কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্ত্যক্তকারীদের একজন একই বিদ্যালয়ের ছাত্র। বখাটেদের বাধা দেয়ায় উক্ত বিদ্যালয়ের চার নারী শিক্ষক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে ও বখাটেদের বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে প্রায়ই ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে। উত্ত্যক্তকারীদের কর্মকান্ডের শিকার নারীর স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে ছন্দপতন ঘটে। বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে আত্মহত্যার পথে পা বাড়ায়। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী, গত সাড়ে চার বছরে বখাটেদের যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করেছেন ৬২ জন নারী। এই সময়ের মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৮২১ জন।
ইভটিজিং বা যৌন হয়রানির অনেক ঘটনাই থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। হয়রানির শিকার অনেকেই তাদের সমস্যার কথা এমনকি পরিবারকেও জানায় না। সমাজের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই ইভটিজিংকে গুরুতর সমস্যা বলে মনে করে না। একে তারা উঠতি বয়সী ছেলেদের স্বাভাবিক আচরণ হিসেবে গণ্য করে। বখাটেদের অভিভাবকরাও এর প্রতিকার করেন না। ভুক্তভোগী নারীর পক্ষে হয়রানির বোঝা টানা যে কতটা দুরূহ, এতে তার জীবনে কী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সেটা অনেকেই অনুধাবন করে না। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, ভুক্তভোগী নারীর আপনজনরাও অনেক সময় তাকে ভুল বোঝে।
বখাটেদের উৎপাত বন্ধ করার দাবি উঠেছে। অনেকে বলছেন, এর জন্য পৃথক আইন করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু আইন করে কি সমস্যার টেকসই সমাধান করা সম্ভব। সমাজের মনোভাবে যদি ইতিবাচক পরিবর্তন না আসে তাহলে শুধু আইন দিয়ে অবস্থার খুব বেশি উন্নতি আশা করা যায় না।
বখাটেদের উৎপাত বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। উত্ত্যক্তকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তাদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে হবে। ভিকটিম নারীর পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
পাশাপাশি বখাটেদের আইনের মুখোমুখি করাও জরুরি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আইন প্রয়োগে শৈথিল্য আর বিচারের দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটানো গেলে নারীর সুরক্ষা অনেকটাই নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
কিশোরগঞ্জে শিক্ষার্থী উত্ত্যক্ত ও শিক্ষকদের হেনস্তা করার ঘটনার তদন্ত করে বিচার করতে হবে। বখাটে যে বা যারাই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া চলবে না। হয়রানির শিকার ছাত্রীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্ত্যক্তকারীদের একজন একই বিদ্যালয়ের ছাত্র। বখাটেদের বাধা দেয়ায় উক্ত বিদ্যালয়ের চার নারী শিক্ষক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে ও বখাটেদের বিচারের দাবিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে প্রায়ই ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে। উত্ত্যক্তকারীদের কর্মকান্ডের শিকার নারীর স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে ছন্দপতন ঘটে। বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে আত্মহত্যার পথে পা বাড়ায়। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী, গত সাড়ে চার বছরে বখাটেদের যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করেছেন ৬২ জন নারী। এই সময়ের মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৮২১ জন।
ইভটিজিং বা যৌন হয়রানির অনেক ঘটনাই থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। হয়রানির শিকার অনেকেই তাদের সমস্যার কথা এমনকি পরিবারকেও জানায় না। সমাজের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই ইভটিজিংকে গুরুতর সমস্যা বলে মনে করে না। একে তারা উঠতি বয়সী ছেলেদের স্বাভাবিক আচরণ হিসেবে গণ্য করে। বখাটেদের অভিভাবকরাও এর প্রতিকার করেন না। ভুক্তভোগী নারীর পক্ষে হয়রানির বোঝা টানা যে কতটা দুরূহ, এতে তার জীবনে কী নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সেটা অনেকেই অনুধাবন করে না। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, ভুক্তভোগী নারীর আপনজনরাও অনেক সময় তাকে ভুল বোঝে।
বখাটেদের উৎপাত বন্ধ করার দাবি উঠেছে। অনেকে বলছেন, এর জন্য পৃথক আইন করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু আইন করে কি সমস্যার টেকসই সমাধান করা সম্ভব। সমাজের মনোভাবে যদি ইতিবাচক পরিবর্তন না আসে তাহলে শুধু আইন দিয়ে অবস্থার খুব বেশি উন্নতি আশা করা যায় না।
বখাটেদের উৎপাত বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। উত্ত্যক্তকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তাদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে হবে। ভিকটিম নারীর পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
পাশাপাশি বখাটেদের আইনের মুখোমুখি করাও জরুরি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আইন প্রয়োগে শৈথিল্য আর বিচারের দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটানো গেলে নারীর সুরক্ষা অনেকটাই নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
কিশোরগঞ্জে শিক্ষার্থী উত্ত্যক্ত ও শিক্ষকদের হেনস্তা করার ঘটনার তদন্ত করে বিচার করতে হবে। বখাটে যে বা যারাই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া চলবে না। হয়রানির শিকার ছাত্রীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।