গতকাল শুক্রবারও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ছিল ৮০ টাকা। শুক্রবার মধ্যরাতে এর দাম হয়ে গেল ১১৪ টাকা। রাতারাতি দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। বেড়েছে পেট্রল ও অকটেনের দামও। প্রতি লিটার অকটেনের দাম ছিল ৮৯ টাকা যেটা ৪৬ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা। পেট্রলের দর লিটারে ৪৪ টাকা বেড়েছে। ৮৬ টাকার পেট্রলের দাম এখন ১৩০ টাকা।
হঠাৎ করে দাম কয়েকগুণ বাড়ানো প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর ঘটনা সাধারণ মানুষের কাছে বড় একটি ধাক্কা হিসেবেই দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর মতো একে কেউ ‘কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বলে মানতে পারছেন না।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। এ কারণে বিপিসি গত ছয় মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি করে লোকসান দিয়েছে ৮ হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কখনো কখনো বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। এতে সরকারের অজনপ্রিয় হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। গত নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলের দাম যে আবারও বাড়তে পারে সেই আশঙ্কা ছিল। তবে দাম যে এক লাফে এত বাড়ানো হবে তার কোন আভাসই মেলেনি।
এক লাফে এত দাম বাড়ানো অর্থনীতির জন্য ভালো হবে কিনা সেটা কি সরকার ভেবে দেখেছে। কারণ এই দাম বাড়ানোর প্রভাব শুধু জ্বালানি তেলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পরিবহণ ভাড়া বাড়বে। পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের খরচ বাড়বে। উৎপাদন খরচ বাড়বে। যার অর্থ হচ্ছে সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে। আদতে ভোগান্তি হবে সাধারণ মানুষের। প্রশ্ন হচ্ছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর এই চাপ মানুষ সামলাতে পারবে কিনা সেটা কি সরকার ভেবে দেখেছে। তেলের দাম এতটা না বাড়িয়ে আর কোন বিকল্প পদক্ষেপ কি নেয়া যেত না-এটা একটা প্রশ্ন।
জ্বালানি তেলের দর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর আকস্মিক সিদ্ধান্ত মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলবে কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। তেলের দাম বাড়লে বিদ্যুৎ, গ্যাসের দামও বাড়বে। সেটা হলে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয় মহামারীর সময় বেড়েছে। সেটা থামার লক্ষণ নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বরং তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এই অবস্থায় এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া সঙ্গত হবে না যার ভার মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন। জীবনযাত্রার ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী হলে সরকারের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী হবে। আমরা আশা করব, জ্বালানি তেলের দাম সরকার পুনর্বিবেচনা করবে।
শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২
গতকাল শুক্রবারও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ছিল ৮০ টাকা। শুক্রবার মধ্যরাতে এর দাম হয়ে গেল ১১৪ টাকা। রাতারাতি দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। বেড়েছে পেট্রল ও অকটেনের দামও। প্রতি লিটার অকটেনের দাম ছিল ৮৯ টাকা যেটা ৪৬ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা। পেট্রলের দর লিটারে ৪৪ টাকা বেড়েছে। ৮৬ টাকার পেট্রলের দাম এখন ১৩০ টাকা।
হঠাৎ করে দাম কয়েকগুণ বাড়ানো প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর ঘটনা সাধারণ মানুষের কাছে বড় একটি ধাক্কা হিসেবেই দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর মতো একে কেউ ‘কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বলে মানতে পারছেন না।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। এ কারণে বিপিসি গত ছয় মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি করে লোকসান দিয়েছে ৮ হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কখনো কখনো বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। এতে সরকারের অজনপ্রিয় হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। গত নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলের দাম যে আবারও বাড়তে পারে সেই আশঙ্কা ছিল। তবে দাম যে এক লাফে এত বাড়ানো হবে তার কোন আভাসই মেলেনি।
এক লাফে এত দাম বাড়ানো অর্থনীতির জন্য ভালো হবে কিনা সেটা কি সরকার ভেবে দেখেছে। কারণ এই দাম বাড়ানোর প্রভাব শুধু জ্বালানি তেলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পরিবহণ ভাড়া বাড়বে। পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের খরচ বাড়বে। উৎপাদন খরচ বাড়বে। যার অর্থ হচ্ছে সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে। আদতে ভোগান্তি হবে সাধারণ মানুষের। প্রশ্ন হচ্ছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর এই চাপ মানুষ সামলাতে পারবে কিনা সেটা কি সরকার ভেবে দেখেছে। তেলের দাম এতটা না বাড়িয়ে আর কোন বিকল্প পদক্ষেপ কি নেয়া যেত না-এটা একটা প্রশ্ন।
জ্বালানি তেলের দর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর আকস্মিক সিদ্ধান্ত মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলবে কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। তেলের দাম বাড়লে বিদ্যুৎ, গ্যাসের দামও বাড়বে। সেটা হলে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয় মহামারীর সময় বেড়েছে। সেটা থামার লক্ষণ নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বরং তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এই অবস্থায় এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া সঙ্গত হবে না যার ভার মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন। জীবনযাত্রার ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী হলে সরকারের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী হবে। আমরা আশা করব, জ্বালানি তেলের দাম সরকার পুনর্বিবেচনা করবে।