alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বস্তিবাসী নারীদের জন্য চাই নিরাপদ গোসলখানা

: সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

রাজধানীর বিভিন্ন বস্তির ৭২ শতাংশ কিশোরী-তরুণী উন্মুক্ত গোসলখানায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকে। এছাড়া উন্মুক্ত গোসলখানায় যৌন হয়রানির মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। সম্প্রতি ‘নিরাপদ গোসলখানা সবার জন্য সবখানে’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীর চারটি বস্তিতে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ পরিচালিত এক জরিপ এমন তথ্য উঠে আসে।

জানা গেছে, জরিপ এলাকার ৯৯ শতাংশ গোসলখানাই উন্মুক্ত। এসব গোসলখানার মাত্র ১৫ শতাংশ মেয়েদের জন্য আলাদা, বাকিগুলো নারী-পুরুষ যৌথভাবেই ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর ছাদ ও দেয়াল না থাকায় গোপনীয়তা বলতে কিছুই থাকে না।

দেশে পাঁচ হাজারের মতো বস্তি রয়েছে। বুয়েটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বস্তি রয়েছে ৩ হাজার ৪০০টি। বস্তি এলাকার জীবনমানের মৌলিক ক্ষেত্রগুলোতে গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা মৌলিক অনেক সেবাই যথাযথভাবে পায় না। নিরাপদ গোসলখানা না থাকা সেই বঞ্চনারই অংশ।

দেশের বেশিরভাগ বস্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সাধারণত স্থানীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা এসব বস্তি গড়ে তোলে, নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বস্তিবাসীর শুধু গোসলখানা নয় কোন সুযোগ-সুবিধার কথাই চিন্তা করেন না। নিয়মিত চাঁদা বা ভাড়া তুললেও বসবাসের ন্যূনতম কোন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে না। বস্তির বাসিন্দাদেরও এমন সঙ্গতি নেই যে, তারা নিজ উদ্যোগে গোসলখানা নির্মাণ করবে। সেখানে যারা বসবাস করে তাদের টিকে থাকাই দায়।

বিভিন্ন সময় বস্তিবাসীর পুনর্বাসনের কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সহসাই তাদের পুর্নবাসন করা হচ্ছে না বা যাচ্ছে না। বস্তিবাসীর পুনর্বাসনসহ টেকসই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। তবে যতদিন এ সমস্যার সমাধান করা না যায় ততদিন গোসলখানার মতো কিছু জরুরি প্রয়োজনকে উপেক্ষা করা চলে না। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের এ সমস্যার সমাধান করবে কে? ইতোপূর্বে কিছু বেসরকারি সংস্থা এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে, তারা কিছু কিছু জায়গায় নিরাপদ গেসলখানা নির্মাণ করেছে। কিন্তু সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

বেসরকারি সংস্থার পাশাপশি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এগিয়ে আসলে বস্তিবাসীর গোসলখানার মতো সমস্যার সমাধান হতে পারে। বিশেষ করে, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে। যেসব বেসরকারি সংস্থা গোসলখানা নির্মাণ করেছে, তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

নিরাপদ গোসলখানার ব্যবস্থা করা গেলে বস্তিবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে, বিশেষ করে সেখানকার নারী বাসিন্দাদের হয়রানির অবসান হবে। তাই নারীদের নিরাপদ গোসলখানার প্রয়োজনীয়তার কথা এখনই ভাবতে হবে।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বস্তিবাসী নারীদের জন্য চাই নিরাপদ গোসলখানা

সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

রাজধানীর বিভিন্ন বস্তির ৭২ শতাংশ কিশোরী-তরুণী উন্মুক্ত গোসলখানায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় থাকে। এছাড়া উন্মুক্ত গোসলখানায় যৌন হয়রানির মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। সম্প্রতি ‘নিরাপদ গোসলখানা সবার জন্য সবখানে’ স্লোগান নিয়ে রাজধানীর চারটি বস্তিতে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ পরিচালিত এক জরিপ এমন তথ্য উঠে আসে।

জানা গেছে, জরিপ এলাকার ৯৯ শতাংশ গোসলখানাই উন্মুক্ত। এসব গোসলখানার মাত্র ১৫ শতাংশ মেয়েদের জন্য আলাদা, বাকিগুলো নারী-পুরুষ যৌথভাবেই ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর ছাদ ও দেয়াল না থাকায় গোপনীয়তা বলতে কিছুই থাকে না।

দেশে পাঁচ হাজারের মতো বস্তি রয়েছে। বুয়েটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বস্তি রয়েছে ৩ হাজার ৪০০টি। বস্তি এলাকার জীবনমানের মৌলিক ক্ষেত্রগুলোতে গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা মৌলিক অনেক সেবাই যথাযথভাবে পায় না। নিরাপদ গোসলখানা না থাকা সেই বঞ্চনারই অংশ।

দেশের বেশিরভাগ বস্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সাধারণত স্থানীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা এসব বস্তি গড়ে তোলে, নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বস্তিবাসীর শুধু গোসলখানা নয় কোন সুযোগ-সুবিধার কথাই চিন্তা করেন না। নিয়মিত চাঁদা বা ভাড়া তুললেও বসবাসের ন্যূনতম কোন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে না। বস্তির বাসিন্দাদেরও এমন সঙ্গতি নেই যে, তারা নিজ উদ্যোগে গোসলখানা নির্মাণ করবে। সেখানে যারা বসবাস করে তাদের টিকে থাকাই দায়।

বিভিন্ন সময় বস্তিবাসীর পুনর্বাসনের কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সহসাই তাদের পুর্নবাসন করা হচ্ছে না বা যাচ্ছে না। বস্তিবাসীর পুনর্বাসনসহ টেকসই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। তবে যতদিন এ সমস্যার সমাধান করা না যায় ততদিন গোসলখানার মতো কিছু জরুরি প্রয়োজনকে উপেক্ষা করা চলে না। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের এ সমস্যার সমাধান করবে কে? ইতোপূর্বে কিছু বেসরকারি সংস্থা এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে, তারা কিছু কিছু জায়গায় নিরাপদ গেসলখানা নির্মাণ করেছে। কিন্তু সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

বেসরকারি সংস্থার পাশাপশি সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এগিয়ে আসলে বস্তিবাসীর গোসলখানার মতো সমস্যার সমাধান হতে পারে। বিশেষ করে, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে। যেসব বেসরকারি সংস্থা গোসলখানা নির্মাণ করেছে, তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

নিরাপদ গোসলখানার ব্যবস্থা করা গেলে বস্তিবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে, বিশেষ করে সেখানকার নারী বাসিন্দাদের হয়রানির অবসান হবে। তাই নারীদের নিরাপদ গোসলখানার প্রয়োজনীয়তার কথা এখনই ভাবতে হবে।

back to top