alt

সম্পাদকীয়

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে

: শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালে। সেই ঘটনায় মারা যায় ১১১ জন মানুষ। আগুন লাগার পর শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হতে পারেননি। কারণ আগুন লাগার পর পরই কারখানাটির তৃতীয় তলার গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল।

অগ্নিকান্ডের ১০ বছর পরও শেষ হয়নি বিচার। সংশ্লিষ্ট মামলার মূল আসামি কারখানাটির এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জামিনে আছেন। আর সেই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা বা তাদের স্বজনরা বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন। নিহত শ্রমিকের স্বজনরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে।

দেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। কেবল তাজরীন ফ্যশনসেই নয়, দেশের আরও অনেক পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। অগ্নিকান্ড ছাড়াও দেশের অনেক কারখানায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গক্রমে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের কথা বলা যায়। রানা প্লাজা ধসে মারা গিয়েছিল ১ হাজার ১৩৫ জন, আহত হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ জন। সেই ঘটনায় হত্যা, ইমারত আইন এবং ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছিল তিনটি। সেসব মামলার কী অবস্থা সেটা একটা প্রশ্ন। যারা রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন তাদের অনেকেরই পুনর্বাসন করা হয়নি। দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। ভবিষ্যতে পূরণ হবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত।

আমরা জানতে চাইব যে, এমন প্রতিশ্রুতি কেন দেয়া হয় যা পূরণ করা হবে না। আমরা মনে করি, তাজরীন ফ্যশনসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার। সেই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে প্রশ্ন ওঠে। এরপর কারখানা সংস্কারে বেশ তোড়জোড় দেখা গেছে। অনেকে বলেন, পোশাক রপ্তানি টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই সংস্কার করা হয়েছে। তবে গত বেশ কয়েকবছর ধরে সংস্কার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোন পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া থমকে যাক সেটা কাম্য নয়। কারণ একটু অসতর্কায় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দেশে আরেকটি রানা প্লাজা বা তাজরীন ট্র্যাজেডি ঘটুক সেটা আমরা চাই না। কাজেই সংস্কার কাজে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখতে হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালে। সেই ঘটনায় মারা যায় ১১১ জন মানুষ। আগুন লাগার পর শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হতে পারেননি। কারণ আগুন লাগার পর পরই কারখানাটির তৃতীয় তলার গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল।

অগ্নিকান্ডের ১০ বছর পরও শেষ হয়নি বিচার। সংশ্লিষ্ট মামলার মূল আসামি কারখানাটির এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জামিনে আছেন। আর সেই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা বা তাদের স্বজনরা বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন। নিহত শ্রমিকের স্বজনরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে।

দেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। কেবল তাজরীন ফ্যশনসেই নয়, দেশের আরও অনেক পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। অগ্নিকান্ড ছাড়াও দেশের অনেক কারখানায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গক্রমে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের কথা বলা যায়। রানা প্লাজা ধসে মারা গিয়েছিল ১ হাজার ১৩৫ জন, আহত হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ জন। সেই ঘটনায় হত্যা, ইমারত আইন এবং ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছিল তিনটি। সেসব মামলার কী অবস্থা সেটা একটা প্রশ্ন। যারা রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন তাদের অনেকেরই পুনর্বাসন করা হয়নি। দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। ভবিষ্যতে পূরণ হবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত।

আমরা জানতে চাইব যে, এমন প্রতিশ্রুতি কেন দেয়া হয় যা পূরণ করা হবে না। আমরা মনে করি, তাজরীন ফ্যশনসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার। সেই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে প্রশ্ন ওঠে। এরপর কারখানা সংস্কারে বেশ তোড়জোড় দেখা গেছে। অনেকে বলেন, পোশাক রপ্তানি টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই সংস্কার করা হয়েছে। তবে গত বেশ কয়েকবছর ধরে সংস্কার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোন পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া থমকে যাক সেটা কাম্য নয়। কারণ একটু অসতর্কায় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দেশে আরেকটি রানা প্লাজা বা তাজরীন ট্র্যাজেডি ঘটুক সেটা আমরা চাই না। কাজেই সংস্কার কাজে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখতে হবে।

back to top