পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে চর ইমারশন গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান সরকারি খালের ১০টি স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ করায় দখলকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন গলাচিপার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। সম্প্রতি আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খালটি বাঁধ দিয়ে দখলের ফলে এখন পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় কৃষিজমিসহ রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বাড়ি। জলাবদ্ধতায় চাষাবাদ ব্যাহত হয়। শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য খালের পানি ব্যবহার করা যায় না। ফলে প্রায় ৮০ একর কৃষিজমির উৎপাদন ব্যাহতসহ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। খালের বাঁধ কেটে উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সারাদেশেই খাল বা অন্য জলাশয় দখলের মহোসৎব চলছে। খাল রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেমন ভূমিকা রাখা দরকার তেমনটা চোখে পড়ে না। মাঝে মাঝে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বা আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে দখলের বিষয় জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা গৎবাঁধা কিছু কথা বলে থাকেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেছেন, কোনভাবেই সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না। চর ইমারশন খাল ও ভাংগার খাল নামে দুটি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার খবর পেয়েছি। বাঁধ অপসারণসহ এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দশ বছর ধরে খালে বাঁধ দিয়ে, পানিপ্রবাহ বন্ধ করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি বলছেন, ‘খবর পেয়েছি’, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। নিয়মিত নজরদারি থাকলে কোনভাবেই খালটি দখল হতে পারে না।
এর আগেও রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন প্রবাহমান নদী-খাল দখল বা বাঁধ দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বা বাঁধ অপসারণের অভিযান মাঝে-মধ্যেই চলে; কিন্তু দখলমুক্ত হওয়ার পর পুনরায় দখল হয়ে যায়। দখলের দুষ্টচক্রের কোন পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে হয় না।
জলাশয় দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। রাঙ্গাবালীর চর ইমারশন গ্রামের খালসহ অন্যান্য খালগুলোকে দখলমুক্ত করতে হবে। দখলমুক্ত হওয়ার পর পুনর্দখল হয়ে যেন না যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যারা দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। জলাশয় দেখভাল বা রক্ষার দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত রয়েছে তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আদালতের নির্দেশ কিংবা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তারা যেন অপেক্ষা না করেন।
সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে চর ইমারশন গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান সরকারি খালের ১০টি স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ করায় দখলকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন গলাচিপার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। সম্প্রতি আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খালটি বাঁধ দিয়ে দখলের ফলে এখন পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় কৃষিজমিসহ রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বাড়ি। জলাবদ্ধতায় চাষাবাদ ব্যাহত হয়। শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য খালের পানি ব্যবহার করা যায় না। ফলে প্রায় ৮০ একর কৃষিজমির উৎপাদন ব্যাহতসহ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। খালের বাঁধ কেটে উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সারাদেশেই খাল বা অন্য জলাশয় দখলের মহোসৎব চলছে। খাল রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেমন ভূমিকা রাখা দরকার তেমনটা চোখে পড়ে না। মাঝে মাঝে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বা আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে দখলের বিষয় জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা গৎবাঁধা কিছু কথা বলে থাকেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেছেন, কোনভাবেই সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না। চর ইমারশন খাল ও ভাংগার খাল নামে দুটি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার খবর পেয়েছি। বাঁধ অপসারণসহ এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দশ বছর ধরে খালে বাঁধ দিয়ে, পানিপ্রবাহ বন্ধ করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি বলছেন, ‘খবর পেয়েছি’, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। নিয়মিত নজরদারি থাকলে কোনভাবেই খালটি দখল হতে পারে না।
এর আগেও রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন প্রবাহমান নদী-খাল দখল বা বাঁধ দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বা বাঁধ অপসারণের অভিযান মাঝে-মধ্যেই চলে; কিন্তু দখলমুক্ত হওয়ার পর পুনরায় দখল হয়ে যায়। দখলের দুষ্টচক্রের কোন পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে হয় না।
জলাশয় দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। রাঙ্গাবালীর চর ইমারশন গ্রামের খালসহ অন্যান্য খালগুলোকে দখলমুক্ত করতে হবে। দখলমুক্ত হওয়ার পর পুনর্দখল হয়ে যেন না যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যারা দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। জলাশয় দেখভাল বা রক্ষার দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত রয়েছে তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আদালতের নির্দেশ কিংবা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তারা যেন অপেক্ষা না করেন।