alt

সম্পাদকীয়

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর এই চাপ মানুষ কি সামলাতে পারবে

: শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২

গতকাল শুক্রবারও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ছিল ৮০ টাকা। শুক্রবার মধ্যরাতে এর দাম হয়ে গেল ১১৪ টাকা। রাতারাতি দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। বেড়েছে পেট্রল ও অকটেনের দামও। প্রতি লিটার অকটেনের দাম ছিল ৮৯ টাকা যেটা ৪৬ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা। পেট্রলের দর লিটারে ৪৪ টাকা বেড়েছে। ৮৬ টাকার পেট্রলের দাম এখন ১৩০ টাকা।

হঠাৎ করে দাম কয়েকগুণ বাড়ানো প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর ঘটনা সাধারণ মানুষের কাছে বড় একটি ধাক্কা হিসেবেই দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর মতো একে কেউ ‘কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বলে মানতে পারছেন না।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। এ কারণে বিপিসি গত ছয় মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি করে লোকসান দিয়েছে ৮ হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কখনো কখনো বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। এতে সরকারের অজনপ্রিয় হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। গত নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলের দাম যে আবারও বাড়তে পারে সেই আশঙ্কা ছিল। তবে দাম যে এক লাফে এত বাড়ানো হবে তার কোন আভাসই মেলেনি।

এক লাফে এত দাম বাড়ানো অর্থনীতির জন্য ভালো হবে কিনা সেটা কি সরকার ভেবে দেখেছে। কারণ এই দাম বাড়ানোর প্রভাব শুধু জ্বালানি তেলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পরিবহণ ভাড়া বাড়বে। পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের খরচ বাড়বে। উৎপাদন খরচ বাড়বে। যার অর্থ হচ্ছে সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে। আদতে ভোগান্তি হবে সাধারণ মানুষের। প্রশ্ন হচ্ছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর এই চাপ মানুষ সামলাতে পারবে কিনা সেটা কি সরকার ভেবে দেখেছে। তেলের দাম এতটা না বাড়িয়ে আর কোন বিকল্প পদক্ষেপ কি নেয়া যেত না-এটা একটা প্রশ্ন।

জ্বালানি তেলের দর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর আকস্মিক সিদ্ধান্ত মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলবে কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। তেলের দাম বাড়লে বিদ্যুৎ, গ্যাসের দামও বাড়বে। সেটা হলে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয় মহামারীর সময় বেড়েছে। সেটা থামার লক্ষণ নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বরং তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এই অবস্থায় এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া সঙ্গত হবে না যার ভার মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন। জীবনযাত্রার ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী হলে সরকারের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী হবে। আমরা আশা করব, জ্বালানি তেলের দাম সরকার পুনর্বিবেচনা করবে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর এই চাপ মানুষ কি সামলাতে পারবে

শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২

গতকাল শুক্রবারও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ছিল ৮০ টাকা। শুক্রবার মধ্যরাতে এর দাম হয়ে গেল ১১৪ টাকা। রাতারাতি দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। বেড়েছে পেট্রল ও অকটেনের দামও। প্রতি লিটার অকটেনের দাম ছিল ৮৯ টাকা যেটা ৪৬ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা। পেট্রলের দর লিটারে ৪৪ টাকা বেড়েছে। ৮৬ টাকার পেট্রলের দাম এখন ১৩০ টাকা।

হঠাৎ করে দাম কয়েকগুণ বাড়ানো প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর ঘটনা সাধারণ মানুষের কাছে বড় একটি ধাক্কা হিসেবেই দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর মতো একে কেউ ‘কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বলে মানতে পারছেন না।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের তুলনায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। এ কারণে বিপিসি গত ছয় মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি করে লোকসান দিয়েছে ৮ হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কখনো কখনো বাড়ানোর প্রয়োজন হয়। এতে সরকারের অজনপ্রিয় হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। গত নভেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলের দাম যে আবারও বাড়তে পারে সেই আশঙ্কা ছিল। তবে দাম যে এক লাফে এত বাড়ানো হবে তার কোন আভাসই মেলেনি।

এক লাফে এত দাম বাড়ানো অর্থনীতির জন্য ভালো হবে কিনা সেটা কি সরকার ভেবে দেখেছে। কারণ এই দাম বাড়ানোর প্রভাব শুধু জ্বালানি তেলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পরিবহণ ভাড়া বাড়বে। পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের খরচ বাড়বে। উৎপাদন খরচ বাড়বে। যার অর্থ হচ্ছে সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে। আদতে ভোগান্তি হবে সাধারণ মানুষের। প্রশ্ন হচ্ছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর এই চাপ মানুষ সামলাতে পারবে কিনা সেটা কি সরকার ভেবে দেখেছে। তেলের দাম এতটা না বাড়িয়ে আর কোন বিকল্প পদক্ষেপ কি নেয়া যেত না-এটা একটা প্রশ্ন।

জ্বালানি তেলের দর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ানোর আকস্মিক সিদ্ধান্ত মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলবে কিনা সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। তেলের দাম বাড়লে বিদ্যুৎ, গ্যাসের দামও বাড়বে। সেটা হলে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয় মহামারীর সময় বেড়েছে। সেটা থামার লক্ষণ নেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বরং তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এই অবস্থায় এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া সঙ্গত হবে না যার ভার মানুষের পক্ষে বহন করা কঠিন। জীবনযাত্রার ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী হলে সরকারের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী হবে। আমরা আশা করব, জ্বালানি তেলের দাম সরকার পুনর্বিবেচনা করবে।

back to top