alt

সম্পাদকীয়

উপহারের অ্যাম্বুলেন্সগুলো ফেলে রাখা হয়েছে কেন

: বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

গত বছরের মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় তিনি বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন। ভারতের দেয়া অ্যাম্বুলেন্সের কোন কোনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানা গেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১০ মাস আগে দেয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দেয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়নি একদিনও। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সেরও একই অবস্থা। সেখানকার অ্যাম্বুলেন্সটি গত ১১ মাসেও কাজে লাগেনি।

আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত এসব অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। এ ধরনের অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনা করা বেশ ব্যয়বহুল।

অ্যাম্বুলেন্স অব্যবহৃত থাকায় রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স এক পর্যায়ে অকেজো হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশের সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রায়ই অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম অব্যবহৃত পড়ে থাকে। এমনও খবর পাওয়া যায় যে, বহুমূল্যে আমদানি করা যন্ত্রপাতি বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়। তার প্যাকেটও খোলা হয় না।

দেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার অভাব রয়েছে। এখানে চিকিৎসাসেবাও ব্যয়বহুল। সরকারি পর্যায়ে আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হলে মানুষ অল্প খরচে এর সুবিধা পেতে পারে। মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার এই কাজ কি খুব বেশ ব্যয়বহুল- এটা একটা প্রশ্ন। প্রতিবেশী দেশ বহুমূল্যের অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে। অথচ খরচের কথা বলে সেই অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে করে রোগীরা সাশ্রয়ে উন্নত সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন।

অ্যাম্বুলেন্সসেবা চালু করার জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল কেন নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না সেটা আমরা জানতে চাইব। রোগীরা কীভাবে উন্নতসেবা পাবে সেটা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আবার অ্যাম্বুলন্সে রক্ষণাবেক্ষণও যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। এই অবহেলা দেশের স্বাস্থ্য খাতের রুগ্ন দশারই একটি চিত্র।

আমরা বলতে চাই, জনস্বার্থে দ্রুত ওই অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনী লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো যথার্থভাবে রক্ষাণাবেক্ষণ করতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

উপহারের অ্যাম্বুলেন্সগুলো ফেলে রাখা হয়েছে কেন

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

গত বছরের মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় তিনি বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন। ভারতের দেয়া অ্যাম্বুলেন্সের কোন কোনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানা গেছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১০ মাস আগে দেয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দেয়া একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়নি একদিনও। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সেরও একই অবস্থা। সেখানকার অ্যাম্বুলেন্সটি গত ১১ মাসেও কাজে লাগেনি।

আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত এসব অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। বলা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। এ ধরনের অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনা করা বেশ ব্যয়বহুল।

অ্যাম্বুলেন্স অব্যবহৃত থাকায় রোগীরা কাক্সিক্ষত সেবা পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স এক পর্যায়ে অকেজো হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশের সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রায়ই অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম অব্যবহৃত পড়ে থাকে। এমনও খবর পাওয়া যায় যে, বহুমূল্যে আমদানি করা যন্ত্রপাতি বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়। তার প্যাকেটও খোলা হয় না।

দেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার অভাব রয়েছে। এখানে চিকিৎসাসেবাও ব্যয়বহুল। সরকারি পর্যায়ে আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হলে মানুষ অল্প খরচে এর সুবিধা পেতে পারে। মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার এই কাজ কি খুব বেশ ব্যয়বহুল- এটা একটা প্রশ্ন। প্রতিবেশী দেশ বহুমূল্যের অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে। অথচ খরচের কথা বলে সেই অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে করে রোগীরা সাশ্রয়ে উন্নত সুবিধা পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন।

অ্যাম্বুলেন্সসেবা চালু করার জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল কেন নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না সেটা আমরা জানতে চাইব। রোগীরা কীভাবে উন্নতসেবা পাবে সেটা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আবার অ্যাম্বুলন্সে রক্ষণাবেক্ষণও যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। এই অবহেলা দেশের স্বাস্থ্য খাতের রুগ্ন দশারই একটি চিত্র।

আমরা বলতে চাই, জনস্বার্থে দ্রুত ওই অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনী লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো যথার্থভাবে রক্ষাণাবেক্ষণ করতে হবে।

back to top