alt

opinion » editorial

বস্তিবাসীর সমস্যার টেকসই সমাধান করতে হবে

: রোববার, ১২ জুন ২০২২

দেশের ৬ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস করে শহুরে বস্তিতে। শুধু রাজধানীতেই কমপক্ষে সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বস্তিতে বাস করে। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষণা থেকে জানা গেছে এসব তথ্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীতে বস্তি রয়েছে ৩ হাজার ৪০০টি। মেগাসিটি ঢাকার বস্তিতে গড়ে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। অথচ বস্তির বাইরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৪৭ হাজার মানুষ। একে তো বস্তিগুলো বসবাসের অনুপযোগী তার ওপর সেখানে জনঘনত্ব বেশি। সিংহভাগ বস্তিই গড়ে উঠেছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। সেখানে ন্যূনতম নাগরিক সেবা মেলাও ভার।

দেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। নদীভাঙনসহ নানা প্রাকৃতি দুর্যোগে অনেকেই গৃহহীন হয়ে শহরে আশ্রয় খুঁজছে। যদিও শহরে তাদের মানসম্মত আশ্রয় মিলছে না। তবে এখানে একটা না একটা কাজ জুটে যায়। শহরকেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের কারণে দিন দিন শহরে মানুষের ভিড় বাড়ছে। মানুষের শহরমুখী যে প্রবণতাতে তাতে ২০৫০ সালে দেশের ৭০ ভাগ লোক শহরে চলে আসবে বলে অনেকে মনে করেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ঘর হারিয়ে বা গ্রাম ছেড়ে শহরে আসছে তাদের জন্য কি শহরেই মানসম্মত আবাসন গড়ে তোলা হবে নাকি বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে এই জনস্রোত প্রতিরোধ করা হবে। রাজধানীর আয়তনের তুলনায় মানুষ বেশি। এখানে বাস করা প্রতিটি মানুষের জন্যই দুরূহ হয়ে পড়েছে। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, যানজট প্রভৃতি নিত্যকার সমস্যা। বস্তিবাসীকে এর বাইরেও আরও অনেক বেশি সমস্যায় ভুগতে হয়।

টেকসই উন্নয়ন করতে হলে প্রতিটি মানুষের কথাই বিবেচনায় আনতে হবে। বস্তিবাসীরও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। কেউ কেউ বলছেন, বস্তিবাসীর জন্য পরিকল্পিত উন্নত আবাসন গড়ে তোলা দরকার। তবে অনেকে বলছেন, রাজধানীতে বস্তিবাসীদের থাকার সুব্যবস্থা করা হলে আরও বেশি মানুষ ঢাকামুখী হবে। তাতে সমস্যা না কমে উলটো বাড়বে। তারা বলছেন, গ্রামেই সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলে টেকসই সমাধান মিলতে পারে।

রাজধানীর আয়তন বাড়ানোর কথাও বলেন অনেকে। তবে রাজধানীকে সম্প্রসারণ করার কাজও সহজ নয়। এর চারপাশের এলাকাগুলোর জনঘনত্বও ইতোমধ্যে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেসব এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আমরা বলতে চাই, সরকারকে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে বাস্তবতার নিরিখে। শুধু আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন কাজ করলে সমস্যার টেকসই সমাধান নাও হতে পারে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বস্তিবাসীর সমস্যার টেকসই সমাধান করতে হবে

রোববার, ১২ জুন ২০২২

দেশের ৬ শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস করে শহুরে বস্তিতে। শুধু রাজধানীতেই কমপক্ষে সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বস্তিতে বাস করে। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষণা থেকে জানা গেছে এসব তথ্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীতে বস্তি রয়েছে ৩ হাজার ৪০০টি। মেগাসিটি ঢাকার বস্তিতে গড়ে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। অথচ বস্তির বাইরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৪৭ হাজার মানুষ। একে তো বস্তিগুলো বসবাসের অনুপযোগী তার ওপর সেখানে জনঘনত্ব বেশি। সিংহভাগ বস্তিই গড়ে উঠেছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। সেখানে ন্যূনতম নাগরিক সেবা মেলাও ভার।

দেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। নদীভাঙনসহ নানা প্রাকৃতি দুর্যোগে অনেকেই গৃহহীন হয়ে শহরে আশ্রয় খুঁজছে। যদিও শহরে তাদের মানসম্মত আশ্রয় মিলছে না। তবে এখানে একটা না একটা কাজ জুটে যায়। শহরকেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের কারণে দিন দিন শহরে মানুষের ভিড় বাড়ছে। মানুষের শহরমুখী যে প্রবণতাতে তাতে ২০৫০ সালে দেশের ৭০ ভাগ লোক শহরে চলে আসবে বলে অনেকে মনে করেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ঘর হারিয়ে বা গ্রাম ছেড়ে শহরে আসছে তাদের জন্য কি শহরেই মানসম্মত আবাসন গড়ে তোলা হবে নাকি বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে এই জনস্রোত প্রতিরোধ করা হবে। রাজধানীর আয়তনের তুলনায় মানুষ বেশি। এখানে বাস করা প্রতিটি মানুষের জন্যই দুরূহ হয়ে পড়েছে। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, যানজট প্রভৃতি নিত্যকার সমস্যা। বস্তিবাসীকে এর বাইরেও আরও অনেক বেশি সমস্যায় ভুগতে হয়।

টেকসই উন্নয়ন করতে হলে প্রতিটি মানুষের কথাই বিবেচনায় আনতে হবে। বস্তিবাসীরও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। কেউ কেউ বলছেন, বস্তিবাসীর জন্য পরিকল্পিত উন্নত আবাসন গড়ে তোলা দরকার। তবে অনেকে বলছেন, রাজধানীতে বস্তিবাসীদের থাকার সুব্যবস্থা করা হলে আরও বেশি মানুষ ঢাকামুখী হবে। তাতে সমস্যা না কমে উলটো বাড়বে। তারা বলছেন, গ্রামেই সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলে টেকসই সমাধান মিলতে পারে।

রাজধানীর আয়তন বাড়ানোর কথাও বলেন অনেকে। তবে রাজধানীকে সম্প্রসারণ করার কাজও সহজ নয়। এর চারপাশের এলাকাগুলোর জনঘনত্বও ইতোমধ্যে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেসব এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আমরা বলতে চাই, সরকারকে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে বাস্তবতার নিরিখে। শুধু আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন কাজ করলে সমস্যার টেকসই সমাধান নাও হতে পারে।

back to top