alt

সম্পাদকীয়

ফেরির টিকিট নিয়ে দালালদের অপতৎপরতা বন্ধ করুন

: শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরির টিকিট পেতে যানবাহন চালকদের ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেখানে টিকিট কাটা থেকে শুরু করে ফেরিতে ওঠা পর্যন্ত পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় চালকদের। দীর্ঘদিন ধরে ঘাটে ফেরির টিকিট কাউন্টার ঘিরে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী দালাল চক্র। মূলত এ চক্রের কাছেই জিম্মি রয়েছেন পরিবহন চালকসহ সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দালাল চক্র যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে টিকিট বাবদ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকে। পাশাপাশি তারা জাল টিকিটও বিক্রি করে। ফলে এসব টিকিট নিয়ে ফেরিতে উঠতে গেলে আরেক দফা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দালাল চক্র বিভিন্ন প্রকার পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে অনৈতিক সুযোগ করে দেয়। নিয়ম ভেঙে ফেরি পার করার জন্য টাকার বিনিময়ে তারা এসব গাড়ি সামনে নিয়ে যায়। ফলে যানবাহনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, উভয় ঘাটে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে যানজট হওয়ার অন্যতম কারণ এটি।

গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্যকে আটক করে মামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তারপরও সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তবে ফেরির টিকিট অনলাইনে পাওয়া গেলে দালালদের নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। এজন্য ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

অন্যদিকে ফেরির টিকিটিংয়ের দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণে আইটি বিশেষজ্ঞদের মতামতসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে বলে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে। আমরা তাদের এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

দেশে যাত্রী পরিবহনের আকাশ পথে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে বহু আগেই। পাশাপাশি সড়ক, রেলপথসহ নৌপথেও ই-টিকিটিংসহ অগ্রীম টিকিটের ব্যবস্থা আছে। এক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। দেশে ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা যেমন নতুন নয়, তেমনি বিষয়টি জটিলও কিছু নয়। দেশের অনেক কিছুই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউএ) ফেরি পারাপারে এতদিনেও কেন ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা চালু করল না সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা আশা করব, বিআইডব্লিউএ খুব দ্রুত ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি যতদিন এ ব্যবস্থা চালু না হয় ততদিন দালাল চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, পুলিশ আন্তরিক হলে দালালদের দৌরাত্ম্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

ফেরির টিকিট নিয়ে দালালদের অপতৎপরতা বন্ধ করুন

শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরির টিকিট পেতে যানবাহন চালকদের ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেখানে টিকিট কাটা থেকে শুরু করে ফেরিতে ওঠা পর্যন্ত পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় চালকদের। দীর্ঘদিন ধরে ঘাটে ফেরির টিকিট কাউন্টার ঘিরে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী দালাল চক্র। মূলত এ চক্রের কাছেই জিম্মি রয়েছেন পরিবহন চালকসহ সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দালাল চক্র যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে টিকিট বাবদ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকে। পাশাপাশি তারা জাল টিকিটও বিক্রি করে। ফলে এসব টিকিট নিয়ে ফেরিতে উঠতে গেলে আরেক দফা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দালাল চক্র বিভিন্ন প্রকার পণ্যবাহী ট্রাকচালকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে অনৈতিক সুযোগ করে দেয়। নিয়ম ভেঙে ফেরি পার করার জন্য টাকার বিনিময়ে তারা এসব গাড়ি সামনে নিয়ে যায়। ফলে যানবাহনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, উভয় ঘাটে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে যানজট হওয়ার অন্যতম কারণ এটি।

গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্যকে আটক করে মামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তারপরও সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তবে ফেরির টিকিট অনলাইনে পাওয়া গেলে দালালদের নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। এজন্য ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

অন্যদিকে ফেরির টিকিটিংয়ের দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণে আইটি বিশেষজ্ঞদের মতামতসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে বলে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে। আমরা তাদের এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

দেশে যাত্রী পরিবহনের আকাশ পথে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে বহু আগেই। পাশাপাশি সড়ক, রেলপথসহ নৌপথেও ই-টিকিটিংসহ অগ্রীম টিকিটের ব্যবস্থা আছে। এক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। দেশে ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা যেমন নতুন নয়, তেমনি বিষয়টি জটিলও কিছু নয়। দেশের অনেক কিছুই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউএ) ফেরি পারাপারে এতদিনেও কেন ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা চালু করল না সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা আশা করব, বিআইডব্লিউএ খুব দ্রুত ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি যতদিন এ ব্যবস্থা চালু না হয় ততদিন দালাল চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, পুলিশ আন্তরিক হলে দালালদের দৌরাত্ম্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে।

back to top