alt

সম্পাদকীয়

বজ্রপাতে মৃত্যু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

: রোববার, ১৯ জুন ২০২২

দেশে গত কয়েক বছর ধরেই বজ্রপাতের পরিমাণ ও এতে হতাহতের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ময়মনসিংহ, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার এসব জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ২ হাজার ৫৯০ জন। বজ্রপাতে গত বছর রেকর্ড সংখ্যক ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে বছরে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৪০টি বজ্রপাত হয়।

আবহাওয়াবিদদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত আরও ঘন ঘন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি, এমনকি বায়ুদূষণেও বজ্রপাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া নদী বা জলাভূমি শুকিয়ে গেলে এবং গাছপালা ধ্বংস হওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ধরনের আবহাওয়া বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী।

বজ্রপাতে প্রাণহানি বাড়ায় ২০১৬ সালে সরকার এটিকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করে। এরপর বজ্রপাত ঠেকাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। বজ্রের হাত থেকে বাঁচাতে দরকার উঁচু গাছ। কিন্তু এ ধরনের গাছের সংখ্যা কমছে। নির্দিষ্ট দূরত্বে উঁচু গাছ রাখার মতো সচেতনতা ও পরিবেশবিষয়ক জ্ঞানও লোপ পাচ্ছে দিন দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রাম ও শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে ৪০ মিটার বা তার কাছাকাছি উচ্চতার গাছ থাকা চাই। এছাড়া বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, জলাশয় কিংবা হাওরে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর তাল, নারকেল, সুপারি বাবালা, হিজল, বটের মতো গাছ লাগাতে হবে। বজ্রপাত প্রতিরোধ করতে সরকার সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু কয়েক লাখ তালের আঁটি রোপণ করে রণে ভঙ্গ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। পরিচর্যা করতে না পারার অজুহাতে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানোর লক্ষ্যে দেশবাসীকে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের ৮টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তাছাড়া হাওর অঞ্চলে ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণেরও কথা রয়েছে সরকারের।

এর পাশাপাশি বিকল্প পরিকল্পনা থাকতে হবে বলে আমরা মনে করি। মাঠের মাঝখানে খাম্বা বসিয়ে তাতে আর্থিং করলে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমবে। সর্বপরি এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বজ্রপাতের সময় মানুষের কী কী করা উচিত, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

বজ্রপাতে মৃত্যু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

রোববার, ১৯ জুন ২০২২

দেশে গত কয়েক বছর ধরেই বজ্রপাতের পরিমাণ ও এতে হতাহতের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ময়মনসিংহ, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে তিন শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার এসব জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ২ হাজার ৫৯০ জন। বজ্রপাতে গত বছর রেকর্ড সংখ্যক ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে বছরে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৪০টি বজ্রপাত হয়।

আবহাওয়াবিদদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত আরও ঘন ঘন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি, এমনকি বায়ুদূষণেও বজ্রপাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া নদী বা জলাভূমি শুকিয়ে গেলে এবং গাছপালা ধ্বংস হওয়ার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ধরনের আবহাওয়া বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী।

বজ্রপাতে প্রাণহানি বাড়ায় ২০১৬ সালে সরকার এটিকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করে। এরপর বজ্রপাত ঠেকাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। বজ্রের হাত থেকে বাঁচাতে দরকার উঁচু গাছ। কিন্তু এ ধরনের গাছের সংখ্যা কমছে। নির্দিষ্ট দূরত্বে উঁচু গাছ রাখার মতো সচেতনতা ও পরিবেশবিষয়ক জ্ঞানও লোপ পাচ্ছে দিন দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রাম ও শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে ৪০ মিটার বা তার কাছাকাছি উচ্চতার গাছ থাকা চাই। এছাড়া বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, জলাশয় কিংবা হাওরে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর তাল, নারকেল, সুপারি বাবালা, হিজল, বটের মতো গাছ লাগাতে হবে। বজ্রপাত প্রতিরোধ করতে সরকার সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু কয়েক লাখ তালের আঁটি রোপণ করে রণে ভঙ্গ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। পরিচর্যা করতে না পারার অজুহাতে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানোর লক্ষ্যে দেশবাসীকে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের ৮টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তাছাড়া হাওর অঞ্চলে ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণেরও কথা রয়েছে সরকারের।

এর পাশাপাশি বিকল্প পরিকল্পনা থাকতে হবে বলে আমরা মনে করি। মাঠের মাঝখানে খাম্বা বসিয়ে তাতে আর্থিং করলে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমবে। সর্বপরি এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বজ্রপাতের সময় মানুষের কী কী করা উচিত, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হবে।

back to top