alt

সম্পাদকীয়

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিন

: শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

মাছের প্রজনন মৌসুমসহ বছরের বিভিন্ন সময় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব জায়গায় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ পরিবহন, কেনাবেচা, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।

মাছ ধরার বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য শ্রমিকদের খাদ্যসহায়তা দেয় সরকার। সমস্যা হচ্ছে, খাদ্যসহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জেলেদের অনেকেই সেই সহায়তা পান না। আবার যারা খাদ্যসহায়তা পান, তাদের পরিমাণে কম চাল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমগুলো অতীতে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। এখন একটি জরিপ থেকেও এসব অভিযোগ সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া গেল।

একাধিক সংগঠন যৌথভাবে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত একটি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তারা প্রান্তিক মৎস্য শ্রমিকদের জেলে কার্ড পাওয়ার বিষয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় মৎস্য শ্রমিকদের ৫৪ শতাংশই সরকারি চাল পাননি। একই বছরের অক্টোবরে ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় মৎস্য শ্রমিকদের ৬০ শতাংশ সরকারি বরাদ্দের চাল পাননি। আরও জানা গেছে, মাছ ধরা বন্ধ থাকলে আর্থিক সংকটে পড়েন ৭৫ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক। আর্থিক সংকট মোকাবিলায় প্রায় ৫৩ শতাংশ মৎস্যশ্রমিক উচ্চ সুদে ঋণ নেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

যেসব জেলে সরকারি সহায়তার বাইরে থাতেন তাদের পক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে এ দুর্মূল্যের বাজারে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। পেটের দায়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করেন। অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে গিয়ে কেউ কেউ জেল জরিমানার সম্মুখীন হন। দেশে কতজন জেলে আছে, আর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কতজনকে সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছে-সেটা জানা দরকার এবং সে অনুযায়ী জেলে কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। প্রকৃত জেলেদের কেউ যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রকৃত ও নিবন্ধিত সব জেলেকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনতে হবে। খাদ্য সহায়তায় অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে হবে। বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো যায় কি না, সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে সেটা আমাদের আশা। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চার গ্রামে পাকা রাস্তা চাই

প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

বটতলী সড়কের কালভার্ট সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

হৃদরোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

রাণীশংকৈলে বনের বেদখল জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে

পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারে চাই সচেতনতা

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

tab

সম্পাদকীয়

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিন

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

মাছের প্রজনন মৌসুমসহ বছরের বিভিন্ন সময় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব জায়গায় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ পরিবহন, কেনাবেচা, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।

মাছ ধরার বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য শ্রমিকদের খাদ্যসহায়তা দেয় সরকার। সমস্যা হচ্ছে, খাদ্যসহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জেলেদের অনেকেই সেই সহায়তা পান না। আবার যারা খাদ্যসহায়তা পান, তাদের পরিমাণে কম চাল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমগুলো অতীতে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। এখন একটি জরিপ থেকেও এসব অভিযোগ সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া গেল।

একাধিক সংগঠন যৌথভাবে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত একটি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তারা প্রান্তিক মৎস্য শ্রমিকদের জেলে কার্ড পাওয়ার বিষয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় মৎস্য শ্রমিকদের ৫৪ শতাংশই সরকারি চাল পাননি। একই বছরের অক্টোবরে ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় মৎস্য শ্রমিকদের ৬০ শতাংশ সরকারি বরাদ্দের চাল পাননি। আরও জানা গেছে, মাছ ধরা বন্ধ থাকলে আর্থিক সংকটে পড়েন ৭৫ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক। আর্থিক সংকট মোকাবিলায় প্রায় ৫৩ শতাংশ মৎস্যশ্রমিক উচ্চ সুদে ঋণ নেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

যেসব জেলে সরকারি সহায়তার বাইরে থাতেন তাদের পক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে এ দুর্মূল্যের বাজারে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। পেটের দায়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করেন। অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে গিয়ে কেউ কেউ জেল জরিমানার সম্মুখীন হন। দেশে কতজন জেলে আছে, আর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কতজনকে সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছে-সেটা জানা দরকার এবং সে অনুযায়ী জেলে কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। প্রকৃত জেলেদের কেউ যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রকৃত ও নিবন্ধিত সব জেলেকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনতে হবে। খাদ্য সহায়তায় অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে হবে। বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো যায় কি না, সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে সেটা আমাদের আশা। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top