alt

সম্পাদকীয়

ঝরে পড়া রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

: মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় ঝরে পড়েছে সাড়ে নয় লাখ শিশু শিক্ষার্থী। করোনার ভয়াবহতা কমেছে আরও আগেই; কিন্তু যেসব শিশু শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তাদের বেশির ভাগকেই আর বিদ্যালয়মুখী করা যায়নি। এ নিয়ে সরকার কিছু উদ্যোগ নিলেও তা কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।

করোনাকালে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তখন এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সমালোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেসব সমালোচনাকে গঠনমূলক দৃষ্টিতে বিবেচনা করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা বা খোলার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ঘাটতি তখন দেখা গেছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে অনেক শিক্ষার্থীই ঝরে পড়তে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে- ঝরে পড়া প্রতিরোধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পেরেছে কিনা?

করোনায় বহু পরিবারের আয় কমে গেছে। সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য নিম্নআয়ের পরিবারগুলো তাদের সন্তানকে নানান কাজে যুক্ত করেছেন। যাদের বড় একটি অংশই আর পরে ক্লাসে ফেরেনি।

ঝরে পড়ার আরেকটি বড় কারণ বাল্যবিয়ে। দেশে বাল্যবিয়ের হার ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীদের আর স্কুলের আঙিনায় দেখা যায় না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরপরই স্কুলে-স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিশদ তালিকা করা দরকার ছিল। দেশের কতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কতজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, তাদের মধ্যে আলাদাভাবে ছেলেমেয়ের সংখ্যা, শহর-গ্রাম বা অঞ্চলভেদে ঝরে পড়ার হার কত- সেটা জেনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে হয়তো ঝরে পড়ার সংখ্যা কমত।

আমরা বলতে চাই- ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসুক, তারা আবার লেখাপড়া শুরু করুক। আর একটি শিশু শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি আর যা যা করণীয় তাই করতে হবে।

বিনামূল্যে বই দেওয়া, শিক্ষাবৃত্তি ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচির পাশাপাশি আর কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেটা ভেবে দেখতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে- সেটা আমাদের প্রত্যাশা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। সব পক্ষ সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিলে ঝরে পড়া রোধ করা কঠিন হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

ঝরে পড়া রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় ঝরে পড়েছে সাড়ে নয় লাখ শিশু শিক্ষার্থী। করোনার ভয়াবহতা কমেছে আরও আগেই; কিন্তু যেসব শিশু শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তাদের বেশির ভাগকেই আর বিদ্যালয়মুখী করা যায়নি। এ নিয়ে সরকার কিছু উদ্যোগ নিলেও তা কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।

করোনাকালে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তখন এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সমালোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেসব সমালোচনাকে গঠনমূলক দৃষ্টিতে বিবেচনা করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা বা খোলার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ঘাটতি তখন দেখা গেছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে অনেক শিক্ষার্থীই ঝরে পড়তে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে- ঝরে পড়া প্রতিরোধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পেরেছে কিনা?

করোনায় বহু পরিবারের আয় কমে গেছে। সংসারের ব্যয় নির্বাহের জন্য নিম্নআয়ের পরিবারগুলো তাদের সন্তানকে নানান কাজে যুক্ত করেছেন। যাদের বড় একটি অংশই আর পরে ক্লাসে ফেরেনি।

ঝরে পড়ার আরেকটি বড় কারণ বাল্যবিয়ে। দেশে বাল্যবিয়ের হার ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীদের আর স্কুলের আঙিনায় দেখা যায় না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরপরই স্কুলে-স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিশদ তালিকা করা দরকার ছিল। দেশের কতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কতজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, তাদের মধ্যে আলাদাভাবে ছেলেমেয়ের সংখ্যা, শহর-গ্রাম বা অঞ্চলভেদে ঝরে পড়ার হার কত- সেটা জেনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে হয়তো ঝরে পড়ার সংখ্যা কমত।

আমরা বলতে চাই- ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসুক, তারা আবার লেখাপড়া শুরু করুক। আর একটি শিশু শিক্ষার্থীও যেন ঝরে না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি আর যা যা করণীয় তাই করতে হবে।

বিনামূল্যে বই দেওয়া, শিক্ষাবৃত্তি ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচির পাশাপাশি আর কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেটা ভেবে দেখতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে- সেটা আমাদের প্রত্যাশা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। সব পক্ষ সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিলে ঝরে পড়া রোধ করা কঠিন হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

back to top