আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই জঙ্গি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে যদি যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো তাহলে হয়তো প্রকাশ্য দিবালোকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব হতো না।
প্রশ্ন আছে গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়েও। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার বিবরণ থেকে ধারণা করা যায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা ঘটনাস্থলের আশপাশে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। এই পরিকল্পনা বা জঙ্গিদের তৎপরতা ঘুণাক্ষরেও গোয়েন্দারা জানতে পারেনি।
সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই বলছে, দেশে জঙ্গিবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার হওয়ার কথা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হওয়ার কথা আরও আঁটোসাঁটো।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে দুই জঙ্গিকে নিয়ে তাদের সহযোগীরা নিরাপদে পালিয়ে গেছে। এখনও তাদের হদিস মেলেনি। জঙ্গিরা পালিয়ে কোথায় আশ্রয় নিতে পারে বা কী করতে পারে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা পুলিশের কি আছে- এটা একটা প্রশ্ন। জঙ্গিবাদ দমনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যতটা চৌকশ হওয়া দরকার তারা ততটা চৌকশ বা সক্ষম কিনা এমন প্রশ্ন অতীতেও উঠেছে। দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।
জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি কৌশলী হতে হবে। সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। জঙ্গিরা এই অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে।
দেশে বিভিন্ন সময় থেমে থেমে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তারা বড় কোনো ঘটনা ঘটালে সরকার তৎপরতা শুরু করে, অভিযান চালায়। শীর্ষ জঙ্গিদের অনেকেই পুলিশি অভিযানে মারা যায়, অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তার হতে দেখা যায়। যদিও পুলিশ দাবি করে যে, দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আছে। বাস্তবতা হচ্ছে, জঙ্গিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা যায়নি।
জঙ্গিবাদের বিপদ সম্পর্কে সরকারকে সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশি অভিযানের পাশাপাশি আদর্শিক লড়াই শুরু করতে হবে।
ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত আটক করা হবে সেটা আমাদের আশা। পাশাপাশি আদালতসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। দেশে নতুন করে কেউ যেন জঙ্গিদের নৃশংসতার শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই জঙ্গি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে যদি যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো তাহলে হয়তো প্রকাশ্য দিবালোকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব হতো না।
প্রশ্ন আছে গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়েও। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার বিবরণ থেকে ধারণা করা যায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা ঘটনাস্থলের আশপাশে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। এই পরিকল্পনা বা জঙ্গিদের তৎপরতা ঘুণাক্ষরেও গোয়েন্দারা জানতে পারেনি।
সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই বলছে, দেশে জঙ্গিবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার হওয়ার কথা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হওয়ার কথা আরও আঁটোসাঁটো।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে দুই জঙ্গিকে নিয়ে তাদের সহযোগীরা নিরাপদে পালিয়ে গেছে। এখনও তাদের হদিস মেলেনি। জঙ্গিরা পালিয়ে কোথায় আশ্রয় নিতে পারে বা কী করতে পারে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা পুলিশের কি আছে- এটা একটা প্রশ্ন। জঙ্গিবাদ দমনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যতটা চৌকশ হওয়া দরকার তারা ততটা চৌকশ বা সক্ষম কিনা এমন প্রশ্ন অতীতেও উঠেছে। দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।
জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি কৌশলী হতে হবে। সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। জঙ্গিরা এই অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে।
দেশে বিভিন্ন সময় থেমে থেমে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তারা বড় কোনো ঘটনা ঘটালে সরকার তৎপরতা শুরু করে, অভিযান চালায়। শীর্ষ জঙ্গিদের অনেকেই পুলিশি অভিযানে মারা যায়, অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তার হতে দেখা যায়। যদিও পুলিশ দাবি করে যে, দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আছে। বাস্তবতা হচ্ছে, জঙ্গিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা যায়নি।
জঙ্গিবাদের বিপদ সম্পর্কে সরকারকে সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশি অভিযানের পাশাপাশি আদর্শিক লড়াই শুরু করতে হবে।
ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত আটক করা হবে সেটা আমাদের আশা। পাশাপাশি আদালতসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। দেশে নতুন করে কেউ যেন জঙ্গিদের নৃশংসতার শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।