alt

সম্পাদকীয়

জনশক্তি রপ্তানি ও দক্ষ লোকবল

: শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা রয়েছে। দেশটির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে, তারপরও শ্রমিক যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

শুধু মালয়েশিয়ায় নয় যে কোন দেশেই কাজ করতে গেলে নির্দিষ্ট বিষয় প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকতে হয়। কাজ জানতে হয়। সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষা জানতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন।

শ্রমবাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া। গত কয়েক বছর ধরেই দেশটির শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপস্থিতি কমে আসছে। ফলে দেশটি থেকে রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত অর্থবছরে মালয়েশিয়া থেকে রেমিটেন্স আসা কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। গত প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিবাসন বন্ধ ছিল। শুধু মালয়েশিয়াই নয়, সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে, বাজার সীমাবদ্ধ হচ্ছে। এর বিপরীতে নতুন করে কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারিগরি দক্ষতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীর অভাব রয়েছে দেশে। আমাদের দেশের খুব কম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই রয়েছে যারা পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী তৈরি করতে পারে। ফলে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই জাপান, কোরিয়া বা চীনের মতো দেশে চাকরি করার সুযোগ হারান।

শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ শিক্ষা লাভ করে দেশের উন্নতিতেও অবদান রাখতে পারছে না। দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা নিতে হয়। হোক সেটা মেট্রো রেল বা পদ্মা সেতু, সব ক্ষেত্রেই উন্নত বিশ্বের দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হয় বেশি বিনিয়োগ করে। এর বাইরে বিভিন্ন শিল্প ও কলকারখানায়ও বিদেশে থেকে দক্ষ শ্রমিক এনে কাজ করানো হয়। প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যায়। অথচ দেশের মেধাকে উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিলে দেশের টাকা দেশেই থেকে যেত।

দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এসব দেশ যখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বা কোন কারণে শ্রমিক কাজ হারায় তখন রেমিটেন্সের পরিমাণ কমে যায়। তাই দেশের শ্রমবাজারকে আন্তর্জাতিক বাজারে বড় করতে হবে। মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। শুধু কারিগরি শিক্ষা দিয়ে এই বাজারে প্রবেশ করা বা টিকে থাকা যাবে না। উন্নত বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

জনশক্তি রপ্তানি ও দক্ষ লোকবল

শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা রয়েছে। দেশটির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে, তারপরও শ্রমিক যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

শুধু মালয়েশিয়ায় নয় যে কোন দেশেই কাজ করতে গেলে নির্দিষ্ট বিষয় প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকতে হয়। কাজ জানতে হয়। সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষা জানতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন।

শ্রমবাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া। গত কয়েক বছর ধরেই দেশটির শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপস্থিতি কমে আসছে। ফলে দেশটি থেকে রেমিটেন্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত অর্থবছরে মালয়েশিয়া থেকে রেমিটেন্স আসা কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। গত প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিবাসন বন্ধ ছিল। শুধু মালয়েশিয়াই নয়, সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে, বাজার সীমাবদ্ধ হচ্ছে। এর বিপরীতে নতুন করে কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারিগরি দক্ষতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীর অভাব রয়েছে দেশে। আমাদের দেশের খুব কম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই রয়েছে যারা পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী তৈরি করতে পারে। ফলে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই জাপান, কোরিয়া বা চীনের মতো দেশে চাকরি করার সুযোগ হারান।

শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ শিক্ষা লাভ করে দেশের উন্নতিতেও অবদান রাখতে পারছে না। দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা নিতে হয়। হোক সেটা মেট্রো রেল বা পদ্মা সেতু, সব ক্ষেত্রেই উন্নত বিশ্বের দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হয় বেশি বিনিয়োগ করে। এর বাইরে বিভিন্ন শিল্প ও কলকারখানায়ও বিদেশে থেকে দক্ষ শ্রমিক এনে কাজ করানো হয়। প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যায়। অথচ দেশের মেধাকে উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিলে দেশের টাকা দেশেই থেকে যেত।

দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এসব দেশ যখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বা কোন কারণে শ্রমিক কাজ হারায় তখন রেমিটেন্সের পরিমাণ কমে যায়। তাই দেশের শ্রমবাজারকে আন্তর্জাতিক বাজারে বড় করতে হবে। মেধা ও জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। শুধু কারিগরি শিক্ষা দিয়ে এই বাজারে প্রবেশ করা বা টিকে থাকা যাবে না। উন্নত বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলতে হবে।

back to top