মুন্সীগঞ্জ শহরের মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে বলে জানা গেছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যেমন ব্যাঘাত ঘটছে তেমনি দাপ্তরিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে এক হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী আছে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। নতুন এই শিক্ষাক্রম আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণীতে পুরোপুরি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দেখা যাচ্ছে। শুধু মুন্সীগঞ্জের এই একটি বিদ্যালয়ই নয়, সারাদেশেরই এমন শিক্ষক সংকটের খবর গণমাধ্যমগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়। এর মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা যে নাজুক অবস্থায় আছে-তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও প্রধান শিক্ষকের দ্বৈত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষকই হিমশিম খাচ্ছেন। বিশেষ করে, বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানো, জাতীয় দিবসগুলোতে অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকলে বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। অনেক সময় ভারপ্রাপ্তরা সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘জনবল সংকট’, ‘সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে’, ‘প্রধান শিক্ষকের বদলি বন্ধ’ ইত্যাদি গতানুগতিক উত্তর দিয়ে থাকে। যেমনটা দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এগুলো কোন গ্রহণযোগ্য কারণ হতে পারে না। এমন যুক্তিতে বছরের পর বছর ধরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদ শূন্য থাকতে পারে না। এ থেকে ধারণা করা যায়, শিক্ষা খাতকে সংশ্লিষ্টরা যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
শিক্ষকের বিভন্ন পদ বছরে পর শূন্য থাকার ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরনের গলদ বলেই আমরা মনে করি। এরকম গলদ নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষা ব্যবস্থার এই গলদ দূর করা না গেলে দেশ ও জাতি এগোবে কি করে সেটা একটা প্রশ্ন। এমনিতেই করোনার কারণে দুদফায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এতে শিক্ষার্থীদের প্রভূত ক্ষতিসাধন হয়েছে। এখন শিক্ষক সংকটের মতো কোন কারণে তাদের ক্ষতি দীর্ঘায়িত হোক সেটা আমরা চাই না।
আমরা চাই, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর আগেই শিক্ষক সংকট দূর করা হোক। মুন্সীগঞ্জের মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টরা দ্রুত উদ্যোগ নেবে সেটা আমাদের আশা।
বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
মুন্সীগঞ্জ শহরের মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে বলে জানা গেছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যেমন ব্যাঘাত ঘটছে তেমনি দাপ্তরিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে এক হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী আছে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে সরকার। নতুন এই শিক্ষাক্রম আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণীতে পুরোপুরি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দেখা যাচ্ছে। শুধু মুন্সীগঞ্জের এই একটি বিদ্যালয়ই নয়, সারাদেশেরই এমন শিক্ষক সংকটের খবর গণমাধ্যমগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়। এর মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা যে নাজুক অবস্থায় আছে-তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও প্রধান শিক্ষকের দ্বৈত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষকই হিমশিম খাচ্ছেন। বিশেষ করে, বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানো, জাতীয় দিবসগুলোতে অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকলে বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। অনেক সময় ভারপ্রাপ্তরা সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘জনবল সংকট’, ‘সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে’, ‘প্রধান শিক্ষকের বদলি বন্ধ’ ইত্যাদি গতানুগতিক উত্তর দিয়ে থাকে। যেমনটা দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এগুলো কোন গ্রহণযোগ্য কারণ হতে পারে না। এমন যুক্তিতে বছরের পর বছর ধরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদ শূন্য থাকতে পারে না। এ থেকে ধারণা করা যায়, শিক্ষা খাতকে সংশ্লিষ্টরা যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
শিক্ষকের বিভন্ন পদ বছরে পর শূন্য থাকার ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরনের গলদ বলেই আমরা মনে করি। এরকম গলদ নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষা ব্যবস্থার এই গলদ দূর করা না গেলে দেশ ও জাতি এগোবে কি করে সেটা একটা প্রশ্ন। এমনিতেই করোনার কারণে দুদফায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। এতে শিক্ষার্থীদের প্রভূত ক্ষতিসাধন হয়েছে। এখন শিক্ষক সংকটের মতো কোন কারণে তাদের ক্ষতি দীর্ঘায়িত হোক সেটা আমরা চাই না।
আমরা চাই, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর আগেই শিক্ষক সংকট দূর করা হোক। মুন্সীগঞ্জের মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টরা দ্রুত উদ্যোগ নেবে সেটা আমাদের আশা।