alt

সম্পাদকীয়

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ

: বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে জমিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো দেখা দিয়েছে অনাবৃষ্টি। ফলে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের আমন চাষ ব্যাহত হচ্ছে। দুরবস্থায় পড়েছেন চিংড়ি ঘেরের মালিকসহ মৎস্যচাষিরাও। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও মড়ক-ভাইরাসের কারণে মৎস্য চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সারা পৃথিবীই উষ্ণ হয়ে উঠছে। জার্মানি, স্পেন, আমেরিকা পুড়ছে। দাবানল-বন্যা-খরা-ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। এ জন্য উন্নত দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকে দায়ী করা হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমাদের দেশেও, বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোতে। শুধু বাগেরহাটের রামপাল নয়, উপকূলের সব জেলার চিত্র মোটামুটি একই রকম।

জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের যে প্রভাব, তার ওপর আমদের নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু চিংড়ির চাষ বা ঘের এ অঞ্চলকে কৃত্রিমভাবে লবণাক্ত করে তুলছে। এ ছাড়া স্লুইসগেটের অব্যবস্থাপনা, প্রবাহমান খালে বাধ ও নেট জাল দিয়ে মাছ চাষের ফলে প্রকৃতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা। বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ, বিপর্যস্ত হচ্ছে মানুষের জীবন।

দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্টি সমস্যাও রয়েছে। এ জন্য সরকার ও রাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে এ থেকে পরিত্রাণের জন্য উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। লবণ সহিষ্ণু জাতের ধানসহ অন্যান্য রবিশস্যের আবাদ বাড়াতে হবে। কিন্তু আমাদের চিংড়ি চাষের ক্ষতিকারক দিকগুলোও বিবেচনায় নিতে হবে। চিংড়ি চাষকে কঠোর নীতিমালার আওতায় আনতে হবে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে হলে পৃথিবীব্যাপীই কার্বন নিঃসরণের হার কমাতে হবে। নানা কারণেই কার্বন নিঃসরণের হার কমানো এখন সম্ভব হচ্ছে না। তাই এর সমাধনটাও সহজ নয়, অনেক কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা করা যেতে পারে। বিরূপ প্রকৃতিকে কিছুটা স্বরূপে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা যেতে পারে। এ জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

বনদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলে-বাওয়ালিদের রক্ষা করুন

আবার শ্রমিক অসন্তোষ

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করুন

ঈদে মিলাদুন্নবী

মজুদ যথেষ্ট, তারপরও কেন বাড়ছে চালের দাম

গ্রামগঞ্জেও বিস্তৃত হচ্ছে ডেঙ্গু, সতর্ক থাকতে হবে

নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলছে না

স্টিয়ারিং নয়, এসব শিশু-কিশোরে হাতে বই-খাতা দেখতে চাই

শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হোক

নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করুন

পাহাড় ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরে নামছে কেন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

tab

সম্পাদকীয়

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ

বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে জমিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো দেখা দিয়েছে অনাবৃষ্টি। ফলে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের আমন চাষ ব্যাহত হচ্ছে। দুরবস্থায় পড়েছেন চিংড়ি ঘেরের মালিকসহ মৎস্যচাষিরাও। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও মড়ক-ভাইরাসের কারণে মৎস্য চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সারা পৃথিবীই উষ্ণ হয়ে উঠছে। জার্মানি, স্পেন, আমেরিকা পুড়ছে। দাবানল-বন্যা-খরা-ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। এ জন্য উন্নত দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকে দায়ী করা হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমাদের দেশেও, বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোতে। শুধু বাগেরহাটের রামপাল নয়, উপকূলের সব জেলার চিত্র মোটামুটি একই রকম।

জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের যে প্রভাব, তার ওপর আমদের নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু চিংড়ির চাষ বা ঘের এ অঞ্চলকে কৃত্রিমভাবে লবণাক্ত করে তুলছে। এ ছাড়া স্লুইসগেটের অব্যবস্থাপনা, প্রবাহমান খালে বাধ ও নেট জাল দিয়ে মাছ চাষের ফলে প্রকৃতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা। বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ, বিপর্যস্ত হচ্ছে মানুষের জীবন।

দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্টি সমস্যাও রয়েছে। এ জন্য সরকার ও রাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে এ থেকে পরিত্রাণের জন্য উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। লবণ সহিষ্ণু জাতের ধানসহ অন্যান্য রবিশস্যের আবাদ বাড়াতে হবে। কিন্তু আমাদের চিংড়ি চাষের ক্ষতিকারক দিকগুলোও বিবেচনায় নিতে হবে। চিংড়ি চাষকে কঠোর নীতিমালার আওতায় আনতে হবে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে হলে পৃথিবীব্যাপীই কার্বন নিঃসরণের হার কমাতে হবে। নানা কারণেই কার্বন নিঃসরণের হার কমানো এখন সম্ভব হচ্ছে না। তাই এর সমাধনটাও সহজ নয়, অনেক কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা করা যেতে পারে। বিরূপ প্রকৃতিকে কিছুটা স্বরূপে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা যেতে পারে। এ জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top