alt

সম্পাদকীয়

বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুজ্বর

: বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে এদিনই সর্বাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ২ হাজার ৩৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৯ জন ও ঢাকার বাইরে ৩৫৭ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ২ হাজার ৪৭ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৮ জন। এ বছর কক্সবাজার জেলায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এক জরিপে গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজধানীতে মশা বেশি দেখা গেছে। তাই জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে, বিশেষ করে জুলাই মাসে। এসব তথ্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা ক্র্যাশ প্রোগ্রামও শুরু করে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। এজন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপশি নানা সচেতনতামূলক কাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগের কথা বললেও এসব কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাদের এ কর্যক্রম আরও বাড়াতে হবে, গতিশীল করতে হবে। মশা নিধনে উভয় সিটি করপোরেশনকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর- এ সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। আগে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিধনে সারা বছরই কাজ করা দরকার। শুধু মৌসুম ধরে বিশেষ ব্যবস্থা নিলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতেও মাশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে দেরি না করে চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ জানা জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে ঘরে বসেই চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল-জাতীয় খাবার খেতে হবে। শুরুতে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এমনটা হলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে।

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

ডেঙ্গু রোগ : মশারি ব্যবহারে অনীহা নয়

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্কভাতা কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন

ইবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আমলে নিন

কৃষককে পাটের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে

সড়ক-মহাসড়ক টেকসই হয় না কেন

এলপিজি : বিইআরসির নির্ধারিত দর কার্যকর করতে হবে

এলপিজি : বিইআরসির নির্ধারিত দর কার্যকর করতে হবে

‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের’ রক্ষায় তৎপর হতে হবে

আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ল কেন

শিক্ষার প্রকল্প বাস্তবায়নে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিন

সিডও সনদ ও নারীর অগ্রগতি

সাঙ্গু নদীর ঝুলন্ত সেতু সংস্কার করুন

রাজধানীর খাল রক্ষায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুজ্বর

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে এদিনই সর্বাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ২ হাজার ৩৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৯ জন ও ঢাকার বাইরে ৩৫৭ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ২ হাজার ৪৭ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৮ জন। এ বছর কক্সবাজার জেলায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এক জরিপে গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজধানীতে মশা বেশি দেখা গেছে। তাই জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে, বিশেষ করে জুলাই মাসে। এসব তথ্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা ক্র্যাশ প্রোগ্রামও শুরু করে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র এডিস মশার বিস্তার রোধ করা। এজন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপশি নানা সচেতনতামূলক কাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগের কথা বললেও এসব কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাদের এ কর্যক্রম আরও বাড়াতে হবে, গতিশীল করতে হবে। মশা নিধনে উভয় সিটি করপোরেশনকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর- এ সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। আগে মনে করা হতো ডেঙ্গু নগরকেন্দ্রিক রোগ। কিন্তু নগরের বাইরেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিধনে সারা বছরই কাজ করা দরকার। শুধু মৌসুম ধরে বিশেষ ব্যবস্থা নিলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতেও মাশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে দেরি না করে চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ জানা জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে ঘরে বসেই চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল-জাতীয় খাবার খেতে হবে। শুরুতে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এমনটা হলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে।

back to top