alt

সম্পাদকীয়

দোকানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রসঙ্গে

: মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ডুমনিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ শেষ হয়নি তিন বছরেও। বিদ্যালয়ের পাশে বাজারের দুটি দোকান ভাড়া নিয়ে চলছে শ্রেণী কার্যক্রম। দোকানের একপাশে সিমেন্টের ও অন্যপাশে মুদি দোকান। সেখানে সবসময় রয়েছে মানুষের আনাগোনা। যে কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা দ্রুত ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের একটি একতলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৬৬ লাখ টাকা। কাজী ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পায়। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়ের আগের টিনের ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ৩০০ দিনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তিন বছরে শুধুমাত্র বেইজ ঢালাই দেয়া হয়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, নির্মাণকাজ এখন বন্ধ রয়েছে।

নির্মাণ উপকরণের দাম বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় টাকা ছাড় না পাওয়ায় নির্মাণকাজ চালাতে পারবে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টাঙ্গাইল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আমরা তাদের পেমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকায় রাখা হয়েছে। এখন পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করে দ্রুতই কাজটি শুরু করা হবে।

ভবন নির্মাণের মনিটরিং ঠিকঠাক মতো হলে নির্মাণকাজ বিলম্ব কিংবা বন্ধ হওয়ার কথা নয়, আর শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে দোকানঘরে পাঠগ্রহণ করারও কথা নয়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীনতা-অবহেলার একটি নিদর্শন হচ্ছে ডুমনিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা কেমন স্থানে বিকল্প ব্যবস্থা! বাজারের দোকনে কি পাঠগ্রহণের উপযুক্ত পরিবেশ আছে? সেখানে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে একই ঘরে বসতে হয়। তাছাড়া দোকানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসেরও ব্যবস্থা নেই। আর বাজারে খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকার তো প্রশ্নই আসে না। আমরা বলতে চাই, বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে এমন এক স্থানে, যেখানে শিক্ষার পরিবেশ থাকবে।

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মিত হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বা খেলাধুলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে না এমন তো নয়। শিক্ষার্থীরা তো আর খেলাধুলা থেকে বা শিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। বাজারের দোকান কোনভাবেই শিক্ষার জন্য সাময়িক ব্যবস্থা হতে পারে না। ভবন নির্মাণ নিয়ে যে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে, তা কবে শেষ হবে সেটা অনিশ্চিত। আর কতদিন শিক্ষার্থীরা বাজারের দোকানে পাঠগ্রহণ করবে- সেটাও একটা প্রশ্ন।

আমরা আশা করব, বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে। ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটা উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘেœ পাঠগ্রহণ করতে পারবে। কারও উদাসীনতা-অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে, সেটা হতে পারে না।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

দোকানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রসঙ্গে

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ডুমনিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ শেষ হয়নি তিন বছরেও। বিদ্যালয়ের পাশে বাজারের দুটি দোকান ভাড়া নিয়ে চলছে শ্রেণী কার্যক্রম। দোকানের একপাশে সিমেন্টের ও অন্যপাশে মুদি দোকান। সেখানে সবসময় রয়েছে মানুষের আনাগোনা। যে কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা দ্রুত ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের একটি একতলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৬৬ লাখ টাকা। কাজী ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পায়। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়ের আগের টিনের ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ৩০০ দিনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তিন বছরে শুধুমাত্র বেইজ ঢালাই দেয়া হয়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, নির্মাণকাজ এখন বন্ধ রয়েছে।

নির্মাণ উপকরণের দাম বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় টাকা ছাড় না পাওয়ায় নির্মাণকাজ চালাতে পারবে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। টাঙ্গাইল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আমরা তাদের পেমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকায় রাখা হয়েছে। এখন পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করে দ্রুতই কাজটি শুরু করা হবে।

ভবন নির্মাণের মনিটরিং ঠিকঠাক মতো হলে নির্মাণকাজ বিলম্ব কিংবা বন্ধ হওয়ার কথা নয়, আর শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে দোকানঘরে পাঠগ্রহণ করারও কথা নয়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীনতা-অবহেলার একটি নিদর্শন হচ্ছে ডুমনিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা কেমন স্থানে বিকল্প ব্যবস্থা! বাজারের দোকনে কি পাঠগ্রহণের উপযুক্ত পরিবেশ আছে? সেখানে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে একই ঘরে বসতে হয়। তাছাড়া দোকানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসেরও ব্যবস্থা নেই। আর বাজারে খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকার তো প্রশ্নই আসে না। আমরা বলতে চাই, বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে এমন এক স্থানে, যেখানে শিক্ষার পরিবেশ থাকবে।

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মিত হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বা খেলাধুলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে না এমন তো নয়। শিক্ষার্থীরা তো আর খেলাধুলা থেকে বা শিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। বাজারের দোকান কোনভাবেই শিক্ষার জন্য সাময়িক ব্যবস্থা হতে পারে না। ভবন নির্মাণ নিয়ে যে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে, তা কবে শেষ হবে সেটা অনিশ্চিত। আর কতদিন শিক্ষার্থীরা বাজারের দোকানে পাঠগ্রহণ করবে- সেটাও একটা প্রশ্ন।

আমরা আশা করব, বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে। ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটা উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘেœ পাঠগ্রহণ করতে পারবে। কারও উদাসীনতা-অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে, সেটা হতে পারে না।

back to top