নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা-লুটিয়া সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়কে বালির পরিবর্তে বেলেমাটি ও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়কের দুইপাশে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের শিকড় অপসারণ না করেই সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসমাগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করলে টেকসই হবে না। এতে চলাচলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্থেরও অপচয় হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে ধরনের ইট ব্যবহার করছে তা মানসম্মত নয়। তাদের ইট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া বেলেমাটি ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করলে কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর কথায় জনসাধারণ কতটা আশ্বস্ত হবে সেটা একটা প্রশ্ন। অন্যান্য যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সেসবের আশু সমাধান করতে হবে। সড়কে ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তনের কথা বলে সংশ্লিষ্টদের বসে থাকলে চলবে না, কাজের তদারকি করতে হবে।
অন্যান্য নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান ও পরিমাণ নিশ্চিত করা জরুরি। দেশে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০১৮ সালের এক অনুসন্ধানেও বিষয়টি উঠে আসে। দুদকের অনুসন্ধানে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ, ঠিকমতো মাটি ও বালু না ফেলা, সময়মতো কাজ শেষ না করে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানো, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা বিশেষভাবে শনাক্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদাররা এসব দুর্নীতি করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
লোহাগড়ার ঝিকড়া এলাকা থেকে আমাদা পর্যন্ত সড়ক সংস্কারে অন্যান্য নির্মাণ উপকরণ যাতে মানসম্মত এবং পরিমাণ মতো দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব উপকরণের গুণগত মান ঠিক আছে কিনা- তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গুণগত মানের ব্যাপারে কোন আপস করা যাবে না। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
রোববার, ২০ নভেম্বর ২০২২
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা-লুটিয়া সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়কে বালির পরিবর্তে বেলেমাটি ও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সড়কের দুইপাশে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের শিকড় অপসারণ না করেই সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসমাগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করলে টেকসই হবে না। এতে চলাচলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্থেরও অপচয় হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে ধরনের ইট ব্যবহার করছে তা মানসম্মত নয়। তাদের ইট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া বেলেমাটি ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করলে কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর কথায় জনসাধারণ কতটা আশ্বস্ত হবে সেটা একটা প্রশ্ন। অন্যান্য যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে সেসবের আশু সমাধান করতে হবে। সড়কে ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তনের কথা বলে সংশ্লিষ্টদের বসে থাকলে চলবে না, কাজের তদারকি করতে হবে।
অন্যান্য নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান ও পরিমাণ নিশ্চিত করা জরুরি। দেশে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০১৮ সালের এক অনুসন্ধানেও বিষয়টি উঠে আসে। দুদকের অনুসন্ধানে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ, ঠিকমতো মাটি ও বালু না ফেলা, সময়মতো কাজ শেষ না করে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানো, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা বিশেষভাবে শনাক্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদাররা এসব দুর্নীতি করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
লোহাগড়ার ঝিকড়া এলাকা থেকে আমাদা পর্যন্ত সড়ক সংস্কারে অন্যান্য নির্মাণ উপকরণ যাতে মানসম্মত এবং পরিমাণ মতো দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব উপকরণের গুণগত মান ঠিক আছে কিনা- তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গুণগত মানের ব্যাপারে কোন আপস করা যাবে না। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।