alt

সম্পাদকীয়

মহাসড়ক প্রশস্ত করুন

: বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। কিন্তু সড়ক প্রশস্ত হয়নি। ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। আগের চেয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মাসে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে অন্তত ১৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ২৫ জনের, আহত হয়েছে শতাধিক। আর সেতু চালু হওয়ার আগে এ মহাসড়কে ৬টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। এর আগে মে মাসে মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জন।

অপ্রশস্ত মহাসড়ক, যানবাহনের সংখ্যা ও চলাচল কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়া, বেপরোয়া গতি ও বাঁক মহাসড়কে প্রাণহানি ও দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর এ সড়কপথে নতুন করে ৫০০ বাস নেমেছে। ফলে ২৪ ফুট প্রশস্ত পুরোনো মহাসড়কটি এসব যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

মহাসড়কের উজিরপুর জয়শ্রী বাজার থেকে বরিশাল বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কেই ছোট-বড় ১০ বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। তাছাড়া শিকারপুর এলাকায় আছে আরও একটি বিপজ্জনক বাঁক। যা এ মহাসড়কটিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। বাঁকের মোড়ে গাছ থাকায় অপরপ্রান্তের যানবাহন চালকদের চোখে পড়ে না। মূলত এসব বাঁকে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

পদ্মা সেতুর কল্যাণে দক্ষিণের ছয় জেলায় মহাসড়কে গাড়ি চলাচল আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে-এটা আগে থেকেই জানা কথা। এজন্য সেতু চালু হওয়ার পূর্বেই এ মহাসড়ক প্রশস্ত করার দরকার ছিল। যেমনটা করা হয়েছে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সুপ্রশস্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে। তাহলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্ণাঙ্গ সুফল পেত দক্ষিণের ছয় জেলার যাত্রীসাধারণ।

সড়ক ও সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কটি প্রশস্ত করতে ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাসও হয়। প্রকল্প প্রস্তাবে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে জমি আজও অধিগ্রহণ করা যায়নি। পর পর তিনবার ফেরত গেছে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ। কোন প্রকল্প দীর্ঘয়িত হলে এর ব্যয় যেমন বেড়ে যায়, তেমনি সুফল পেতেও বিলম্ব হয়। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের মহাসড়ক-সড়ক সংলগ্ন জমির দাম এমনিতেই বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

দেশের সড়ক-মহাসড়ক নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। আমরা বলেতে চাই, দ্রুত এ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের বাধাগুলো দূর করে কাজ শুরু করতে হবে। পাশাপাশি মহাসড়কটির বাঁক নিরসনে উদ্যোগ নিতে হবে। মহাসড়কের বিপজ্জনক বাঁকের কারণে আমরা আর প্রাণহানি দেখতে চাই না।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

মহাসড়ক প্রশস্ত করুন

বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। কিন্তু সড়ক প্রশস্ত হয়নি। ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। আগের চেয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মাসে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে অন্তত ১৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ২৫ জনের, আহত হয়েছে শতাধিক। আর সেতু চালু হওয়ার আগে এ মহাসড়কে ৬টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। এর আগে মে মাসে মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জন।

অপ্রশস্ত মহাসড়ক, যানবাহনের সংখ্যা ও চলাচল কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়া, বেপরোয়া গতি ও বাঁক মহাসড়কে প্রাণহানি ও দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর এ সড়কপথে নতুন করে ৫০০ বাস নেমেছে। ফলে ২৪ ফুট প্রশস্ত পুরোনো মহাসড়কটি এসব যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

মহাসড়কের উজিরপুর জয়শ্রী বাজার থেকে বরিশাল বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কেই ছোট-বড় ১০ বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। তাছাড়া শিকারপুর এলাকায় আছে আরও একটি বিপজ্জনক বাঁক। যা এ মহাসড়কটিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। বাঁকের মোড়ে গাছ থাকায় অপরপ্রান্তের যানবাহন চালকদের চোখে পড়ে না। মূলত এসব বাঁকে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

পদ্মা সেতুর কল্যাণে দক্ষিণের ছয় জেলায় মহাসড়কে গাড়ি চলাচল আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে-এটা আগে থেকেই জানা কথা। এজন্য সেতু চালু হওয়ার পূর্বেই এ মহাসড়ক প্রশস্ত করার দরকার ছিল। যেমনটা করা হয়েছে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সুপ্রশস্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে। তাহলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্ণাঙ্গ সুফল পেত দক্ষিণের ছয় জেলার যাত্রীসাধারণ।

সড়ক ও সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কটি প্রশস্ত করতে ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাসও হয়। প্রকল্প প্রস্তাবে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে জমি আজও অধিগ্রহণ করা যায়নি। পর পর তিনবার ফেরত গেছে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ। কোন প্রকল্প দীর্ঘয়িত হলে এর ব্যয় যেমন বেড়ে যায়, তেমনি সুফল পেতেও বিলম্ব হয়। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের মহাসড়ক-সড়ক সংলগ্ন জমির দাম এমনিতেই বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

দেশের সড়ক-মহাসড়ক নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থাকলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। আমরা বলেতে চাই, দ্রুত এ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের বাধাগুলো দূর করে কাজ শুরু করতে হবে। পাশাপাশি মহাসড়কটির বাঁক নিরসনে উদ্যোগ নিতে হবে। মহাসড়কের বিপজ্জনক বাঁকের কারণে আমরা আর প্রাণহানি দেখতে চাই না।

back to top