আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালে। সেই ঘটনায় মারা যায় ১১১ জন মানুষ। আগুন লাগার পর শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হতে পারেননি। কারণ আগুন লাগার পর পরই কারখানাটির তৃতীয় তলার গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল।
অগ্নিকান্ডের ১০ বছর পরও শেষ হয়নি বিচার। সংশ্লিষ্ট মামলার মূল আসামি কারখানাটির এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জামিনে আছেন। আর সেই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা বা তাদের স্বজনরা বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন। নিহত শ্রমিকের স্বজনরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে।
দেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। কেবল তাজরীন ফ্যশনসেই নয়, দেশের আরও অনেক পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। অগ্নিকান্ড ছাড়াও দেশের অনেক কারখানায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গক্রমে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের কথা বলা যায়। রানা প্লাজা ধসে মারা গিয়েছিল ১ হাজার ১৩৫ জন, আহত হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ জন। সেই ঘটনায় হত্যা, ইমারত আইন এবং ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছিল তিনটি। সেসব মামলার কী অবস্থা সেটা একটা প্রশ্ন। যারা রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন তাদের অনেকেরই পুনর্বাসন করা হয়নি। দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। ভবিষ্যতে পূরণ হবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত।
আমরা জানতে চাইব যে, এমন প্রতিশ্রুতি কেন দেয়া হয় যা পূরণ করা হবে না। আমরা মনে করি, তাজরীন ফ্যশনসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার। সেই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে প্রশ্ন ওঠে। এরপর কারখানা সংস্কারে বেশ তোড়জোড় দেখা গেছে। অনেকে বলেন, পোশাক রপ্তানি টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই সংস্কার করা হয়েছে। তবে গত বেশ কয়েকবছর ধরে সংস্কার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোন পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া থমকে যাক সেটা কাম্য নয়। কারণ একটু অসতর্কায় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দেশে আরেকটি রানা প্লাজা বা তাজরীন ট্র্যাজেডি ঘটুক সেটা আমরা চাই না। কাজেই সংস্কার কাজে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখতে হবে।
শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২
আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালে। সেই ঘটনায় মারা যায় ১১১ জন মানুষ। আগুন লাগার পর শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হতে পারেননি। কারণ আগুন লাগার পর পরই কারখানাটির তৃতীয় তলার গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল।
অগ্নিকান্ডের ১০ বছর পরও শেষ হয়নি বিচার। সংশ্লিষ্ট মামলার মূল আসামি কারখানাটির এমডি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জামিনে আছেন। আর সেই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা বা তাদের স্বজনরা বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন। নিহত শ্রমিকের স্বজনরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে।
দেশের পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। কেবল তাজরীন ফ্যশনসেই নয়, দেশের আরও অনেক পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। অগ্নিকান্ড ছাড়াও দেশের অনেক কারখানায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গক্রমে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের কথা বলা যায়। রানা প্লাজা ধসে মারা গিয়েছিল ১ হাজার ১৩৫ জন, আহত হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ জন। সেই ঘটনায় হত্যা, ইমারত আইন এবং ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছিল তিনটি। সেসব মামলার কী অবস্থা সেটা একটা প্রশ্ন। যারা রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন তাদের অনেকেরই পুনর্বাসন করা হয়নি। দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের চাকরি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। ভবিষ্যতে পূরণ হবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত।
আমরা জানতে চাইব যে, এমন প্রতিশ্রুতি কেন দেয়া হয় যা পূরণ করা হবে না। আমরা মনে করি, তাজরীন ফ্যশনসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করা দরকার। সেই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে প্রশ্ন ওঠে। এরপর কারখানা সংস্কারে বেশ তোড়জোড় দেখা গেছে। অনেকে বলেন, পোশাক রপ্তানি টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই সংস্কার করা হয়েছে। তবে গত বেশ কয়েকবছর ধরে সংস্কার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কোন পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া থমকে যাক সেটা কাম্য নয়। কারণ একটু অসতর্কায় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দেশে আরেকটি রানা প্লাজা বা তাজরীন ট্র্যাজেডি ঘটুক সেটা আমরা চাই না। কাজেই সংস্কার কাজে উদাসীন হওয়ার সুযোগ নেই। প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখতে হবে।