ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে এদিনই সর্বাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ২ হাজার ৩৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৯ জন ও ঢাকার বাইরে ৩৫৭ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ২ হাজার ৪৭ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৮ জন। এ বছর কক্সবাজার জেলায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এক জরিপে গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজধানীতে মশা বেশি দেখা গেছে। তাই জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে, বিশেষ করে জুলাই মাসে। এসব তথ্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা ক্র্যাশ প্রোগ্রামও শুরু করে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। এজন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপশি নানা সচেতনতামূলক কাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগের কথা বললেও এসব কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাদের এ কর্যক্রম আরও বাড়াতে হবে, গতিশীল করতে হবে। মশা নিধনে উভয় সিটি করপোরেশনকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর- এ সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। আগে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিধনে সারা বছরই কাজ করা দরকার। শুধু মৌসুম ধরে বিশেষ ব্যবস্থা নিলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতেও মাশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে দেরি না করে চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ জানা জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে ঘরে বসেই চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল-জাতীয় খাবার খেতে হবে। শুরুতে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এমনটা হলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে এদিনই সর্বাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ২ হাজার ৩৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৯ জন ও ঢাকার বাইরে ৩৫৭ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ২ হাজার ৪৭ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৮ জন। এ বছর কক্সবাজার জেলায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এক জরিপে গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজধানীতে মশা বেশি দেখা গেছে। তাই জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে, বিশেষ করে জুলাই মাসে। এসব তথ্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা ক্র্যাশ প্রোগ্রামও শুরু করে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। এজন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপশি নানা সচেতনতামূলক কাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগের কথা বললেও এসব কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাদের এ কর্যক্রম আরও বাড়াতে হবে, গতিশীল করতে হবে। মশা নিধনে উভয় সিটি করপোরেশনকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর- এ সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। আগে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিধনে সারা বছরই কাজ করা দরকার। শুধু মৌসুম ধরে বিশেষ ব্যবস্থা নিলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতেও মাশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে দেরি না করে চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ জানা জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে ঘরে বসেই চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল-জাতীয় খাবার খেতে হবে। শুরুতে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এমনটা হলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে।