মুসলিম বিশ্ব শোকের দিন হিসেবে আশুরা পালন করে থাকে। হিজরি ৬১তম বর্ষের (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ১০ মহররম দ্বীন ও সত্যের জন্য ইমাম হোসাইন (রা.) এজিদের বিপুল বাহিনীর কাছে মাথা নত না করে যুদ্ধ করে শাহাদতবরণ করেছিলেন তার ৭২ জন সঙ্গীকে নিয়ে। সেদিন ন্যায়-আদর্শের জন্য চরম আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)।
ইসলামের আবির্ভাবের অর্থাৎ মহানবী (স.) কর্তৃক ইসলাম প্রচারের বহু আগে থেকেই আশুরা পালিত হয়ে আসছে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব আদম (আ.) এ দিনেই জন্মলাভ করেছিলেন। হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর কাছে প্রথম অহি নিয়ে ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) পৃথিবীতে এসেছিলেন এই দিনে।
এ দিনকে ঘিরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে যুক্ত হয়েছে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা। এ মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণই এখন পবিত্র আশুরা পালনের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর একটা বড় কারণ হলো, ধর্মের নাম করে অধর্ম ও অন্যায়ের অশুভ শক্তি সেদিন ইসলামের সত্যবাণী ও ন্যায়-ধর্মকে আঘাত করেছিল। নিয়েছিল প্রতারণার আশ্রয়।
আজকের দিনে যখন আমরা এদেশে আশুরা পালন করছি, তখন একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে অধর্ম ও অসত্যকে আশ্রয় করে দেশ এবং সমাজ জীবন বিষবাষ্পে আচ্ছন্ন করতে উদ্যত। আজ যারা ধর্মের নাম করে সঙ্কীর্ণতা ও ঘৃণা ছড়ায় তারা কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) দৃঢ়তা, সততা, ধৈর্য ও ধর্মনিষ্ঠা থেকে কিছুই শিক্ষা পায়নি। আশুরার দিনে প্রকৃত ধার্মিক সত্যসেবী ইমানদার মুসলিমদের এই সত্যকে উপলব্ধি করতে হবে, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শোকে আত্মহারা হয়ে এই আশুরার দিনে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) ত্যাগ ও প্রাণ বিসর্জনের প্রকৃত শিক্ষাকে বিস্মৃত হওয়া চলবে না।
ত্যাগ, দুঃখ ও বেদনার মধ্য দিয়ে এবং আত্মাহুতির মাধ্যমে ন্যায়-ধর্মকে উচ্চে তুলে ধরার দীক্ষা নিতে হবে। আশুরার এই শোক দিবসের শিক্ষা হলো- অত্যাচারের কাছে মাথা নত না করা, মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার না করা। তাই হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদতবরণ একই সঙ্গে শোক ও গৌরবের। তার সেই ত্যাগের গৌরব মুসলিম বিশ্বের অন্তরকে উদ্ভাসিত করুক, অনুপ্রাণিত করুক ঈর্ষা-দ্বেষ-কলুষমুক্ত সমাজ গঠনে। এটাই হবে তাঁর শাহাদতবরণে আমাদের শোক, সত্য-ধর্মের পথে চলার পাথেয়। শুধু শোকের মাতম নয়, ত্যাগের মাহাত্ম্যে আলোকিত হয়ে উঠুক সব মানুষ।
সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২
মুসলিম বিশ্ব শোকের দিন হিসেবে আশুরা পালন করে থাকে। হিজরি ৬১তম বর্ষের (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ১০ মহররম দ্বীন ও সত্যের জন্য ইমাম হোসাইন (রা.) এজিদের বিপুল বাহিনীর কাছে মাথা নত না করে যুদ্ধ করে শাহাদতবরণ করেছিলেন তার ৭২ জন সঙ্গীকে নিয়ে। সেদিন ন্যায়-আদর্শের জন্য চরম আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)।
ইসলামের আবির্ভাবের অর্থাৎ মহানবী (স.) কর্তৃক ইসলাম প্রচারের বহু আগে থেকেই আশুরা পালিত হয়ে আসছে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব আদম (আ.) এ দিনেই জন্মলাভ করেছিলেন। হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর কাছে প্রথম অহি নিয়ে ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) পৃথিবীতে এসেছিলেন এই দিনে।
এ দিনকে ঘিরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে যুক্ত হয়েছে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা। এ মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণই এখন পবিত্র আশুরা পালনের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর একটা বড় কারণ হলো, ধর্মের নাম করে অধর্ম ও অন্যায়ের অশুভ শক্তি সেদিন ইসলামের সত্যবাণী ও ন্যায়-ধর্মকে আঘাত করেছিল। নিয়েছিল প্রতারণার আশ্রয়।
আজকের দিনে যখন আমরা এদেশে আশুরা পালন করছি, তখন একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে অধর্ম ও অসত্যকে আশ্রয় করে দেশ এবং সমাজ জীবন বিষবাষ্পে আচ্ছন্ন করতে উদ্যত। আজ যারা ধর্মের নাম করে সঙ্কীর্ণতা ও ঘৃণা ছড়ায় তারা কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) দৃঢ়তা, সততা, ধৈর্য ও ধর্মনিষ্ঠা থেকে কিছুই শিক্ষা পায়নি। আশুরার দিনে প্রকৃত ধার্মিক সত্যসেবী ইমানদার মুসলিমদের এই সত্যকে উপলব্ধি করতে হবে, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শোকে আত্মহারা হয়ে এই আশুরার দিনে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) ত্যাগ ও প্রাণ বিসর্জনের প্রকৃত শিক্ষাকে বিস্মৃত হওয়া চলবে না।
ত্যাগ, দুঃখ ও বেদনার মধ্য দিয়ে এবং আত্মাহুতির মাধ্যমে ন্যায়-ধর্মকে উচ্চে তুলে ধরার দীক্ষা নিতে হবে। আশুরার এই শোক দিবসের শিক্ষা হলো- অত্যাচারের কাছে মাথা নত না করা, মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার না করা। তাই হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদতবরণ একই সঙ্গে শোক ও গৌরবের। তার সেই ত্যাগের গৌরব মুসলিম বিশ্বের অন্তরকে উদ্ভাসিত করুক, অনুপ্রাণিত করুক ঈর্ষা-দ্বেষ-কলুষমুক্ত সমাজ গঠনে। এটাই হবে তাঁর শাহাদতবরণে আমাদের শোক, সত্য-ধর্মের পথে চলার পাথেয়। শুধু শোকের মাতম নয়, ত্যাগের মাহাত্ম্যে আলোকিত হয়ে উঠুক সব মানুষ।