মাছের প্রজনন মৌসুমসহ বছরের বিভিন্ন সময় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব জায়গায় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ পরিবহন, কেনাবেচা, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।
মাছ ধরার বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য শ্রমিকদের খাদ্যসহায়তা দেয় সরকার। সমস্যা হচ্ছে, খাদ্যসহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জেলেদের অনেকেই সেই সহায়তা পান না। আবার যারা খাদ্যসহায়তা পান, তাদের পরিমাণে কম চাল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমগুলো অতীতে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। এখন একটি জরিপ থেকেও এসব অভিযোগ সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া গেল।
একাধিক সংগঠন যৌথভাবে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত একটি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তারা প্রান্তিক মৎস্য শ্রমিকদের জেলে কার্ড পাওয়ার বিষয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় মৎস্য শ্রমিকদের ৫৪ শতাংশই সরকারি চাল পাননি। একই বছরের অক্টোবরে ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় মৎস্য শ্রমিকদের ৬০ শতাংশ সরকারি বরাদ্দের চাল পাননি। আরও জানা গেছে, মাছ ধরা বন্ধ থাকলে আর্থিক সংকটে পড়েন ৭৫ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক। আর্থিক সংকট মোকাবিলায় প্রায় ৫৩ শতাংশ মৎস্যশ্রমিক উচ্চ সুদে ঋণ নেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যেসব জেলে সরকারি সহায়তার বাইরে থাতেন তাদের পক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে এ দুর্মূল্যের বাজারে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। পেটের দায়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করেন। অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে গিয়ে কেউ কেউ জেল জরিমানার সম্মুখীন হন। দেশে কতজন জেলে আছে, আর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কতজনকে সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছে-সেটা জানা দরকার এবং সে অনুযায়ী জেলে কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। প্রকৃত জেলেদের কেউ যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রকৃত ও নিবন্ধিত সব জেলেকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনতে হবে। খাদ্য সহায়তায় অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে হবে। বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো যায় কি না, সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে সেটা আমাদের আশা। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
মাছের প্রজনন মৌসুমসহ বছরের বিভিন্ন সময় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব জায়গায় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ পরিবহন, কেনাবেচা, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।
মাছ ধরার বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য শ্রমিকদের খাদ্যসহায়তা দেয় সরকার। সমস্যা হচ্ছে, খাদ্যসহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জেলেদের অনেকেই সেই সহায়তা পান না। আবার যারা খাদ্যসহায়তা পান, তাদের পরিমাণে কম চাল দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমগুলো অতীতে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। এখন একটি জরিপ থেকেও এসব অভিযোগ সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া গেল।
একাধিক সংগঠন যৌথভাবে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত একটি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তারা প্রান্তিক মৎস্য শ্রমিকদের জেলে কার্ড পাওয়ার বিষয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় মৎস্য শ্রমিকদের ৫৪ শতাংশই সরকারি চাল পাননি। একই বছরের অক্টোবরে ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় মৎস্য শ্রমিকদের ৬০ শতাংশ সরকারি বরাদ্দের চাল পাননি। আরও জানা গেছে, মাছ ধরা বন্ধ থাকলে আর্থিক সংকটে পড়েন ৭৫ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক। আর্থিক সংকট মোকাবিলায় প্রায় ৫৩ শতাংশ মৎস্যশ্রমিক উচ্চ সুদে ঋণ নেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যেসব জেলে সরকারি সহায়তার বাইরে থাতেন তাদের পক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে এ দুর্মূল্যের বাজারে জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়ে। পেটের দায়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করেন। অবৈধভাবে মাছ শিকার করতে গিয়ে কেউ কেউ জেল জরিমানার সম্মুখীন হন। দেশে কতজন জেলে আছে, আর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কতজনকে সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছে-সেটা জানা দরকার এবং সে অনুযায়ী জেলে কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। প্রকৃত জেলেদের কেউ যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রকৃত ও নিবন্ধিত সব জেলেকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনতে হবে। খাদ্য সহায়তায় অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে হবে। বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো যায় কি না, সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে সেটা আমাদের আশা। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।