কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার মোড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ ভাড়া নিয়ে খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে করে প্রভাব পড়ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমে, শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, গ্রাম্য সালিশ বৈঠক, পারিবারিক বিরোধ, জন্মনিবন্ধন সনদসহ অনেক কাজে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
স্থানীয় জনসাধারণের সেবার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অফিস থাকা অপরিহার্য। খোকসা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর দুই দশক পার হয়েছে। কিন্তু এত দিনেও কেন ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ করা হয়নি-সেটা একটা প্রশ্ন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোন জায়গা বা ভবন না থাকায় জনসাধারণকে সেবা দিতে খুব সমস্যা হচ্ছে। সেবাপ্রত্যাশীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
নাগরিকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবাদানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চালু রাখতে হবে। কিন্তু তাই বলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাতে হবে কেন, সেটা একটা প্রশ্ন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিন্ন আর কোন ভবন কি ভাড়া নেয়া যেত না? শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হোক, সেটা আমরা চাই না। এমনিতেই করোনা মহামারীর সময় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তখন শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার পরও যদি নানা সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। আবার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ থাকুক, সেটাও আমরা চাই না।
তাই যত দ্রুত সম্ভব ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। যত দিন ভবন নির্মাণ করা না হয়, তত দিন বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। কীভাবে বা কোন উপায়ে বিকল্প ব্যবস্থা হবে, তা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখতে হবে। এখন নির্মাণ প্রযুক্তি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে অনেক বড় বড় অবকাঠামোই অল্প সময় নির্মাণ করা যায়। এ ধরনের প্রযুক্তি দেশেও সহজলভ্য। কাজেই একটা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা কঠিন নয়। শুধু দরকার সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা।
রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার মোড়াগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ ভাড়া নিয়ে খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে করে প্রভাব পড়ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমে, শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, গ্রাম্য সালিশ বৈঠক, পারিবারিক বিরোধ, জন্মনিবন্ধন সনদসহ অনেক কাজে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
স্থানীয় জনসাধারণের সেবার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অফিস থাকা অপরিহার্য। খোকসা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর দুই দশক পার হয়েছে। কিন্তু এত দিনেও কেন ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ করা হয়নি-সেটা একটা প্রশ্ন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোন জায়গা বা ভবন না থাকায় জনসাধারণকে সেবা দিতে খুব সমস্যা হচ্ছে। সেবাপ্রত্যাশীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
নাগরিকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবাদানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চালু রাখতে হবে। কিন্তু তাই বলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম চালাতে হবে কেন, সেটা একটা প্রশ্ন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিন্ন আর কোন ভবন কি ভাড়া নেয়া যেত না? শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হোক, সেটা আমরা চাই না। এমনিতেই করোনা মহামারীর সময় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তখন শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার পরও যদি নানা সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। আবার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ থাকুক, সেটাও আমরা চাই না।
তাই যত দ্রুত সম্ভব ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। যত দিন ভবন নির্মাণ করা না হয়, তত দিন বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। কীভাবে বা কোন উপায়ে বিকল্প ব্যবস্থা হবে, তা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখতে হবে। এখন নির্মাণ প্রযুক্তি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে অনেক বড় বড় অবকাঠামোই অল্প সময় নির্মাণ করা যায়। এ ধরনের প্রযুক্তি দেশেও সহজলভ্য। কাজেই একটা বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা কঠিন নয়। শুধু দরকার সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা।