সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি কমেছে, তবে সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ফিরেছে। অভিযোগ উঠেছে, বন্যাদুর্গত অনেক মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ পায়নি। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত অনেক এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোই বেশি জরুরি। ত্রাণ না পেলে তাদের পক্ষে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা না পাওয়ায় প্রায় দিনই লাখো মানুষকে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়েছে। এমনকি ত্রাণ শিবিরগুলোতেও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আশ্রয়শিবিরের বাইরেও অসংখ্য মানুষ রয়ে গেছে।
দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর কাজে যেমন দুর্বলতা দেখা গেছে, তেমন কিছু অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, কোন কোন এলাকায় একশ্রেণির মানুষ বরাদ্দের চেয়েও চার-পাঁচগুণ বেশি ত্রাণ পেয়েছে। যদিও প্রশ্ন রয়েছে যে, বন্যা দুর্গতদের প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা। ত্রাণ বিতরণে কোন কোন স্থানে বিশৃঙ্খলার খবর মিলেছে। ত্রাণ নিতে গিয়ে কোন কোন স্থানে দুর্গতরা আহত হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দুর্গম যেসব এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ পায়নি তাদের কাছে জরুরিভিত্তিতে সাহায্য পৌঁছাতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
এবারের বন্যা বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের বন্যা অনেক বড় আকার ধারণ করেছে। কাজেই সমস্যা-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বন্যাজনিত রোগে ভুগছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। এসব মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। কোনো রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তারা যেন দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে যায় সেজন্য তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত পুনর্বাসন করা দরকার। দরিদ্র যেসব মানুষের বসতভিটা থাকবার উপযোগিতা হারিয়েছে তাদের ঘর সংস্কারে সহায়তা দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট জরুরিভিত্তিতে মেরামত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুততম সময়ে প্রস্তত করতে হবে; যাতে শিক্ষার্থীরা সেখানে পাঠ গ্রহণ করতে পারে। বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কাজে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে।
রোববার, ২৬ জুন ২০২২
সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি কমেছে, তবে সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ফিরেছে। অভিযোগ উঠেছে, বন্যাদুর্গত অনেক মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ পায়নি। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত অনেক এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোই বেশি জরুরি। ত্রাণ না পেলে তাদের পক্ষে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা না পাওয়ায় প্রায় দিনই লাখো মানুষকে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়েছে। এমনকি ত্রাণ শিবিরগুলোতেও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আশ্রয়শিবিরের বাইরেও অসংখ্য মানুষ রয়ে গেছে।
দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর কাজে যেমন দুর্বলতা দেখা গেছে, তেমন কিছু অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, কোন কোন এলাকায় একশ্রেণির মানুষ বরাদ্দের চেয়েও চার-পাঁচগুণ বেশি ত্রাণ পেয়েছে। যদিও প্রশ্ন রয়েছে যে, বন্যা দুর্গতদের প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা। ত্রাণ বিতরণে কোন কোন স্থানে বিশৃঙ্খলার খবর মিলেছে। ত্রাণ নিতে গিয়ে কোন কোন স্থানে দুর্গতরা আহত হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দুর্গম যেসব এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ পায়নি তাদের কাছে জরুরিভিত্তিতে সাহায্য পৌঁছাতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
এবারের বন্যা বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের বন্যা অনেক বড় আকার ধারণ করেছে। কাজেই সমস্যা-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বন্যাজনিত রোগে ভুগছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। এসব মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। কোনো রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তারা যেন দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে যায় সেজন্য তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত পুনর্বাসন করা দরকার। দরিদ্র যেসব মানুষের বসতভিটা থাকবার উপযোগিতা হারিয়েছে তাদের ঘর সংস্কারে সহায়তা দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট জরুরিভিত্তিতে মেরামত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুততম সময়ে প্রস্তত করতে হবে; যাতে শিক্ষার্থীরা সেখানে পাঠ গ্রহণ করতে পারে। বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কাজে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে।