alt

opinion » editorial

এনআইডি সংশোধন প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নানান ভুল থাকে। নামের বানান, জন্ম তারিখ, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। নাগরিকদের জীবনে এনআইডি এখন অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভুলত্রুটিপূর্ণ এনআইডির কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।

ভুল সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি। সেখানে চাওয়া হয় নানান দলিলাদি। যার কোনো কোনোটির প্রয়োজনীয়তা বা যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে এনআইডি সংশোধনের জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। আর যারা কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারেন না তারা বাধ্য হয়ে এনআইডির ভুল বয়ে বেড়ান।

জানা গেছে, দেশে এনআইডি সংশোধনের জন্য প্রায় ১০ লাখ আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব আবেদন কবে সুরাহা হবে সেটা অনিশ্চিত।

আশার কথা হচ্ছে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে মাঠপর্যায়ে অযৌক্তিক দলিলাদি চাওয়া থেকে বিরত থাকতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে শ্রেণীভেদে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এনআইডি সংশোধনের সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তিকে সহজ ও গতিশীল করা। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। এখন নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেনে চললে অনেক জটিলতার অবসান হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। ইসির নির্দেশনা সংশ্লিষ্টরা যেন মেনে চলেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বাবস্থায় নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

পাশাপাশি এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যে, কেউ যেন এ সুযোগের অপব্যবহার না করে। দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গা নানানভাবে এনআইডি কার্ড নিয়েছে। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের মদত দিয়েছে। এখন এনআইডি সংশোধনের কাজকে সহজ করায় কেউ যেন এর ফায়দা না লোটে- সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

এনআইডি সংশোধন প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নানান ভুল থাকে। নামের বানান, জন্ম তারিখ, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। নাগরিকদের জীবনে এনআইডি এখন অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভুলত্রুটিপূর্ণ এনআইডির কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।

ভুল সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি। সেখানে চাওয়া হয় নানান দলিলাদি। যার কোনো কোনোটির প্রয়োজনীয়তা বা যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে এনআইডি সংশোধনের জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। আর যারা কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারেন না তারা বাধ্য হয়ে এনআইডির ভুল বয়ে বেড়ান।

জানা গেছে, দেশে এনআইডি সংশোধনের জন্য প্রায় ১০ লাখ আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব আবেদন কবে সুরাহা হবে সেটা অনিশ্চিত।

আশার কথা হচ্ছে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে মাঠপর্যায়ে অযৌক্তিক দলিলাদি চাওয়া থেকে বিরত থাকতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে শ্রেণীভেদে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এনআইডি সংশোধনের সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তিকে সহজ ও গতিশীল করা। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। এখন নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেনে চললে অনেক জটিলতার অবসান হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। ইসির নির্দেশনা সংশ্লিষ্টরা যেন মেনে চলেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বাবস্থায় নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

পাশাপাশি এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যে, কেউ যেন এ সুযোগের অপব্যবহার না করে। দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গা নানানভাবে এনআইডি কার্ড নিয়েছে। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের মদত দিয়েছে। এখন এনআইডি সংশোধনের কাজকে সহজ করায় কেউ যেন এর ফায়দা না লোটে- সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

back to top