বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সিংজোড় গ্রামের গাজী আজিজুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পলিথিনের ছাপড়া ঘরে পড়ালেখা করছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। শ্রেণীকক্ষের গ্রেড বিম ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। সম্প্রতি পলেস্তারা খসে পড়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের মাত্রা আারও বাড়িয়ে দিয়েছে পূর্ণিমার জোয়ারের পানি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা দ্রুত সেখানে পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনিয়েছেন, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য আবেদনে সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।
উপকূলীয় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিনের পর দিন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে, দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, এখনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। কবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করবেন, আর কবে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।
বিদ্যালয়ের একটি ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় কেন আমরা সেটা জানতে চাই। এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী করেছে। নিয়মিত মনিটর করা হলে ভবন সংস্কার কিংবা নির্মাণের উদ্যোগ আরও আগে নেয়া যেত বলে আমরা মনে করি। দেশের বিদ্যালয়গুলো যদি নিয়মিত মনিটর করা হতো তাহলে কোন বিদ্যালয়ের কোন ভবন কখন সংস্কার করতে হবে তা জানার কথা। আর যথাসময়ে সংস্কার করা হলে অনেক ভবনই হয়তো পরিত্যক্ত ঘোষণা করার প্রয়োজন হতো না।
আমরা বলতে চাই, দ্রুত উক্ত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হোক। যতদিন ভবন নির্মাণ করা না হবে ততদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পাঠ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্ততপক্ষে পলিথিনের ছাউনি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। জোয়ারের পানিতে বিদ্যালয় যাতে তলিয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিংজোড়সহ আশপাশের কয়েক গ্রাম অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ এলাকা। নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী এ গ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এখানে একটি সাইক্লোন শেল্টার কাম-স্কুল ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, উপকূলে প্রায় ছয় হাজার বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এগুলোর সংখ্যা সাত হাজারে উন্নীত করতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উক্ত স্থানে সাইক্লোন শেল্টার কাম-স্কুল ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সিংজোড় গ্রামের গাজী আজিজুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পলিথিনের ছাপড়া ঘরে পড়ালেখা করছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। শ্রেণীকক্ষের গ্রেড বিম ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। সম্প্রতি পলেস্তারা খসে পড়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের মাত্রা আারও বাড়িয়ে দিয়েছে পূর্ণিমার জোয়ারের পানি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা দ্রুত সেখানে পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনিয়েছেন, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য আবেদনে সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।
উপকূলীয় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিনের পর দিন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে, দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, এখনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। কবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করবেন, আর কবে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।
বিদ্যালয়ের একটি ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় কেন আমরা সেটা জানতে চাই। এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী করেছে। নিয়মিত মনিটর করা হলে ভবন সংস্কার কিংবা নির্মাণের উদ্যোগ আরও আগে নেয়া যেত বলে আমরা মনে করি। দেশের বিদ্যালয়গুলো যদি নিয়মিত মনিটর করা হতো তাহলে কোন বিদ্যালয়ের কোন ভবন কখন সংস্কার করতে হবে তা জানার কথা। আর যথাসময়ে সংস্কার করা হলে অনেক ভবনই হয়তো পরিত্যক্ত ঘোষণা করার প্রয়োজন হতো না।
আমরা বলতে চাই, দ্রুত উক্ত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হোক। যতদিন ভবন নির্মাণ করা না হবে ততদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পাঠ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্ততপক্ষে পলিথিনের ছাউনি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। জোয়ারের পানিতে বিদ্যালয় যাতে তলিয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিংজোড়সহ আশপাশের কয়েক গ্রাম অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ এলাকা। নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী এ গ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এখানে একটি সাইক্লোন শেল্টার কাম-স্কুল ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, উপকূলে প্রায় ছয় হাজার বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এগুলোর সংখ্যা সাত হাজারে উন্নীত করতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উক্ত স্থানে সাইক্লোন শেল্টার কাম-স্কুল ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।