নরসিংদী জেলা কারাগারে এক হাজতি পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর স্বজনরা মানববন্ধন করেছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্বজনরা আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে কারাবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ করেছেন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
নরসিংদীতে পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগ আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। দেশে এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। কোন কোন কারাগারে পুলিশি নির্যা তনে বন্দীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকাকালে, রিমান্ড চলাকালে মানুষের ?মৃত্যুর খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও বিভিন্ন সময় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেসব প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নানা অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি যেমন রয়েছে, তেমন সাধারণ মানুষও রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর নাম এই তালিকায় রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কখনো নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করে না। পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ সরকার খতিয়ে দেখে না। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ওঠা হেফাজতে নির্যাতন ও নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ প্রশ্নে সরকার অবস্থান নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কোন কোন সংগঠন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে, আটকাবস্থায় নির্যাতনের বিষয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা যে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেগুলোকে শুধুই অস্বীকার করা হয় আর অসত্য বক্তব্য পাওয়া যায়। সরকার অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর প্রতিকার চেয়ে তা পান না ভুক্তভোগীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে চান না। কেউ কেউ মামলা করলেও তার বিচার আর আলোর মুখ দেখে না। বরং যারা মামলা করেন তাদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়।
নরসিংদীতে হাজতি নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগ তদন্ত না করেই অস্বীকার করা সঙ্গত নয়। অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্তে কারও অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
নরসিংদী জেলা কারাগারে এক হাজতি পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর স্বজনরা মানববন্ধন করেছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। স্বজনরা আইনশৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে কারাবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ করেছেন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
নরসিংদীতে পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগ আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। দেশে এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গেছে। কোন কোন কারাগারে পুলিশি নির্যা তনে বন্দীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকাকালে, রিমান্ড চলাকালে মানুষের ?মৃত্যুর খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও বিভিন্ন সময় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেসব প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নানা অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি যেমন রয়েছে, তেমন সাধারণ মানুষও রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর নাম এই তালিকায় রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কখনো নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করে না। পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ সরকার খতিয়ে দেখে না। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ওঠা হেফাজতে নির্যাতন ও নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ প্রশ্নে সরকার অবস্থান নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কোন কোন সংগঠন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে, আটকাবস্থায় নির্যাতনের বিষয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা যে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেগুলোকে শুধুই অস্বীকার করা হয় আর অসত্য বক্তব্য পাওয়া যায়। সরকার অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর প্রতিকার চেয়ে তা পান না ভুক্তভোগীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে চান না। কেউ কেউ মামলা করলেও তার বিচার আর আলোর মুখ দেখে না। বরং যারা মামলা করেন তাদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়।
নরসিংদীতে হাজতি নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগ তদন্ত না করেই অস্বীকার করা সঙ্গত নয়। অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্তে কারও অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।