রাজধানীর গুলিস্তান ‘রেড জোন’ থেকে হকার উচ্ছেদ করতে না করতেই পুনর্দখল হয়ে গেছে। গত রোববার ‘রেড জোন’ থেকে সহস্রাধিক হকার উচ্ছেদ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগে ৯ জনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলেছেন, রেড জোন পুনর্দখল হলে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে। হকাররা বলছে, ফুটপাতে না বসলে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাব কী?
রাজধানীর শুধু একটি এলাকারই নয়, প্রায় সব এলাকার ফুটপাতই দখল হয়ে গেছে। শুধু হকাররাই যে ফুটপাত দখল করে, তা নয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ইচ্ছেমতো ফুটপাত দখল করেন। ফুটপাতে রাখা হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী, গাড়ি পার্ক করা হচ্ছে, মোটরবাইক চালানো হচ্ছে। যে কারণে পথচারীদের ফুটপাতের পরিবর্তে সড়ক দিয়ে হাঁটতে হয়। নাগরিকরা প্রায়ই ফুটপাত দখলমুক্ত করার আকুতি জানান।
ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সরকার বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু স্থায়ী সমাধান মেলে না। ‘রেড জোন’ থেকে হকার উচ্ছেদ করেছে ডিএসসিসি। কিন্তু সেটা এক দিনও দখলমুক্ত থাকেনি। ফুটপাতগুলোকে টেকসইভাবে কেন দখলমুক্ত রাখা যাচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।
রাজধানীর ফুটপাতকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। হকারদের দিনপ্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে চাঁদার টাকা কাকে দেয়া হয় বা কারা এর ভাগ পান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই চাঁদাবাজির খবর কি রাখে? খবর রাখলে প্রশাসন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
রাজধানীর ফুটপাত দখল হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে- ঢাকামুখী জনগ্রোত । অসংখ্য মানুষ এই মহানগরীতে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে। ব্যবসা করবার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তারা পায় না। হকারদের নির্দিষ্ট স্থানে বসবার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাদের জন্য রাজধানীতে নতুন নতুন স্থান বরাদ্দ করাও কঠিন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি।
ফুটপাতগুলো টেকসইভাবে দখলমুক্ত করতে হবে। সকালে উচ্ছেদ করা হবে আর বিকালে পুনর্দখল হবেÑএমন সাময়িক অভিযানে সমাধান মিলবে না। টেকসই সমাধানের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। নানা কারণে যারা ফুটপাত দখল করে আছে, তাদের প্রয়োজন কীভাবে মেটানো যায়, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর গুলিস্তান ‘রেড জোন’ থেকে হকার উচ্ছেদ করতে না করতেই পুনর্দখল হয়ে গেছে। গত রোববার ‘রেড জোন’ থেকে সহস্রাধিক হকার উচ্ছেদ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগে ৯ জনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলেছেন, রেড জোন পুনর্দখল হলে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে। হকাররা বলছে, ফুটপাতে না বসলে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাব কী?
রাজধানীর শুধু একটি এলাকারই নয়, প্রায় সব এলাকার ফুটপাতই দখল হয়ে গেছে। শুধু হকাররাই যে ফুটপাত দখল করে, তা নয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ইচ্ছেমতো ফুটপাত দখল করেন। ফুটপাতে রাখা হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী, গাড়ি পার্ক করা হচ্ছে, মোটরবাইক চালানো হচ্ছে। যে কারণে পথচারীদের ফুটপাতের পরিবর্তে সড়ক দিয়ে হাঁটতে হয়। নাগরিকরা প্রায়ই ফুটপাত দখলমুক্ত করার আকুতি জানান।
ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সরকার বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু স্থায়ী সমাধান মেলে না। ‘রেড জোন’ থেকে হকার উচ্ছেদ করেছে ডিএসসিসি। কিন্তু সেটা এক দিনও দখলমুক্ত থাকেনি। ফুটপাতগুলোকে টেকসইভাবে কেন দখলমুক্ত রাখা যাচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন।
রাজধানীর ফুটপাতকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। হকারদের দিনপ্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে চাঁদার টাকা কাকে দেয়া হয় বা কারা এর ভাগ পান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই চাঁদাবাজির খবর কি রাখে? খবর রাখলে প্রশাসন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
রাজধানীর ফুটপাত দখল হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে- ঢাকামুখী জনগ্রোত । অসংখ্য মানুষ এই মহানগরীতে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে। ব্যবসা করবার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তারা পায় না। হকারদের নির্দিষ্ট স্থানে বসবার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাদের জন্য রাজধানীতে নতুন নতুন স্থান বরাদ্দ করাও কঠিন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিকেন্দ্রীকরণ করা জরুরি।
ফুটপাতগুলো টেকসইভাবে দখলমুক্ত করতে হবে। সকালে উচ্ছেদ করা হবে আর বিকালে পুনর্দখল হবেÑএমন সাময়িক অভিযানে সমাধান মিলবে না। টেকসই সমাধানের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে। নানা কারণে যারা ফুটপাত দখল করে আছে, তাদের প্রয়োজন কীভাবে মেটানো যায়, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে।