নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে রাজশাহীতে একজন নারী মারা গেছেন। আক্রান্ত হওয়ার আগে তিনি খেজুরের রস খেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সাধারণত শীত মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। বাদুড়ের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। শীত মৌসুম শুরু হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করেন গাছিরা। বাদুড় এই খেজুরের রস যখন খায়, তখন রসে তার লালা ঝরে পড়ে। এছাড়াও তালের রস ও বিভিন্ন ফল খাওয়ার সময় তাতে বাদুড়ের লালা লেগে যায়। সেই রস বা ফল যখন মানুষ খায় তখন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২০ বছরে দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের ৭১ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে এতে আক্রান্ত হন ৩২২ জন মানুষ। তাদের মধ্যে মারা যান ২২৯ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা খুব বেশি নয়। তবে এ রোগে মৃত্যুর হার বেশি।
নিপাহ ভাইরাসের কোনো টিকা নেই। কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। আর বিপদটা এখানেই। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকার কারণেই রোগটি প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করতে পারে। এজন্যে রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধই শ্রেয়।
নিপাহ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদুড় বা পাখির আধাখাওয়া ফল খাওয়া যাবে না। রস যদি খেতেই হয় তাহলে নিয়ম মেনে খেতে হবে কখনোই কাঁচা রস না খেয়ে তা ফুটিয়ে গরম করে খেতে হবে।
গত দুই দশকে দেশের ৩২টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। এ রোগ বেশি সংক্রমণ ঘটেছে ফরিদপুরে। যেসব এলাকার মানুষ নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় সেসব এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করতে হবে। শীত মৌসুম এলেই নিয়মিত প্রচার চালাতে হবে। কেননা এই মৌসুমেই নিপাহ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়।
শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে রাজশাহীতে একজন নারী মারা গেছেন। আক্রান্ত হওয়ার আগে তিনি খেজুরের রস খেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সাধারণত শীত মৌসুমে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। বাদুড়ের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। শীত মৌসুম শুরু হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু করেন গাছিরা। বাদুড় এই খেজুরের রস যখন খায়, তখন রসে তার লালা ঝরে পড়ে। এছাড়াও তালের রস ও বিভিন্ন ফল খাওয়ার সময় তাতে বাদুড়ের লালা লেগে যায়। সেই রস বা ফল যখন মানুষ খায় তখন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২০ বছরে দেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের ৭১ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে এতে আক্রান্ত হন ৩২২ জন মানুষ। তাদের মধ্যে মারা যান ২২৯ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা খুব বেশি নয়। তবে এ রোগে মৃত্যুর হার বেশি।
নিপাহ ভাইরাসের কোনো টিকা নেই। কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই। আর বিপদটা এখানেই। সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকার কারণেই রোগটি প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করতে পারে। এজন্যে রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধই শ্রেয়।
নিপাহ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদুড় বা পাখির আধাখাওয়া ফল খাওয়া যাবে না। রস যদি খেতেই হয় তাহলে নিয়ম মেনে খেতে হবে কখনোই কাঁচা রস না খেয়ে তা ফুটিয়ে গরম করে খেতে হবে।
গত দুই দশকে দেশের ৩২টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। এ রোগ বেশি সংক্রমণ ঘটেছে ফরিদপুরে। যেসব এলাকার মানুষ নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় সেসব এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করতে হবে। শীত মৌসুম এলেই নিয়মিত প্রচার চালাতে হবে। কেননা এই মৌসুমেই নিপাহ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়।