ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত অবাধে চলছে তিন চাকার যানবাহন। এসব যানবাহনে যাত্রীসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করা হয়। ফলে এ মহাসড়কে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট মডেল হাই স্কুলের সামনে মহাসড়কে ট্রলারঘাট বানিয়ে নিয়মিত গরু, আনা-নেয়া করছে স্থানীয়ভাবে তৈরি শতাধিক তিন চাকার যান। এছাড়া দৌলতদিয়া থেকে গোয়ালন্দ মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বালু, সিমেন্ট, কাঠ, খড়ি, পাটসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে। এর বাইরে যাত্রী পরিবহন তো রয়েছেই। এসব যানবাহনের অধিকাংশেরই কোন নিবন্ধন নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি এসব যানবাহন চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এগুলোর ব্রেক সিস্টেম ভালো নয়, তাই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন। সড়ক-মহাসড়ক তো দূরের কথা রাস্তায় চলাচল করাও অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসব গাড়ি উল্টে নিয়মিতই ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
জীবিকার তাগিদেই স্থানীয় চালকরা সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চালিয়ে থাকে। সড়ক-মহাসড়কে দূরপাল্লার দ্রুতগামী যানবাহনের সঙ্গে এসব যানবাহন চলাচলে নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সড়ক-মহাসড়কেই এগুলোর চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশেও সড়ক-মহাসড়কে এসব চলাচল নিষিদ্ধ। এসব যানবাহন সড়ক-মহাসড়কে চলার কথা নয়। মাঝে মাঝে এসব বন্ধ করতে অভিযান চালানোর কথা বলা হয়। অভিযান পরিচালনাও করা হয়। কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এর একটা টেকসই সমাধান হওয়া দরকার।
এসব যানবাহন চলাচল বন্ধে কাজ করতে হবে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের নাকের ডগায় এগুলো কীভাবে চলাচল করছে। সড়ক-মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে তাদের সমানেই যাত্রীসহ মালামাল ওঠানামা করানো হচ্ছে। অভিযোগটি খাতিয়ে দেখতে হবে।
অভিযোগ আছে, সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী তিন চাকার যানবাহন ও নানান অবৈধ যানবাহন থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা ও মাসোহারা পেয়ে থাকে। এজন্য সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হচ্ছে না।
মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রশ্নে শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করা বা আইন করাই যথেষ্ট নয়। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। না হয় পরিস্থিতির উন্নতি হবে না, সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে না।
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত অবাধে চলছে তিন চাকার যানবাহন। এসব যানবাহনে যাত্রীসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করা হয়। ফলে এ মহাসড়কে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট মডেল হাই স্কুলের সামনে মহাসড়কে ট্রলারঘাট বানিয়ে নিয়মিত গরু, আনা-নেয়া করছে স্থানীয়ভাবে তৈরি শতাধিক তিন চাকার যান। এছাড়া দৌলতদিয়া থেকে গোয়ালন্দ মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বালু, সিমেন্ট, কাঠ, খড়ি, পাটসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে। এর বাইরে যাত্রী পরিবহন তো রয়েছেই। এসব যানবাহনের অধিকাংশেরই কোন নিবন্ধন নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি এসব যানবাহন চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এগুলোর ব্রেক সিস্টেম ভালো নয়, তাই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন। সড়ক-মহাসড়ক তো দূরের কথা রাস্তায় চলাচল করাও অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসব গাড়ি উল্টে নিয়মিতই ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
জীবিকার তাগিদেই স্থানীয় চালকরা সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চালিয়ে থাকে। সড়ক-মহাসড়কে দূরপাল্লার দ্রুতগামী যানবাহনের সঙ্গে এসব যানবাহন চলাচলে নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সড়ক-মহাসড়কেই এগুলোর চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশেও সড়ক-মহাসড়কে এসব চলাচল নিষিদ্ধ। এসব যানবাহন সড়ক-মহাসড়কে চলার কথা নয়। মাঝে মাঝে এসব বন্ধ করতে অভিযান চালানোর কথা বলা হয়। অভিযান পরিচালনাও করা হয়। কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এর একটা টেকসই সমাধান হওয়া দরকার।
এসব যানবাহন চলাচল বন্ধে কাজ করতে হবে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের নাকের ডগায় এগুলো কীভাবে চলাচল করছে। সড়ক-মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে তাদের সমানেই যাত্রীসহ মালামাল ওঠানামা করানো হচ্ছে। অভিযোগটি খাতিয়ে দেখতে হবে।
অভিযোগ আছে, সড়ক-মহাসড়কের চলাচলকারী তিন চাকার যানবাহন ও নানান অবৈধ যানবাহন থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা ও মাসোহারা পেয়ে থাকে। এজন্য সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হচ্ছে না।
মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল প্রশ্নে শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করা বা আইন করাই যথেষ্ট নয়। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। না হয় পরিস্থিতির উন্নতি হবে না, সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে না।