ময়মনসিংহের নান্দাইলের যাত্রী ছাউনিগুলো দখল হয়ে গেছে। দখল হওয়া যাত্রী ছাউনি পরিণত হয়েছে টং দোকানে। আর যাত্রী সাধারণ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করেন সড়কে। তাদের রোদ-বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু যে ময়মনসিংহে যাত্রী ছাউনি দখল হয়ে গেছে তা নয়। দেশের অনেক যাত্রী ছাউনির একই অবস্থা। সড়ক-মহাসড়কে ছাউনি নির্মাণ করা হয় যাত্রীদের জন্য। পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা যেন সেখানে বসতে পারেন, রোদ-বৃষ্টিতে আশ্রয় নিতে পারেন সেটাই লক্ষ্য। বাসগুলো এসে ছাউনির সামনে থামবে, সেখানে যাত্রীরা ওঠানামা করবেন।
বাস্তবে এসব ছাউনি হয়ে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থান। প্রশ্ন হচ্ছে, যাত্রী ছাউনিগুলোতে দোকানপাট খুলে বসে কারা। অভিযোগ আছে, প্রভাবশালী একটি চক্র ছাউনি দখল করে দোকান করে অথবা ভাড়া দেয়। প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে দিনের পর দিন তারা ভাড়া-বাণিজ্য করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ছাউনি দখল করে একটি গোষ্ঠী বাণিজ্য করলেও যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাদের দুর্ভোগ নিরসনের দায়দায়িত্ব কারও আছে বলে মনে হয় না।
দেশে দখলের অপসংস্কৃতি জেঁকে বসেছে। এখানে সড়ক দখল হয়ে যায়, ফুুটপাত দখল হয়ে যায়। দখলের এই অপসংস্কৃতি থেকে যাত্রী ছাউনিগুলোও রক্ষা পায়নি। যেখানে সড়কই রক্ষা করা যায় না সেখানে ছাউনি রক্ষা করা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা বলতে চাই, নান্দাইলসহ দেশের সব যাত্রী ছাউনি দখলমুক্ত করতে হবে। যে বা যারা ছাউনি দখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
ছাউনি শুধু দখলমুক্ত করলেই চলবে না। একে ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। যাত্রীবান্ধব ছাউনি চাই আমরা। এজন্য এর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। যেখানে সম্ভব সেখানে শৌচাগার করতে হবে। ওয়াইফাইয়ের মতো আধুনিক সুবিধাও যোগ করা যেতে পারে।
যাত্রীরা যেন ছাউনি ব্যবহার করেন সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাসগুলো যেন ছাউনির সামনে দাঁড়ায় সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।
মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
ময়মনসিংহের নান্দাইলের যাত্রী ছাউনিগুলো দখল হয়ে গেছে। দখল হওয়া যাত্রী ছাউনি পরিণত হয়েছে টং দোকানে। আর যাত্রী সাধারণ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করেন সড়কে। তাদের রোদ-বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু যে ময়মনসিংহে যাত্রী ছাউনি দখল হয়ে গেছে তা নয়। দেশের অনেক যাত্রী ছাউনির একই অবস্থা। সড়ক-মহাসড়কে ছাউনি নির্মাণ করা হয় যাত্রীদের জন্য। পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা যেন সেখানে বসতে পারেন, রোদ-বৃষ্টিতে আশ্রয় নিতে পারেন সেটাই লক্ষ্য। বাসগুলো এসে ছাউনির সামনে থামবে, সেখানে যাত্রীরা ওঠানামা করবেন।
বাস্তবে এসব ছাউনি হয়ে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থান। প্রশ্ন হচ্ছে, যাত্রী ছাউনিগুলোতে দোকানপাট খুলে বসে কারা। অভিযোগ আছে, প্রভাবশালী একটি চক্র ছাউনি দখল করে দোকান করে অথবা ভাড়া দেয়। প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে দিনের পর দিন তারা ভাড়া-বাণিজ্য করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ছাউনি দখল করে একটি গোষ্ঠী বাণিজ্য করলেও যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাদের দুর্ভোগ নিরসনের দায়দায়িত্ব কারও আছে বলে মনে হয় না।
দেশে দখলের অপসংস্কৃতি জেঁকে বসেছে। এখানে সড়ক দখল হয়ে যায়, ফুুটপাত দখল হয়ে যায়। দখলের এই অপসংস্কৃতি থেকে যাত্রী ছাউনিগুলোও রক্ষা পায়নি। যেখানে সড়কই রক্ষা করা যায় না সেখানে ছাউনি রক্ষা করা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা বলতে চাই, নান্দাইলসহ দেশের সব যাত্রী ছাউনি দখলমুক্ত করতে হবে। যে বা যারা ছাউনি দখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
ছাউনি শুধু দখলমুক্ত করলেই চলবে না। একে ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। যাত্রীবান্ধব ছাউনি চাই আমরা। এজন্য এর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। যেখানে সম্ভব সেখানে শৌচাগার করতে হবে। ওয়াইফাইয়ের মতো আধুনিক সুবিধাও যোগ করা যেতে পারে।
যাত্রীরা যেন ছাউনি ব্যবহার করেন সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাসগুলো যেন ছাউনির সামনে দাঁড়ায় সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।