alt

সম্পাদকীয়

কৃষককে কেন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে

: বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন স্তরে পানির প্রয়োজন অনস্বীকার্য। পানি ছাড়া কৃষকের পক্ষে চাষ করা অসম্ভব। দেশের কৃষককে প্রায়ই চাষাবাদের পানির জন্য হাপিত্যেশ করতে হয়। এ বছরও পানির জন্য তাদের হাহাকার করতে দেখা গেছে।

এ বছর বর্ষা মৌসুমে তুলনামূলকভাবে অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। কাক্সিক্ষত বৃষ্টি না হওয়ায় দেশের প্রায় সব অঞ্চলের কৃষকই কমবেশি বিপাকে পড়েছে। পানির চাহিদা পূরণে তাদের সামনে বিকল্প হচ্ছে সেচ; কিন্তু সেখানেও দেখা দিয়েছে সংকট। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সেচের জন্য কৃষকরা যে বিদ্যুতের ওপর ভরসা করবে তাতেও রয়েছে সমস্যা। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক স্থানেই সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

নানান সমস্যায় কৃষকরা এমনিতেই জর্জরিত। তার ওপর তাদের চাষাবাদের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায়ই ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিনতে গিয়ে তারা সার পান না। পেলেও দাম বেশি রাখা হয়। এ ধরনের অভিযোগ গণমাধ্যমে নিয়মিতই প্রকাশিত হয়।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচ বোরিং লাইসেন্স করতে গিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, লাইসেন্স দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানানভাবে হয়রানি করেন। কখনো কখনো তাদের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। টাকা দিতে না পারলে লাইসেন্স দেয়ার সময় নানান নিয়ম-কানুন দেখানো হয়। আর টাকা দিতে পারলে তখন নিয়ম-কানুনের বালাই থাকে না।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয় সেটা মোকাবিলায় কৃষকদের ভূমিকা যে অনেক বড় সেটা সরকারও স্বীকার করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দেশের অর্থনীতি আবারও চাপে পড়েছে। এবারও বিপদ মোকাবিলায় নীতি-নির্ধারকরা কৃষকদের দিকে চেয়ে আছেন। তারা বারবার বলছেন যে, দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।

অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও কৃষক তার সাধ্যমতো ফসল ফলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে- সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা এ সময় কৃষকদের কতটুকু সহায়তা করছে। এ সময় তো তাদের উৎসাহী হয়ে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সেচ বোরিং লাইসেন্স দেওয়া উচিত; কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, গাইবান্ধায় সেচ বোরিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষকদের হয়রানির অবসান ঘটাতে হবে। লাইসেন্স দেওয়ার কাজে কোথাও কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকের চাষাবাদের কাজে সব ধরনের বাধা দূর করা অত্যন্ত জরুরি।

পীরগাছায় আড়াইকুঁড়ি নদীতে সেতু নির্মাণ করুন

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

নার্স সংকট নিরসন করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ভাগাড় কেন

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করুন

tab

সম্পাদকীয়

কৃষককে কেন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন স্তরে পানির প্রয়োজন অনস্বীকার্য। পানি ছাড়া কৃষকের পক্ষে চাষ করা অসম্ভব। দেশের কৃষককে প্রায়ই চাষাবাদের পানির জন্য হাপিত্যেশ করতে হয়। এ বছরও পানির জন্য তাদের হাহাকার করতে দেখা গেছে।

এ বছর বর্ষা মৌসুমে তুলনামূলকভাবে অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। কাক্সিক্ষত বৃষ্টি না হওয়ায় দেশের প্রায় সব অঞ্চলের কৃষকই কমবেশি বিপাকে পড়েছে। পানির চাহিদা পূরণে তাদের সামনে বিকল্প হচ্ছে সেচ; কিন্তু সেখানেও দেখা দিয়েছে সংকট। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সেচের জন্য কৃষকরা যে বিদ্যুতের ওপর ভরসা করবে তাতেও রয়েছে সমস্যা। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেক স্থানেই সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

নানান সমস্যায় কৃষকরা এমনিতেই জর্জরিত। তার ওপর তাদের চাষাবাদের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায়ই ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিনতে গিয়ে তারা সার পান না। পেলেও দাম বেশি রাখা হয়। এ ধরনের অভিযোগ গণমাধ্যমে নিয়মিতই প্রকাশিত হয়।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচ বোরিং লাইসেন্স করতে গিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, লাইসেন্স দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানানভাবে হয়রানি করেন। কখনো কখনো তাদের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। টাকা দিতে না পারলে লাইসেন্স দেয়ার সময় নানান নিয়ম-কানুন দেখানো হয়। আর টাকা দিতে পারলে তখন নিয়ম-কানুনের বালাই থাকে না।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয় সেটা মোকাবিলায় কৃষকদের ভূমিকা যে অনেক বড় সেটা সরকারও স্বীকার করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দেশের অর্থনীতি আবারও চাপে পড়েছে। এবারও বিপদ মোকাবিলায় নীতি-নির্ধারকরা কৃষকদের দিকে চেয়ে আছেন। তারা বারবার বলছেন যে, দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।

অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও কৃষক তার সাধ্যমতো ফসল ফলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে- সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা এ সময় কৃষকদের কতটুকু সহায়তা করছে। এ সময় তো তাদের উৎসাহী হয়ে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সেচ বোরিং লাইসেন্স দেওয়া উচিত; কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, গাইবান্ধায় সেচ বোরিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষকদের হয়রানির অবসান ঘটাতে হবে। লাইসেন্স দেওয়ার কাজে কোথাও কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকের চাষাবাদের কাজে সব ধরনের বাধা দূর করা অত্যন্ত জরুরি।

back to top