alt

মতামত » সম্পাদকীয়

লোডশেডিংয়ে সময়সূচি মানা যাচ্ছে না কেন

: শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২

ঘোষিত সময়সূচির বাইরেও সারা দেশে লোডশেডিংয় হচ্ছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে, তা রক্ষা করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করেছে। রাজধানীর অনেক এলাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই লোডশেডিং হয়েছে। একাধিকবার লোডশেডিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি আরও খারাপ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এদিকে ডলারের দামও ঊর্ধ্বমুখী। জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বাড়ছে। ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকাও করা হয়েছে।

নীতিনির্ধারকরা হিসাব দেখিয়ে বলেছিলেন, ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখা হলে দেশে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। তারা বলেছিলেন, এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনো কোনো জায়গায় দুই ঘণ্টার লোডশেডিং হলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে। সেই অনুযায়ীই তারা লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। বিশ্বে যে সংকটময় পরিস্থিতি চলছে তাতে সরকারের ব্যয়সাশ্রয়ী এই পরিকল্পনায় আমরা আপত্তির কিছু দেখি না।

প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের পরিকল্পনা ঠিকভাবে কাজ করছে কি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন, চাহিদা এবং লোডশেডিংয়ের হিসাবে কোথাও কোন গরমিল আছে কি না। নইলে দেশে প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে কেন। এক-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি যদি মোকাবিলা করা না যায় সেটা জনগণকে আগেই জানানো হোক, সে অনুযায়ী এর সময়সূচি ঠিক করা হোক। সেটা হলে জনগণ আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে।

মুখে এক কথা বলা হলে আর বাস্তবে তার বিপরীত কাজ করলে একদিকে জনভোগান্তি বাড়ে, অন্যদিকে মানুষের মনে ক্ষোভ দেখা দেয়। এতে সরকারও বেকায়দায় পড়তে পারে। প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে যদি অতিরিক্ত লোডশেডিং দেয়া হয় তাহলে এমন অভিযোগ ভিত্তি পাবে যে, সরকার দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি জানাচ্ছে না।

লোডশেডিং নিয়ে কোনো বিতর্ক বা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই নীতিনির্ধারকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন সেটা আমাদের আশা।

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

লোডশেডিংয়ে সময়সূচি মানা যাচ্ছে না কেন

শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২

ঘোষিত সময়সূচির বাইরেও সারা দেশে লোডশেডিংয় হচ্ছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে, তা রক্ষা করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করেছে। রাজধানীর অনেক এলাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই লোডশেডিং হয়েছে। একাধিকবার লোডশেডিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি আরও খারাপ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এদিকে ডলারের দামও ঊর্ধ্বমুখী। জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বাড়ছে। ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকাও করা হয়েছে।

নীতিনির্ধারকরা হিসাব দেখিয়ে বলেছিলেন, ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখা হলে দেশে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। তারা বলেছিলেন, এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনো কোনো জায়গায় দুই ঘণ্টার লোডশেডিং হলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে। সেই অনুযায়ীই তারা লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। বিশ্বে যে সংকটময় পরিস্থিতি চলছে তাতে সরকারের ব্যয়সাশ্রয়ী এই পরিকল্পনায় আমরা আপত্তির কিছু দেখি না।

প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের পরিকল্পনা ঠিকভাবে কাজ করছে কি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন, চাহিদা এবং লোডশেডিংয়ের হিসাবে কোথাও কোন গরমিল আছে কি না। নইলে দেশে প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে কেন। এক-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি যদি মোকাবিলা করা না যায় সেটা জনগণকে আগেই জানানো হোক, সে অনুযায়ী এর সময়সূচি ঠিক করা হোক। সেটা হলে জনগণ আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে।

মুখে এক কথা বলা হলে আর বাস্তবে তার বিপরীত কাজ করলে একদিকে জনভোগান্তি বাড়ে, অন্যদিকে মানুষের মনে ক্ষোভ দেখা দেয়। এতে সরকারও বেকায়দায় পড়তে পারে। প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে যদি অতিরিক্ত লোডশেডিং দেয়া হয় তাহলে এমন অভিযোগ ভিত্তি পাবে যে, সরকার দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি জানাচ্ছে না।

লোডশেডিং নিয়ে কোনো বিতর্ক বা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই নীতিনির্ধারকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন সেটা আমাদের আশা।

back to top