alt

সম্পাদকীয়

কক্সবাজারে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া হোটেল চলছে কীভাবে

: শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের কোন পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পয়ঃবর্জ্য বিভিন্ন নালা, জলাশয়, খাল ও নদী হয়ে সরাসরি সমুদ্রে গিয়ে মিশছে। সৈকতের নাজিরারটেক থেকে হিমছড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটারজুড়েই ঘটছে মারাত্মাক দূষণ। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সুয়ারেজ সিস্টেম না থাকায় হোটেল-মোটেল থেকে তরল বর্জ্য ড্রেন দিয়ে বাঁকখালী নদীতে পড়ে সরাসরি মিশছে সমুদ্রে। পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারে ৫৩৪টি হোটেলের ইটিপি ও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসব হোটেলের কর্তৃপক্ষকে শুনানির জন্য নিয়মিত নোটিশ দেয়া হচ্ছে। পর্যটন শহরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যবসায়ীরা হোটেল গড়ছেন, ব্যবসা করছেন। কিন্তু কোন সুষ্ঠু পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছেন না।

কক্সবাজারের মাত্র ১৫ থেকে ২০টির মতো হোটেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে। কিছু হোটেল ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানিয়েছেন, কাগজপত্র সংকট থাকায় তাদের ছাড়পত্র দেয়া যাচ্ছে না। যেসব হোটেলের ছাড়পত্র নেই সেসব হোটেলে পরিবেশ অধিদপ্তর এনফোর্সের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এত হোটেলের মধ্যে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা হোটেলের পরিবেশ ছাড়পত্র আছে। পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান চালায়, জরিমানা করে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এতে করে পরিবেশ কতটা রক্ষা পায়-সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযান চালিয়ে জরিমানা করাটাই সমাধান নয়। এর একটা টেকসই সমাধান করা দরকার। নিয়ম-কানুন মেনে, পরিবেশ রক্ষা করে হোটেল-মোটেল চালাতে হবে। সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকেই কাজ করতে হবে। তাদের আরও কঠোর ভূমিকা অবলম্বন করতে হবে।

আমরা বলতে চাই, প্রত্যেক হোটেলকেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। ছাড়পত্র ছাড়া কেউ যাতে হোটেল পরিচালনা করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় আইন রয়েছে, আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। দেশের নদ-নদী, খাল-জলাশয় ইতোমধ্যে দখল-দূষণে ধুঁকছে। এরপর ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে সমুদ্রদূষণ। এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সমুদ্রকে রক্ষা করা যাবে না। শুধু পর্যটন খাতই নয়, এমন অনেক খাতই আছে যাদের পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সেটা তারা করছে না। সেদিকেও নজর দিতে হবে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

কক্সবাজারে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া হোটেল চলছে কীভাবে

শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের কোন পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পয়ঃবর্জ্য বিভিন্ন নালা, জলাশয়, খাল ও নদী হয়ে সরাসরি সমুদ্রে গিয়ে মিশছে। সৈকতের নাজিরারটেক থেকে হিমছড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটারজুড়েই ঘটছে মারাত্মাক দূষণ। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সুয়ারেজ সিস্টেম না থাকায় হোটেল-মোটেল থেকে তরল বর্জ্য ড্রেন দিয়ে বাঁকখালী নদীতে পড়ে সরাসরি মিশছে সমুদ্রে। পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারে ৫৩৪টি হোটেলের ইটিপি ও পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসব হোটেলের কর্তৃপক্ষকে শুনানির জন্য নিয়মিত নোটিশ দেয়া হচ্ছে। পর্যটন শহরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যবসায়ীরা হোটেল গড়ছেন, ব্যবসা করছেন। কিন্তু কোন সুষ্ঠু পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছেন না।

কক্সবাজারের মাত্র ১৫ থেকে ২০টির মতো হোটেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে। কিছু হোটেল ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানিয়েছেন, কাগজপত্র সংকট থাকায় তাদের ছাড়পত্র দেয়া যাচ্ছে না। যেসব হোটেলের ছাড়পত্র নেই সেসব হোটেলে পরিবেশ অধিদপ্তর এনফোর্সের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এত হোটেলের মধ্যে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা হোটেলের পরিবেশ ছাড়পত্র আছে। পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান চালায়, জরিমানা করে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এতে করে পরিবেশ কতটা রক্ষা পায়-সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযান চালিয়ে জরিমানা করাটাই সমাধান নয়। এর একটা টেকসই সমাধান করা দরকার। নিয়ম-কানুন মেনে, পরিবেশ রক্ষা করে হোটেল-মোটেল চালাতে হবে। সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকেই কাজ করতে হবে। তাদের আরও কঠোর ভূমিকা অবলম্বন করতে হবে।

আমরা বলতে চাই, প্রত্যেক হোটেলকেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। ছাড়পত্র ছাড়া কেউ যাতে হোটেল পরিচালনা করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় আইন রয়েছে, আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। দেশের নদ-নদী, খাল-জলাশয় ইতোমধ্যে দখল-দূষণে ধুঁকছে। এরপর ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে সমুদ্রদূষণ। এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সমুদ্রকে রক্ষা করা যাবে না। শুধু পর্যটন খাতই নয়, এমন অনেক খাতই আছে যাদের পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সেটা তারা করছে না। সেদিকেও নজর দিতে হবে।

back to top