alt

সম্পাদকীয়

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ

: সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করা হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমে। এতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিদ্যমান পরীক্ষা নির্ভর মূল্যায়নের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে শিখনকালীন ধারাবাহিক মূল্যায়নে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন অনেকাংশেই হবে বিদ্যালয়ভিত্তিক। তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোন পরীক্ষাই রাখা হয়নি। দশম শ্রেণীর আগে অনুষ্ঠিত হবে না কোন পাবলিক পরীক্ষা।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের পথে নানা চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সপ্তম শ্রেণীর কোন বইয়ের পাণ্ডুলিপিই তৈরি হয়নি এখনো। উক্ত শ্রেণীতে পাঠ্যবই ১০টি। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে সময় আছে চার মাসেরও কম।

কথা ছিল, নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে ২০২১ সালে এবং ২০২২ সালে পূর্ণাঙ্গ বাস্তাবায়ন করা হবে। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে তা এক বছর পিছিয়ে যায়। ৬২টি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর পাইলটিং শুরু হয়েছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে তা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এদিকে আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দুই শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পুরোপুরি শ্রেণী কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এই স্তরে পাইলটিং পিছিয়ে গেছে। আগামী বছর পাইলটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নতুন একটি ব্যবস্থা চালু হলে তাতে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। নীতিনির্ধারকরাও বিষয়টা বোঝেন। এ কারণেই মূলত পাইলটিং করা হয়। তাতে একটি ব্যবস্থার কোথায় কী সমস্যা আছে, সেটা চিহ্নিত করা ও সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া সহজ হয়। কিন্তু পাইলটিংই যদি হোঁচট খায়, তাহলে সমস্যা সমাধানের কাজ কঠিন হয়ে পড়ে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ যে সহজ হবে না, সেটা শিক্ষাবিদরা শুরু থেকেই বলছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বরাবরই আশার বাণী শুনিয়েছেন। বলা সহজ, করা কঠিন। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নে পাড়ি দিতে হবে বহু পথ। অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে। এর আগে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার সময়ও অনেক বাধাবিপত্তি ঘটেছে। সেসব বাধা পেরিয়ে সেই পদ্ধতিকে সফল করা গেছে কি না, সেটা নিয়ে দেশে বিতর্ক আছে। এখন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের শুরুতেই যদি অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। অন্তত বই ছাপার মতো কাজ নিয়ে অনিশ্চয়তা হয়তো থাকত না।

আমরা বলতে চাই, যাদের ওপর নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন উদাসীনতা-অবহেলা কাম্য নয়। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যদি কোন কারণে হোঁচট খায় বা সময়মতো চালু করার উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ

সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করা হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমে। এতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিদ্যমান পরীক্ষা নির্ভর মূল্যায়নের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে শিখনকালীন ধারাবাহিক মূল্যায়নে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন অনেকাংশেই হবে বিদ্যালয়ভিত্তিক। তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোন পরীক্ষাই রাখা হয়নি। দশম শ্রেণীর আগে অনুষ্ঠিত হবে না কোন পাবলিক পরীক্ষা।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের পথে নানা চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সপ্তম শ্রেণীর কোন বইয়ের পাণ্ডুলিপিই তৈরি হয়নি এখনো। উক্ত শ্রেণীতে পাঠ্যবই ১০টি। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে সময় আছে চার মাসেরও কম।

কথা ছিল, নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে ২০২১ সালে এবং ২০২২ সালে পূর্ণাঙ্গ বাস্তাবায়ন করা হবে। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে তা এক বছর পিছিয়ে যায়। ৬২টি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর পাইলটিং শুরু হয়েছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে তা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এদিকে আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দুই শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পুরোপুরি শ্রেণী কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এই স্তরে পাইলটিং পিছিয়ে গেছে। আগামী বছর পাইলটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নতুন একটি ব্যবস্থা চালু হলে তাতে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। নীতিনির্ধারকরাও বিষয়টা বোঝেন। এ কারণেই মূলত পাইলটিং করা হয়। তাতে একটি ব্যবস্থার কোথায় কী সমস্যা আছে, সেটা চিহ্নিত করা ও সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া সহজ হয়। কিন্তু পাইলটিংই যদি হোঁচট খায়, তাহলে সমস্যা সমাধানের কাজ কঠিন হয়ে পড়ে।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কাজ যে সহজ হবে না, সেটা শিক্ষাবিদরা শুরু থেকেই বলছেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বরাবরই আশার বাণী শুনিয়েছেন। বলা সহজ, করা কঠিন। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নে পাড়ি দিতে হবে বহু পথ। অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে। এর আগে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার সময়ও অনেক বাধাবিপত্তি ঘটেছে। সেসব বাধা পেরিয়ে সেই পদ্ধতিকে সফল করা গেছে কি না, সেটা নিয়ে দেশে বিতর্ক আছে। এখন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের শুরুতেই যদি অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। অন্তত বই ছাপার মতো কাজ নিয়ে অনিশ্চয়তা হয়তো থাকত না।

আমরা বলতে চাই, যাদের ওপর নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন উদাসীনতা-অবহেলা কাম্য নয়। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন যদি কোন কারণে হোঁচট খায় বা সময়মতো চালু করার উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

back to top