alt

সম্পাদকীয়

কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভোগান্তি কমবে কবে

: শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা নানা সমস্যায় জর্জরিত। সৈকতের অব্যাহত ভাঙনে পূর্বেকার জৌলুস এখন নেই বললেই চলে। সত্তর ও আশির দশক পর্যন্ত যেখানে সাগর সৈকত ছিল তা এখন গভীর সমুদ্র। ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে গেছে ঝাউবন ও নারিকেল বাগান। জোয়ারের সময় সৈকতের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। দূর থেকে শুধু০ সাগরের ঢেউ উপভোগ করতে হয় পর্যটকদের। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু সৈকতের ভাঙনই নয়, সমস্যা রয়েছে অবকাঠামোগত দিক দিয়েও। পর্যটন এলাকায় পর্যাপ্ত রাস্তঘাট নেই। এমনকি পৌর ও পর্যটন শহর হওয়ার পরেও সেখানে নির্মাণ করা হয়নি কোন বাস টর্মিনাল। একটি মাত্র প্রধান সড়কেই দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহনসহ স্থানীয় যানবাহন রাখা হয়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় যানবাহনের চালকসহ পর্যটকদের। তাছাড়া কুয়াকাটা জিরোপয়েন্ট থেকে ১০ কিমি. উত্তরে মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধ বিহারে যাওয়ার রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

কুয়াকাটা বরাবরই পর্যটনসমৃদ্ধ এলাকা। সাগর-প্রকৃতি, জেলেদের জীবন ব্যবস্থাপনাসহ কুয়াকাটার সবকিছুই পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। কুয়াকাটা সৈকত থেকে একই সঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়, যা দেশের অন্য কোথাও থেকে দেখা যায় না। তাছাড়া কুয়াকাটার অদূরে পায়রা সমুদ্রবন্দর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও অর্থনৈতিক জোন স্থাপনসহ নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। ফলে সেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।

এক সময় ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪টি ফেরি সার্ভিস ছিল। সে কারণে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে ২৪ থেকে ২৫ ঘণ্টা সময় লাগত। সর্বশেষ ভোগান্তি ছিল মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টের ফেরি।

কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দখিনের দুয়ার খুলে গেছে। এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায় কুয়াকাটায় পৌঁছানো যায়। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখানকার প্রতি এখন পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি। কিন্তু তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা তেমন বাড়েনি।

কুয়াকাটায় মানসম্মত আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁরও অভাব রয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো কাঁচা রয়ে গেছে। ফলে পর্যটকরা যে ঘুরে বেড়াবেন সেই পরিবেশ নেই। তাদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যে কারণে অনেকেই হতাশ হন। অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে জেনে সেখানে অনেক পর্যটকই যেতে আগ্রহী হন না। পর্যটনকে সমৃদ্ধ করতে হলে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

কুয়াকাটার পর্যটনের সম্ভাবনার কথা শুধু মুখে মুখে বললে হবে না; বাস্তবে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সেটা করা হলে পর্যটন শিল্প যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভোগান্তিও লাঘব হবে। তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিভিন্ন সময় কুয়াকাটার সৈকত রক্ষা, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের সংস্কারসহ সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা শোনা যায়। কিন্তু এসব পরিল্পনার পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন দেখা যায় না। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসবের বাস্তবায়ন করতে হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভোগান্তি কমবে কবে

শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা নানা সমস্যায় জর্জরিত। সৈকতের অব্যাহত ভাঙনে পূর্বেকার জৌলুস এখন নেই বললেই চলে। সত্তর ও আশির দশক পর্যন্ত যেখানে সাগর সৈকত ছিল তা এখন গভীর সমুদ্র। ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে গেছে ঝাউবন ও নারিকেল বাগান। জোয়ারের সময় সৈকতের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। দূর থেকে শুধু০ সাগরের ঢেউ উপভোগ করতে হয় পর্যটকদের। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু সৈকতের ভাঙনই নয়, সমস্যা রয়েছে অবকাঠামোগত দিক দিয়েও। পর্যটন এলাকায় পর্যাপ্ত রাস্তঘাট নেই। এমনকি পৌর ও পর্যটন শহর হওয়ার পরেও সেখানে নির্মাণ করা হয়নি কোন বাস টর্মিনাল। একটি মাত্র প্রধান সড়কেই দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহনসহ স্থানীয় যানবাহন রাখা হয়। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় যানবাহনের চালকসহ পর্যটকদের। তাছাড়া কুয়াকাটা জিরোপয়েন্ট থেকে ১০ কিমি. উত্তরে মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধ বিহারে যাওয়ার রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

কুয়াকাটা বরাবরই পর্যটনসমৃদ্ধ এলাকা। সাগর-প্রকৃতি, জেলেদের জীবন ব্যবস্থাপনাসহ কুয়াকাটার সবকিছুই পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। কুয়াকাটা সৈকত থেকে একই সঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়, যা দেশের অন্য কোথাও থেকে দেখা যায় না। তাছাড়া কুয়াকাটার অদূরে পায়রা সমুদ্রবন্দর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও অর্থনৈতিক জোন স্থাপনসহ নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। ফলে সেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।

এক সময় ঢাকা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪টি ফেরি সার্ভিস ছিল। সে কারণে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে ২৪ থেকে ২৫ ঘণ্টা সময় লাগত। সর্বশেষ ভোগান্তি ছিল মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টের ফেরি।

কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দখিনের দুয়ার খুলে গেছে। এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায় কুয়াকাটায় পৌঁছানো যায়। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখানকার প্রতি এখন পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি। কিন্তু তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা তেমন বাড়েনি।

কুয়াকাটায় মানসম্মত আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁরও অভাব রয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো কাঁচা রয়ে গেছে। ফলে পর্যটকরা যে ঘুরে বেড়াবেন সেই পরিবেশ নেই। তাদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। যে কারণে অনেকেই হতাশ হন। অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে জেনে সেখানে অনেক পর্যটকই যেতে আগ্রহী হন না। পর্যটনকে সমৃদ্ধ করতে হলে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

কুয়াকাটার পর্যটনের সম্ভাবনার কথা শুধু মুখে মুখে বললে হবে না; বাস্তবে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সেটা করা হলে পর্যটন শিল্প যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভোগান্তিও লাঘব হবে। তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিভিন্ন সময় কুয়াকাটার সৈকত রক্ষা, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানের সংস্কারসহ সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা শোনা যায়। কিন্তু এসব পরিল্পনার পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন দেখা যায় না। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসবের বাস্তবায়ন করতে হবে।

back to top