবিদ্যালয়ের অবৈতনিক শিক্ষককে জানাই অভিবাদন। তাদের কার্যক্রমও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য ও অনুকরণীয়। আমরা চাই, দেশের অন্যান্য আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে এমন কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ুক।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

অনুকরণীয় উদাহরণ

শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ছোট বিড়ালঝুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছে ১০৯টি ভূমিহীন পরিবার। এসব পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই ছিল নিরক্ষর। তারা নিজেদের নাম পর্যন্ত লিখতে পারতেন না। কিন্তু এখন তাদের অনেকেই নাম লিখতে পারেন। অনেকে বর্ণমালা শেখার পর চেষ্টা করছেন বানান করে পড়তে। কেউ কেউ সফলও হয়েছেন, তারা এখন পড়তে পারেন। সেখানে একটি নৈশবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এমন চমৎকারিত্ব ঘটিয়েছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। নৈশবিদ্যালয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত আসছেন, পাঠ নিচ্ছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নৈশবিদ্যালয়টির শুরুতে ৬০ থেকে ৭০ জন উপস্থিত থাকতেন। গত কয়েক মাসে অনেকেই নিজের নাম লেখা শিখে গেছেন, সাক্ষরজ্ঞান হয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন পড়াশোনা করতে আসছেন। পাঠদানের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনাও করা হয়। শুরু থেকেই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একজন মাঠকর্মী সেখানে অবৈতনিক পাঠদান করে আসছেন।

ইউইএনও জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। তখন তিনি দেখলেন, অনেকে স্বাক্ষর দিতে জানেন না। এরপর নৈশবিদ্যালয় করার পরিকল্পনাটি তার মাথায় আসে। আশ্রয়ন প্রকল্পে ঠাঁই হওয়ার পর পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় খুশি সেখানাকার বাসিন্দারা।

নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষা। বাস্তবতা হলো, অনেকেই এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লিখিত আশ্রয়ণ প্রকল্পেরর কয়েকশ বাসিন্দাও এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। কাউখালীর ইউএনওর উদ্যোগে তারা শিক্ষার আলো পেয়েছে। এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। নৈশবিদ্যালয়ের অবৈতনিক শিক্ষককে জানাই অভিবাদন। তাদের কার্যক্রমও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য ও অনুকরণীয়। আমরা চাই, দেশের অন্যান্য আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে এমন কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ুক।

back to top